
এনএনবি ডেস্ক
বাংলাদেশে শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তনের পর মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে,
তবে কিছু ক্ষেত্রে উদ্বেগ বিদ্যমান—এমন মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র
দপ্তর।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট ২০২৫) প্রকাশিত মানবাধিকার–বিষয়ক বার্ষিক
প্রতিবেদনে
এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে কয়েক সপ্তাহব্যাপী শিক্ষার্থী বিক্ষোভ ও পুলিশের
পাশাপাশি আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে সংঘর্ষে শত শত মানুষের মৃত্যু ঘটে।
এর পর ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করেন এবং ৮ আগস্ট
রাষ্ট্রপতি নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘প্রধান উপদেষ্টা’ পদে নিয়োগ
দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেন। আগস্টের ঘটনাবলির পর থেকে মানবাধিকার
পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল হলেও কিছু বিষয় নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলোর মধ্যে
ছিল—বেআইনি হত্যা, গুম, নির্যাতন, নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও আটক, বিদেশে থাকা
সমালোচকদের হয়রানি, মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় গুরুতর বাধা, সাংবাদিকদের
ওপর সহিংসতা ও হুমকি, অযৌক্তিক গ্রেপ্তার ও মামলা, সেন্সরশিপ, শ্রমিক সংগঠনের
স্বাধীনতায় বাধা, শ্রম অধিকারকর্মী ও ইউনিয়ন সদস্যদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, এবং
শিশুশ্রমের গুরুতর রূপের উপস্থিতি।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, পূর্ববর্তী সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায়
দায়মুক্তি দিয়েছে এবং দায়ীদের শনাক্ত ও শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ
খুব কম নেওয়া হয়েছে। তবে সরকার পতনের পর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আগের
প্রশাসনের অনেক সদস্যকে এসব ঘটনায় গ্রেপ্তার করেছে।
এছাড়া বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও সংবাদমাধ্যম জুলাই ও আগস্ট মাসে সাবেক
ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বহু ঘটনা
নথিভুক্ত করেছে। এসব বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ
করছে এবং অপরাধীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে প্রচলিত বিচারব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক
অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দুটোই ব্যবহার করছে।
COMMENTS