জহির রায়হান
এনএনবি, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহে ত্রাসের এক নাম ছিল নওশেল আহমেদ অনি। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ক্ষমতার দাপটে নগরবাসীর কাছে ভীতির প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন তিনি। ছাত্রলীগের নেতার পদে বসে অনি তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপকে আরও প্রসারিত করেন। তার কিশোর গ্যাং এবং অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে শহরের মানুষের ভয়ে দিন কাটছিল। সাম্প্রতিককালে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের পর, এই কুখ্যাত ছাত্রলীগ নেতার অপরাধজগতের কাহিনী একে একে উঠে আসছে। সাগর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার অনির অপকর্মের ফিরিস্তি দীর্ঘ, যার মধ্যে রয়েছে প্রকাশ্যে গুলি ছোড়া, জমি দখল, এবং চাঁদাবাজির ইতিহাস।
নওশেল আহমেদ অনির সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু হয় কৈশোর থেকেই। স্থানীয় বেপরোয়া যুবকদের নিয়ে তিনি গড়ে তুলেছিলেন একটি কিশোর গ্যাং, যা তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অন্যতম হাতিয়ার ছিল। ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে তিনি এই অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী করেন। বিভিন্ন দলীয় মিছিল ও কর্মসূচিতে তার প্রকাশ্যে গুলি ছোড়ার ঘটনাগুলি ক্রমাগত আলোচনায় আসতে থাকে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের অভিযোগ, অনি শহরের নতুন বাজার এলাকায় চাঁদাবাজি করতেন এবং যারা প্রতিবাদ করতেন তাদের টর্চার সেলে নিয়ে অত্যাচার চালাতেন। এমনকি ছোট দোকানদার থেকে বড় ব্যবসায়ী পর্যন্ত কেউই তার জিম্মি দশা থেকে রেহাই পেতেন না। প্রতিবন্ধী ব্যবসায়ী খাইরুল ইসলামের দোকান দখলের ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "ভয়ে কিছু বলার সাহস পাইনি, থানায় অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাইনি।"
অনি কেবলমাত্র চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে থেমে থাকেননি। স্থানীয় রাজনৈতিক বিরোধের সুযোগ নিয়ে জমি দখল থেকে শুরু করে ককটেল বিস্ফোরণ ও সরাসরি হত্যাকাণ্ডের মতো অপরাধের সাথেও জড়িত ছিলেন। আবির হত্যার ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ত থাকলেও প্রভাবশালী নেতাদের কারণে তিনি শাস্তি এড়াতে সক্ষম হন।
২০২০ সালে চাঁদাবাজির মামলায় ফয়জুর রহমান নামে এক ব্যক্তির ফ্ল্যাট দখল করার চেষ্টার ঘটনাও আলোচনায় আসে। এই ঘটনায় অনির পাশাপাশি তার বড় ভাই নওশাদ আহমেদ অভি ও অন্যান্য সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও কোনো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটে অনেক জায়গায় রাজাকার তকমা লাগিয়ে সম্পত্তি দখলের অভিযোগও রয়েছে অনির বিরুদ্ধে। নগরীর বাউন্ডারি রোড ও জিলা স্কুল রোড এলাকায় জমি দখলের চেষ্টা করেন, যা পরবর্তীতে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সমাধান হয়। এছাড়া নতুন বাজার এলাকার ইজারা নিয়ে তিনি ব্যবসায়ীদের উপর জুলুম চালাতেন এবং ইজারার নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করতেন।
এনএনবি, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহে ত্রাসের এক নাম ছিল নওশেল আহমেদ অনি। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ক্ষমতার দাপটে নগরবাসীর কাছে ভীতির প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন তিনি। ছাত্রলীগের নেতার পদে বসে অনি তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপকে আরও প্রসারিত করেন। তার কিশোর গ্যাং এবং অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে শহরের মানুষের ভয়ে দিন কাটছিল। সাম্প্রতিককালে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের পর, এই কুখ্যাত ছাত্রলীগ নেতার অপরাধজগতের কাহিনী একে একে উঠে আসছে। সাগর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার অনির অপকর্মের ফিরিস্তি দীর্ঘ, যার মধ্যে রয়েছে প্রকাশ্যে গুলি ছোড়া, জমি দখল, এবং চাঁদাবাজির ইতিহাস।
