সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে। ছবি: পিআইডি |
এনএনবি, ঢাকা
সরকারের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম শুরুর জন্য আগাম ঘোষণার পরেও নতুন করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে ঘোষণা করেছে যে, কমিশনগুলো কার্যক্রম শুরুর আগে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও একটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে, কেননা এই আলোচনার ফলাফল কমিশনের কাজের গতিপথ প্রভাবিত করতে পারে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন যে, দ্রুতই এই আলোচনা হবে।
দেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিলেও সেই কার্যক্রম পুরোদমে শুরুর আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও একটি আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফল সফর নিয়ে মূলত এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল, কিন্তু কমিশনগুলোর কাজ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত প্রকাশ করেন।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, "কমিশনগুলোর কাজ আগামীকাল থেকে শুরু করার কথা ছিল। তবে এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, তার আগে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও একটি আলোচনা করবে উপদেষ্টা পরিষদ।" তিনি বলেন, "এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে, কারণ রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত কমিশনের ভবিষ্যত কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।"
ড. ইউনূস ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে উল্লেখ করেন যে, নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান এবং দুর্নীতি দমনসহ বিভিন্ন খাতে সংস্কার আনার জন্য এই ছয়টি কমিশন গঠন করা হবে। বিভিন্ন খাতের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশন প্রধানদের নামও তখন ঘোষণা করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব কমিশন দেশের আইন ও প্রশাসনিক কাঠামোতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।
তবে, আজ পর্যন্ত কমিশন গঠনের বিষয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি, যা অনেকের মধ্যে প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের বক্তব্য অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পরই কমিশনগুলোর কার্যক্রম শুরু হবে। তিনি আরও জানান, "কমিটির প্রধানদের নাম ঘোষণার মাধ্যমে মূলত কিছু কাজ শুরু হয়েছে। তবে অংশীজন হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"
এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা এবং তাদের সমর্থন নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ, কমিশনের কার্যক্রম সফল হতে হলে রাজনৈতিক সমন্বয় অত্যাবশ্যক।
সংবাদ সম্মেলনে আরও তুলে ধরা হয় জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার সফল অংশগ্রহণের বিষয়। ড. ইউনূসের এই সফরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক এবং বৈশ্বিক ঋণ ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়। এই সফরকে প্রেস সচিব "ঐতিহাসিক এবং সফল" হিসেবে বর্ণনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর।
সরকারের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম শুরুর জন্য আগাম ঘোষণার পরেও নতুন করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে ঘোষণা করেছে যে, কমিশনগুলো কার্যক্রম শুরুর আগে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও একটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে, কেননা এই আলোচনার ফলাফল কমিশনের কাজের গতিপথ প্রভাবিত করতে পারে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন যে, দ্রুতই এই আলোচনা হবে।
দেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিলেও সেই কার্যক্রম পুরোদমে শুরুর আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও একটি আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফল সফর নিয়ে মূলত এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল, কিন্তু কমিশনগুলোর কাজ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত প্রকাশ করেন।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, "কমিশনগুলোর কাজ আগামীকাল থেকে শুরু করার কথা ছিল। তবে এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, তার আগে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও একটি আলোচনা করবে উপদেষ্টা পরিষদ।" তিনি বলেন, "এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে, কারণ রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত কমিশনের ভবিষ্যত কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।"
ড. ইউনূস ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে উল্লেখ করেন যে, নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান এবং দুর্নীতি দমনসহ বিভিন্ন খাতে সংস্কার আনার জন্য এই ছয়টি কমিশন গঠন করা হবে। বিভিন্ন খাতের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশন প্রধানদের নামও তখন ঘোষণা করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব কমিশন দেশের আইন ও প্রশাসনিক কাঠামোতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।
তবে, আজ পর্যন্ত কমিশন গঠনের বিষয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি, যা অনেকের মধ্যে প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের বক্তব্য অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পরই কমিশনগুলোর কার্যক্রম শুরু হবে। তিনি আরও জানান, "কমিটির প্রধানদের নাম ঘোষণার মাধ্যমে মূলত কিছু কাজ শুরু হয়েছে। তবে অংশীজন হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"
এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা এবং তাদের সমর্থন নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ, কমিশনের কার্যক্রম সফল হতে হলে রাজনৈতিক সমন্বয় অত্যাবশ্যক।
সংবাদ সম্মেলনে আরও তুলে ধরা হয় জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার সফল অংশগ্রহণের বিষয়। ড. ইউনূসের এই সফরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক এবং বৈশ্বিক ঋণ ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়। এই সফরকে প্রেস সচিব "ঐতিহাসিক এবং সফল" হিসেবে বর্ণনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর।
COMMENTS