এনএনবি, ঢাকা
দেশের অন্যান্য স্থানের মতো বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সদস্যরা আগামীকাল রাজধানীতে গভীর ভক্তি ও ঐতিহ্যবাহী উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে তাদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ‘মধু পূর্ণিমা’ উদযাপন করবেন।
বাংলাদেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও তিন পার্বত্য জেলায় সেপ্টেম্বরের পূর্ণিমার দিনটিকে মধু পূর্ণিমা উৎসব বা মধু-অর্ঘ উৎসব হিসেবে পালন করেন।
বৌদ্ধ ধর্মের প্রবক্তা গৌতম বুদ্ধ পারিলেয়া বনে বর্ষা যাপন কালে একটি একাচারী হাতি প্রতিদিন ফল সংগ্রহ করে বুদ্ধকে দান করত। এ সময় হস্তিরাজ কর্তৃক বুদ্ধকে সেবা করতে দেখে বনের একটি বানরেরও বুদ্ধকে পূজা করার ইচ্ছা জাগে। ভাদ্র পূর্ণিমাতে সে একটি মৌচাক সংগ্রহ করে বুদ্ধকে দান করেন। মৌচাকে মৌমাছির ছানা ও ডিম থাকায় বুদ্ধ প্রথমে মধু পান করেন নি। বানর তা বুঝতে পেরে মৌচাকটি নিয়ে ছানা ও ডিম পরিষ্কার করে পুনরায় বুদ্ধকে দান করলে এবার বুদ্ধ মধু পান করেন। মধুপান করতে দেখে বানর খুশিতে, আনন্দে আত্মহারা হয়ে বৃক্ষ শাখা থেকে বৃক্ষশাখায় লাফাতে লাগল। হঠাৎ অসাবধানতাবশত বৃক্ষের শাখা ভেঙে বানর মাটিতে পড়ে গাছের গোড়ায় আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। বুদ্ধকে মধুদান এবং বুদ্ধের প্রতি প্রসন্নচিত্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করার পর বানর তাবতিংস স্বর্গে ত্রিশ যোজন বিস্তৃত কনক বিমান ও সহস্র অপ্সরা লাভ করে।
পারিলেয়া বনে হস্তিরাজ কর্তৃক ভগবান বুদ্ধের সেবাপ্রাপ্তি ও বানরের মধুদানের কারণে এ দিনটি বৌদ্ধদের কাছে স্মরণীয় ও আনন্দ-উৎসবমুখর পুণ্যময় একটি দিন।
এ দিনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ভোরে পবিত্র ত্রিপিটকের মঙ্গলবাণী পাঠ, সমবেত বুদ্ধ বন্দনা, জাতীয়, ধর্মীয় ও স্ব স্ব সংগঠনের পতাকা উত্তোলন, বুদ্ধ পূজা, পঞ্চশীল ও উপসথ শীল গ্রহণ, ভিক্ষু সংঘের পি-দান, উপসথ শীলধারীদের মধ্যহৃভোজ গ্রহণ, মধু পূর্ণিমার তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান, আলোক সজ্জা, বুদ্ধ কীর্তন, সন্ধ্যা কালীন প্রদীপ পূজা, দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং জীব জগতের মঙ্গল কামনায় সমবেত প্রার্থনা।
নগরীর কমলাপুর ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহার, বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার, সাভারের আশুলিয়া বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র ও মিরপুরের আদিবাসী বৌদ্ধ মন্দিরসহ শহরের অন্যান্য বৌদ্ধ মন্দিরে প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া চট্টগ্রামের নন্দনকানন বৌদ্ধ মন্দির, কাতালগঞ্জ নবপণ্ডিত বিহার, দেবপাহাড়ের পূর্ণচর আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার, মোগলটুলী শ্মশান ভূমি শাক্যমুনি বিহার, আগ্রাবাদ ও চান্দগাঁও বিশ্বমৈত্রী বিহারে।
সমস্ত মঠে দেশ, জাতি ও সারা বিশ্বের অব্যাহত শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।
