
এনএনবি, ঢাকা
বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনায় সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের ভাড়ায় যৌক্তিক ছাড়
দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি
মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
বুধবার (২০ আগস্ট ২০২৫) যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ও বাংলাদেশ কম্পিউটার
কাউন্সিলের ন্যাশনাল ডেটা সেন্টারের ডিজাস্টার রিকভারি ইউনিট পরিদর্শন শেষে
তিনি এ আশ্বাস দেন। এ সময় তিনি ছয় মাসের মধ্যে ডেটা সেন্টারের সম্প্রসারণ
কার্যক্রম শুরু হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।
যশোর সার্কিট হাউসে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ফয়েজ আহমদ তাদের অভিযোগ
শোনেন। বিনিয়োগকারীরা ভাড়া কমানোর দাবি জানালে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কমিটি কাজ
করছে। অতীতের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে নির্ধারিত রাজশাহী সফটওয়্যার পার্কের ভাড়াকে
মানদণ্ড ধরা হবে না। তবে কর্মসংস্থানের স্বার্থ ও প্রকৃত বিনিয়োগকারীদের সুবিধা
বিবেচনায় যৌক্তিক ছাড় দেওয়া হবে।’ তিনি শর্ত দেন, ছাড় পাওয়ার আগে বকেয়া ভাড়া ও
ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করতে হবে।
বিশেষ সহকারী আরও বলেন, ‘আগের সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া
রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সমস্যার সমাধান না করে অর্থ আত্মসাৎ করে পালিয়ে
গেছে। এতে সরকার ও বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ বিষয়ে হাই-টেক পার্ক
কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিয়েছে।’
সভায় সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের অন্তত ৪০টি প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসা টিকিয়ে
রাখার বিষয়ে মতামত দেয়। ফয়েজ আহমদ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন অব্যবহৃত
স্থাপনাগুলোতে হ্যাকাথন, আইডিয়াথন, স্টার্টআপ উন্নয়ন কার্যক্রম ও বিজ্ঞান মেলার
আয়োজনের মাধ্যমে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের যুক্ত করতে। পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তা,
ডিজিটাল ভেরিফিকেশন ও সাইবার লিটারেসি নিয়ে সচেতনতামূলক সেমিনার করারও আহ্বান
জানান। তিনি জানান, এসব কার্যক্রম যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম
তত্ত্বাবধান করবেন।
সফটওয়্যার পার্কে তিনি সেবা ডট এক্সওয়াইজেড এবং চালডাল ডট কমের কার্যক্রমও
পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে নতুন ডেটা সেন্টারের নকশা ও সাইট ঘুরে দেখে
অপারেশনাল মানোন্নয়নের নির্দেশনা দেন। তার আশা, আগামী ছয় মাসের মধ্যেই ন্যাশনাল
ডেটা সেন্টার এবং ডিজাস্টার রিকভারি ইউনিটের সম্প্রসারণ সম্পন্ন হবে।
এ সময় হাই-টেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম আমিরুল ইসলাম, যশোরের জেলা
প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহান, ডেটা সেন্টার কর্তৃপক্ষ,
ই-কমার্স খাতের প্রতিনিধি ও বিনিয়োগকারীরা উপস্থিত ছিলেন।
COMMENTS