নওশেল আহমেদ অনির সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু হয় কৈশোর থেকেই। স্থানীয় বেপরোয়া যুবকদের নিয়ে তিনি গড়ে তুলেছিলেন একটি কিশোর গ্যাং, যা তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অন্যতম হাতিয়ার ছিল। ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে তিনি এই অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী করেন। বিভিন্ন দলীয় মিছিল ও কর্মসূচিতে তার প্রকাশ্যে গুলি ছোড়ার ঘটনাগুলি ক্রমাগত আলোচনায় আসতে থাকে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের অভিযোগ, অনি শহরের নতুন বাজার এলাকায় চাঁদাবাজি করতেন এবং যারা প্রতিবাদ করতেন তাদের টর্চার সেলে নিয়ে অত্যাচার চালাতেন। এমনকি ছোট দোকানদার থেকে বড় ব্যবসায়ী পর্যন্ত কেউই তার জিম্মি দশা থেকে রেহাই পেতেন না। প্রতিবন্ধী ব্যবসায়ী খাইরুল ইসলামের দোকান দখলের ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "ভয়ে কিছু বলার সাহস পাইনি, থানায় অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাইনি।"
অনি কেবলমাত্র চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে থেমে থাকেননি। স্থানীয় রাজনৈতিক বিরোধের সুযোগ নিয়ে জমি দখল থেকে শুরু করে ককটেল বিস্ফোরণ ও সরাসরি হত্যাকাণ্ডের মতো অপরাধের সাথেও জড়িত ছিলেন। আবির হত্যার ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ত থাকলেও প্রভাবশালী নেতাদের কারণে তিনি শাস্তি এড়াতে সক্ষম হন।
২০২০ সালে চাঁদাবাজির মামলায় ফয়জুর রহমান নামে এক ব্যক্তির ফ্ল্যাট দখল করার চেষ্টার ঘটনাও আলোচনায় আসে। এই ঘটনায় অনির পাশাপাশি তার বড় ভাই নওশাদ আহমেদ অভি ও অন্যান্য সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও কোনো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটে অনেক জায়গায় রাজাকার তকমা লাগিয়ে সম্পত্তি দখলের অভিযোগও রয়েছে অনির বিরুদ্ধে। নগরীর বাউন্ডারি রোড ও জিলা স্কুল রোড এলাকায় জমি দখলের চেষ্টা করেন, যা পরবর্তীতে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সমাধান হয়। এছাড়া নতুন বাজার এলাকার ইজারা নিয়ে তিনি ব্যবসায়ীদের উপর জুলুম চালাতেন এবং ইজারার নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করতেন।
ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় নওশেল আহমেদ অনিকে। |
এসব
বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আজিজুল ইসলাম বলেন,
ইতোমধ্যে সাগর হত্যা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা অনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উপপরিদর্শক নাছিমা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নাছিমা আক্তার বলেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ নওশেল আহমেদ অনির ১০ দিন রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে হাজির করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রওশন জাহান আগামীকাল রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অনি গ্রেপ্তারের পর নগরবাসী কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে, কিন্তু তার অপরাধ সাম্রাজ্যের ক্ষত এখনো টাটকা। একসময় যে নগরবাসী ভয়ে মুখ খুলতে পারত না, আজ তারা ধীরে ধীরে অনির অন্ধকার জগতের সবকিছু প্রকাশ্যে আনছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলির তদন্ত চলমান থাকলেও, প্রভাবশালী নেতাদের সাহায্য ছাড়াই কীভাবে এই ধরনের অপরাধ সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন, তা প্রশ্নবিদ্ধ। এখন দেখা যাক, আইন তার কৃতকর্মের জন্য যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করতে পারে কি না।
COMMENTS