দেশের অন্যান্য স্থানের মতো বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সদস্যরা আগামীকাল রাজধানীতে গভীর ভক্তি ও ঐতিহ্যবাহী উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে তাদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ‘মধু পূর্ণিমা’ উদযাপন করবেন।
বাংলাদেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও তিন পার্বত্য জেলায় সেপ্টেম্বরের পূর্ণিমার দিনটিকে মধু পূর্ণিমা উৎসব বা মধু-অর্ঘ উৎসব হিসেবে পালন করেন।
বৌদ্ধ ধর্মের প্রবক্তা গৌতম বুদ্ধ পারিলেয়া বনে বর্ষা যাপন কালে একটি একাচারী হাতি প্রতিদিন ফল সংগ্রহ করে বুদ্ধকে দান করত। এ সময় হস্তিরাজ কর্তৃক বুদ্ধকে সেবা করতে দেখে বনের একটি বানরেরও বুদ্ধকে পূজা করার ইচ্ছা জাগে। ভাদ্র পূর্ণিমাতে সে একটি মৌচাক সংগ্রহ করে বুদ্ধকে দান করেন। মৌচাকে মৌমাছির ছানা ও ডিম থাকায় বুদ্ধ প্রথমে মধু পান করেন নি। বানর তা বুঝতে পেরে মৌচাকটি নিয়ে ছানা ও ডিম পরিষ্কার করে পুনরায় বুদ্ধকে দান করলে এবার বুদ্ধ মধু পান করেন। মধুপান করতে দেখে বানর খুশিতে, আনন্দে আত্মহারা হয়ে বৃক্ষ শাখা থেকে বৃক্ষশাখায় লাফাতে লাগল। হঠাৎ অসাবধানতাবশত বৃক্ষের শাখা ভেঙে বানর মাটিতে পড়ে গাছের গোড়ায় আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। বুদ্ধকে মধুদান এবং বুদ্ধের প্রতি প্রসন্নচিত্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করার পর বানর তাবতিংস স্বর্গে ত্রিশ যোজন বিস্তৃত কনক বিমান ও সহস্র অপ্সরা লাভ করে।
পারিলেয়া বনে হস্তিরাজ কর্তৃক ভগবান বুদ্ধের সেবাপ্রাপ্তি ও বানরের মধুদানের কারণে এ দিনটি বৌদ্ধদের কাছে স্মরণীয় ও আনন্দ-উৎসবমুখর পুণ্যময় একটি দিন।
এ দিনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ভোরে পবিত্র ত্রিপিটকের মঙ্গলবাণী পাঠ, সমবেত বুদ্ধ বন্দনা, জাতীয়, ধর্মীয় ও স্ব স্ব সংগঠনের পতাকা উত্তোলন, বুদ্ধ পূজা, পঞ্চশীল ও উপসথ শীল গ্রহণ, ভিক্ষু সংঘের পি-দান, উপসথ শীলধারীদের মধ্যহৃভোজ গ্রহণ, মধু পূর্ণিমার তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান, আলোক সজ্জা, বুদ্ধ কীর্তন, সন্ধ্যা কালীন প্রদীপ পূজা, দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং জীব জগতের মঙ্গল কামনায় সমবেত প্রার্থনা।
নগরীর কমলাপুর ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহার, বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার, সাভারের আশুলিয়া বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র ও মিরপুরের আদিবাসী বৌদ্ধ মন্দিরসহ শহরের অন্যান্য বৌদ্ধ মন্দিরে প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া চট্টগ্রামের নন্দনকানন বৌদ্ধ মন্দির, কাতালগঞ্জ নবপণ্ডিত বিহার, দেবপাহাড়ের পূর্ণচর আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার, মোগলটুলী শ্মশান ভূমি শাক্যমুনি বিহার, আগ্রাবাদ ও চান্দগাঁও বিশ্বমৈত্রী বিহারে।
সমস্ত মঠে দেশ, জাতি ও সারা বিশ্বের অব্যাহত শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।
COMMENTS