এনএনবি, ঢাকা
চুরি যাওয়ার প্রায় দেড় মাস পর ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হকের আইফোনটি মালয়েশিয়া থেকে উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এর আগে, ৩০ এপ্রিল সকালে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীর উত্তম গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে প্রয়াত ভূমি প্রতিমন্ত্রীর সহধর্মিণী হাসনা মোশাররফের জানাজায় অংশ নেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলাল।
নামাজ শুরুর আগে নিজের ব্যবহৃত আইফোন ব্র্যান্ডের ফিফটিন প্রো ম্যাক্স মোবাইলটির এয়ারপ্লেন মোড অপশনটি অন করে কোনো এক ব্যক্তির হাতে দেন তিনি। নামাজ শেষ হলে সেই ব্যক্তি পরবর্তীতে মোবাইল ফোনটি ফেরত দেননি। কার কাছে মোবাইলটি দিয়েছেন তা মনে করতে পারছিলেন না মন্ত্রী। এরপর তার সহকারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে চোর চক্রের মূল হোতাসহ মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করে মালয়েশিয়া থেকে ফোনটি উদ্ধার করে ডিবি।
বুধবার (৫ জুন, ২০২৪) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জাকির হোসেন (৪০), মাসুদ শরীফ (৪১), মো. জিয়াউল মোল্লা জিয়া (৪৮), রাজিব খান মুন্না (২২), মো. আল আমিন মিয়া (২০), মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে সোহেল (২৭), মো. রাসেল (৩৮), মো. খোকন আলী (৩৬) ও মো. বিল্লাল হোসেন (৩৭)। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ চোরাই মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
এই চোর চক্রটি ৮০টি গ্রুপে ভাগ হয়ে কাজ করে জানিয়ে মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, ‘ঢাকায় কাজ করা চক্রটি কখনও পকেট মারে, কখনও ছোঁ মেরে মোবাইল নিয়ে যায়, আবার কখনও ছিনতাই করে। আর ঢাকা বাইরে চক্রের সদস্যরা বড় কোনও সমাবেশ, জানাজা বা জনসমাবেশকে টার্গেট করে চুরি করে। চক্রের কোনও সদস্য চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়লে অন্য সদস্যরা ভুক্তভোগীকে ঘিরে রেখে তাদের সদস্যদের পালাতে সাহায্য করে। এইসব চক্রের নেতৃত্ব দেন জাকির হোসেন।’
হারুন আরও বলেন, ‘ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি বা ছিনতাই করা ফোনগুলো জাকিরের কাছে জমা দিতেন চক্রের সদস্যরা। জাকির দামি মোবাইলগুলো বিদেশে থাকা চক্রের সদস্যদের কাছে পাঠিয়ে দেন। বিশেষ করে মালয়েশিয়া, ভারত ও দুবাইয়ে। বিদেশে পাঠানোর জন্য চোরাই মোবাইল ফোন প্রথমে তারা চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন মার্কেটে থাকা চক্রের সদস্যদের কাছে পাঠাতো। পরে সেখান থেকে কুরিয়ারের করে বিভিন্ন দেশে পাচার করা হতো।’
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘জামালপুরের জানাজা নামাজে যাওয়ার পরে তাঁর পকেট থেকে মুন্না নামের একজন মোবাইলটি চুরি করে। এরপর সেটি আসে রাসেলের কাছে। রাসেল ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে বোরহানের কাছে। এরপর সেই মোবাইল কামরুজ্জামান হিরু নামের একজনের কাছে দেয় বোরহান। হিরু মোবাইলটি মালয়েশিয়ায় পাঠিয়ে দেয়। তাদের গ্রেপ্তারের পর চক্রের সদস্যরা মালয়েশিয়া থেকে মোবাইলটি পাঠিয়ে দেয়।’
COMMENTS