
এনএনবি, ঢাকা
করোনারি স্টেন্ট বা হার্টের রিংয়ের নতুন দাম আগামী ১ অক্টোবর ২০২৫ থেকে কার্যকর
হবে বলে জানিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট, ২০২৫) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে এক সংবাদ সম্মেলনে
অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. আকতার হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ’জীবনরক্ষাকারী এই গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল ডিভাইসের দাম সহনীয় রাখতে
এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য সরকার স্টেন্ট, পেসমেকার, বেলুন, ক্যাথেটারসহ
বিভিন্ন যন্ত্রের মূল্য নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিয়েছে।’
গত ১৩ এপ্রিল ২০২৫ স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় দেশের খ্যাতনামা
কার্ডিয়াক, ভাসকুলার ও নিউরো সার্জনদের সমন্বয়ে একটি বিশেষজ্ঞ পরামর্শক কমিটি
গঠন করে। তিন দফা সভার পর বাজারে প্রচলিত আমেরিকান তিনটি কোম্পানির স্টেন্টের
দাম পর্যালোচনা করে প্রতিবেশী দেশের মূল্য, ট্যাক্স ও অন্যান্য চার্জ বিবেচনায়
এনে ৩ আগস্ট ২০২৫ সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
নতুন দামে স্টেন্ট কেনা হলে রোগীদের চিকিৎসা ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে বলে
জানায় ঔষধ প্রশাসন। আমদানিকারকদের হাতে পুরোনো দামের পণ্য মজুত থাকায় তারা সময়
চাইলেও জনস্বার্থে এবং গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর হাসপাতালগুলোতে নতুন দামের
পণ্যের জন্য চাপ তৈরি হয়।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তিনটি কোম্পানির ১০ ধরনের স্টেন্টের খুচরা মূল্য
সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে
স্টেন্টভেদে দাম কমেছে ৩ হাজার থেকে ৮৮ হাজার টাকা, যা সর্বোচ্চ ৪৬ শতাংশ
পর্যন্ত হ্রাস। একটি স্টেন্টের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর
মাসে আরও কয়েকটি স্টেন্টের দাম কমতে পারে বলেও জানানো হয়।
চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে, হার্টে রিং বসানোর পদ্ধতিকে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি বলা হয়।
এতে একটি সরু ক্যাথেটারের মাধ্যমে ধমনিতে জাল আকৃতির নল (স্টেন্ট) স্থাপন করে
রক্তনালিকে খোলা রাখা হয়, যা হৃদপিণ্ডে রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা
করে।
বাংলাদেশে ব্যবহৃত হার্টের রিং মূলত ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি
করা হয়। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, পোল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স,
ইতালি, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও আয়ারল্যান্ড রয়েছে। এছাড়া জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া
ও ভারত থেকেও রিং আমদানি করা হয়।
COMMENTS