![]() |
ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান |
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
কট্টর রক্ষণশীল প্রতিদ্বন্দ্বী সাঈদ জালিলিকে হারিয়ে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান। ৩ কোটিরও বেশি ভোটের মধ্যে ৫৩ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন তিনি। অন্যদিকে জালিলি পেয়েছেন ৪৪ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান একজন স্বল্পপরিচিত মধ্যপন্থী রাজনীতিবিদ। হৃদরোগের চিকিৎসক থেকে তিনি দেশটির ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির নতুন প্রেসিডেন্টকে নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের আগ্রহও রয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, মাসুদ পেজেশকিয়ানকে ভোট দেওয়া অধিকাংশ মানুষই শহুরে মধ্যবিত্ত এবং তরুণ বলে মনে করা হচ্ছে। তারা ইসলামপন্থী গোঁড়ামির কারণে ইরানে বহু বছর ধরে চলমান সামাজিক নিরাপত্তা লঙ্ঘনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
দুর্ঘটনায় নিহত দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে দৃষ্টিভঙ্গির বেশ ফারাক রয়েছে মাসুদ পেজেশকিয়ানের। দেশটিতে দ্বৈত শাসন ব্যবস্থার কারণে রাষ্ট্রীয় নীতি, পরমাণু কর্মসূচি বা পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কে কতটা পরিবর্তন আনতে পারবেন মাসুদ পেজেশকিয়ান সেটি নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন।
ইব্রাহিম রাইসির চেয়ে নীতিগত অবস্থানে ভিন্নতা থাকলেও ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টকে পশ্চিমা বিশ্বের কোন দেশ কী স্বাগত জানাবে, এমন প্রশ্নও রয়েছে। তবে, মাসুদ পেজেশকিয়ানকে ইতোমধ্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছে ভারত, চীন ও রাশিয়ার নেতারা।
ধর্মীয় নেতা ও প্রজাতান্ত্রিক শাসন- এমন দ্বৈত ব্যবস্থায় পরিচালিত হয় ইরান। পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের তীব্র টানাপড়েন চলছে। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে তেহরান সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন।
নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর এখন প্রশ্ন উঠেছে এমন অবস্থায় এসব ইস্যুতে কোন পথে চলবে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর বলছে, দেশটিতে দ্বৈত শাসন ব্যবস্থার কারণে রাষ্ট্রের নীতিগত অবস্থানে বদল আনার ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের নেই।
কেননা, দেশের শীর্ষ রাষ্ট্রীয় সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তবে প্রেসিডেন্ট ইরানের নীতির ধরনকে শুধু প্রভাবিত করতে পারেন।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, আয়াতুল্লাহ খামেনি সমর্থিত সাবেক প্রেসিডেন্ট রাইসির সঙ্গে পেজেশকিয়ানের দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটাই ভিন্ন। নারীদের পোশাকের স্বাধীনতায় লাগাম টানতে কড়াকড়িভাবে আইনের প্রয়োগ করেছিলেন রাইসি। তবে এর বিরুদ্ধে অবস্থান পেজেশকিয়ানের।
পরমাণু চুক্তি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে ইরানের ঝিমিয়ে পড়া আলোচনায় গতি আনার বিষয়েও কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন রাইসি। এই ইস্যুতে নতুন প্রেসিডেন্টের অবস্থান কী হবে তা নিয়ে অনেকেরই মনে প্রশ্ন রয়েছে।
পেজেশকিয়ান অব্যবস্থাপনা, রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি এবং মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, প্রেসিডেন্টের চারপাশ ঘিরে আছেন সর্বোচ্চ নেতা খামেনির অনুগত ব্যক্তিরা।
এ অবস্থায় দেশে রাজনৈতিক বহুত্ববাদ প্রতিষ্ঠা ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তেহরানের একঘরে অবস্থা কাটানোর চেষ্টা করেও কতখানি সফল হবে নতুন প্রেসিডেন্ট তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে অনেকের।
তবে সাধারণ ইরানিরা মনে করছেন, সংস্কারপন্থী পেজেশকিয়ান চেষ্টা করলেও দেশটির শাসক তাকে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন করতে দেবে না।
