
এনএনবি, গাজীপুর
গাজীপুরে নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে ভাড়াটে খুনি দিয়ে পরিকল্পিতভাবে
হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী ফরিদা বেগম মুক্তা।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট, ২০২৫) সন্ধ্যায় গাজীপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ
সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
মুক্তা বলেন, ’কিলার ভাড়া করে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। এর পেছনে যারা
টাকা দিয়ে ইন্ধন জুগিয়েছে, তাদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।’ তবে তিনি এ বিষয়ে
বিস্তারিত আর কোনো তথ্য দেননি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ’আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের
কারণেই আমার স্বামীর হত্যাকারীদের অপরাধ প্রকাশ পেয়েছে। না হলে এটি সাগর-রুনি
হত্যাকাণ্ডের মতো প্রমাণ হারিয়ে যেতে পারত। আজ আপনারা পাশে আছেন বলেই আমি
কিছুটা শক্ত আছি।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বর্তমান সরকারের আইন উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও
পুলিশ প্রধানের সঙ্গে জরুরি সাক্ষাৎ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং ৭ দফা দাবি
জানান।
তিনি বলেন, ’তুহিন হত্যায় জড়িত সব আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে, ১৫ দিনের
মধ্যে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিতে হবে, মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে
হস্তান্তর করে ৯০ দিনের মধ্যে শাস্তি কার্যকর করতে হবে। মামলার বাদী, সাক্ষী,
পরিবার ও পত্রিকার সম্পাদকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং বিচার প্রক্রিয়া
শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিদের কারাগারে রাখতে হবে। একইসঙ্গে তুহিনের পরিবার ও
সন্তানের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে এবং সারাদেশের সাংবাদিকদের নিরাপত্তা
নিশ্চিত করতে আলাদা হটলাইন চালু করতে হবে।’
গত ৭ আগস্ট ২০২৫ রাত ৮টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায়
কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয় তুহিনকে (৩৮)। এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত
আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
তুহিন দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ-এর গাজীপুর স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। ময়মনসিংহের
ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের সন্তান তুহিন স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে
গাজীপুরে বসবাস করতেন। এ ঘটনায় বাসন থানায় দুটি মামলা হয়েছে—একটি তুহিনের বড়
ভাই মো. সেলিমের, অপরটি আগে সংঘটিত এক হামলার ঘটনায় বাদশা মিয়ার ভাইয়ের দায়ের
করা মামলা।
সংবাদ সম্মেলনে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ-এর সম্পাদক মো. খায়রুল আলম ও তুহিনের পরিবারের
সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
COMMENTS