
এনএনবি, ঢাকা
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) ও যুগ্ম দপ্তর
সম্পাদক মাহমুদ আলমের সাংগঠনিক কার্যক্রমে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা এবং তাঁদের
বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট, ২০২৫) ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত
বিচারক রোবায়েত ফেরদৌস বাদীপক্ষের মামলা প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করেন। একই
সঙ্গে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনায় থাকা অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশও বাতিল করা
হয়।
জিএম কাদেরের আইনজীবী মনোয়ার হোসাইন আলম জানান, গত ২ আগস্ট বাদীরা মামলা
প্রত্যাহারের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে তা মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ৩০ জুলাই ২০২৫ বাদীপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জিএম কাদের ও
মাহমুদ আলমের সাংগঠনিক কার্যক্রমের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। একই
আদেশে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ ১০ নেতাকে তাঁদের
পূর্বের সাংগঠনিক পদে পুনর্বহাল করা হয়।
পুনর্বহাল হওয়া নেতাদের মধ্যে রয়েছেন—তীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান
ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, জাতীয় পার্টি
মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক-২ এম. এ রাজ্জাক
খান, প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠ (চট্টগ্রাম), প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা
আকতার (ফেনী), প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম জহির (টাঙ্গাইল),
প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ (জামালপুর), প্রেসিডিয়াম সদস্য জসীম
উদ্দিন (নেত্রকোনা) এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য আরিফুর রহমান খান (গাজীপুর)।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল, ২০১৯ সালের ১৮ জুলাই পার্টির তৎকালীন মহাসচিব মশিউর
রহমান রাঙ্গা গঠনতন্ত্রের পরিপন্থিভাবে জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন।
পরে ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর কাদের অবৈধভাবে নতুন গঠনতন্ত্র অনুমোদন করেন এবং
সাম্প্রতিক সময়ে ১০ নেতাকে অব্যাহতি দিয়ে তাঁদের নাম দলীয় ওয়েবসাইট থেকে মুছে
ফেলেন।
এই মামলার প্রেক্ষিতে জারি হওয়া নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই গত ৯ আগস্ট ২০২৫ জাতীয়
পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ
চেয়ারম্যান, রুহুল আমিন হাওলাদার মহাসচিব, কাজী ফিরোজ রশিদ সিনিয়র
কো-চেয়ারম্যান এবং মুজিবুল হক চুন্নু নির্বাহী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তবে
জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন অংশ নতুন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে।
COMMENTS