কট্টর রক্ষণশীল প্রতিদ্বন্দ্বী সাঈদ জালিলিকে হারিয়ে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান। ৩ কোটিরও বেশি ভোটের মধ্যে ৫৩ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন তিনি। অন্যদিকে জালিলি পেয়েছেন ৪৪ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান একজন স্বল্পপরিচিত মধ্যপন্থী রাজনীতিবিদ। হৃদরোগের চিকিৎসক থেকে তিনি দেশটির ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির নতুন প্রেসিডেন্টকে নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের আগ্রহও রয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, মাসুদ পেজেশকিয়ানকে ভোট দেওয়া অধিকাংশ মানুষই শহুরে মধ্যবিত্ত এবং তরুণ বলে মনে করা হচ্ছে। তারা ইসলামপন্থী গোঁড়ামির কারণে ইরানে বহু বছর ধরে চলমান সামাজিক নিরাপত্তা লঙ্ঘনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
দুর্ঘটনায় নিহত দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে দৃষ্টিভঙ্গির বেশ ফারাক রয়েছে মাসুদ পেজেশকিয়ানের। দেশটিতে দ্বৈত শাসন ব্যবস্থার কারণে রাষ্ট্রীয় নীতি, পরমাণু কর্মসূচি বা পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কে কতটা পরিবর্তন আনতে পারবেন মাসুদ পেজেশকিয়ান সেটি নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন।
ইব্রাহিম রাইসির চেয়ে নীতিগত অবস্থানে ভিন্নতা থাকলেও ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টকে পশ্চিমা বিশ্বের কোন দেশ কী স্বাগত জানাবে, এমন প্রশ্নও রয়েছে। তবে, মাসুদ পেজেশকিয়ানকে ইতোমধ্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছে ভারত, চীন ও রাশিয়ার নেতারা।
ধর্মীয় নেতা ও প্রজাতান্ত্রিক শাসন- এমন দ্বৈত ব্যবস্থায় পরিচালিত হয় ইরান। পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের তীব্র টানাপড়েন চলছে। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে তেহরান সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন।
নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর এখন প্রশ্ন উঠেছে এমন অবস্থায় এসব ইস্যুতে কোন পথে চলবে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর বলছে, দেশটিতে দ্বৈত শাসন ব্যবস্থার কারণে রাষ্ট্রের নীতিগত অবস্থানে বদল আনার ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের নেই।
কেননা, দেশের শীর্ষ রাষ্ট্রীয় সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তবে প্রেসিডেন্ট ইরানের নীতির ধরনকে শুধু প্রভাবিত করতে পারেন।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, আয়াতুল্লাহ খামেনি সমর্থিত সাবেক প্রেসিডেন্ট রাইসির সঙ্গে পেজেশকিয়ানের দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটাই ভিন্ন। নারীদের পোশাকের স্বাধীনতায় লাগাম টানতে কড়াকড়িভাবে আইনের প্রয়োগ করেছিলেন রাইসি। তবে এর বিরুদ্ধে অবস্থান পেজেশকিয়ানের।
পরমাণু চুক্তি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে ইরানের ঝিমিয়ে পড়া আলোচনায় গতি আনার বিষয়েও কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন রাইসি। এই ইস্যুতে নতুন প্রেসিডেন্টের অবস্থান কী হবে তা নিয়ে অনেকেরই মনে প্রশ্ন রয়েছে।
পেজেশকিয়ান অব্যবস্থাপনা, রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি এবং মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, প্রেসিডেন্টের চারপাশ ঘিরে আছেন সর্বোচ্চ নেতা খামেনির অনুগত ব্যক্তিরা।
এ অবস্থায় দেশে রাজনৈতিক বহুত্ববাদ প্রতিষ্ঠা ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তেহরানের একঘরে অবস্থা কাটানোর চেষ্টা করেও কতখানি সফল হবে নতুন প্রেসিডেন্ট তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে অনেকের।
তবে সাধারণ ইরানিরা মনে করছেন, সংস্কারপন্থী পেজেশকিয়ান চেষ্টা করলেও দেশটির শাসক তাকে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন করতে দেবে না।
COMMENTS