![]() |
জুবাইদা সুলতানা (বামে)। ছবি: সংগৃহীত |
এনএনবি, ঢাকা
অবসরপ্রাপ্ত এক যুগ্ম সচিবের মেয়ে জুবাইদা সুলতানা (৪৪) রাজধানীর অভিজাত পাড়ার বিভিন্ন হোটেল, ক্লাবে ভুয়া পরিচয়ে সেমিনার এবং নানা প্রোগ্রামে রেজিস্ট্রেশন ও অংশগ্রহণ করে গত ১২ বছরে প্রায় ৮০০ মোবাইল ফোন চুরি করেছেন। অভিজাত পাড়ায় অভিজাত চোরের খ্যাতি পাওয়া জুবাইদা ইতঃপূর্বে এসব খারাপ অভ্যাসের জন্য পরিবার থেকে হয়েছেন বিতাড়িত।
শনিবার (১৬ মার্চ, ২০২৪) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, ‘গত ৩ মার্চ ঢাকা ক্লাবে গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজিবিষয়ক এক সিমিনারে অংশগ্রহণ করে ডা. ফারহানা হকের মোবাইল, ব্যাগ ও গহনা চুরি করেন জুবাইদা। ডা. ফারহানা হক গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চিকিৎসক। চুরির জিনিসপত্র বিক্রি করে দিলেও তার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি নিজের মোবাইলে হস্তান্তর করে নেন জুবাইদা। সেই থেকে ডা. ফারহানা সেজে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে যাচ্ছিলেন বিভিন্ন রোগীদের এবং হাতিয়ে নিচ্ছিলেন মোটা অংকের টাকা।’
এ বিষয়ে ১২ মার্চ, ২০২৪ রমনা মডেল থানায় একটি মামলা হওয়ার পর এ বিষয়ে ছায়াতদন্ত শুরু করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তদন্তের একপর্যায়ে শুক্রবার (১৫ মার্চ, ২০২৪) জুবাইদা সুলতানাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের সময় তাঁর কাছ থেকে নারীদের ১৬টি হ্যান্ডব্যাগ, ৪টি মোবাইল, ৫টি বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, অলংকার, বিভিন্ন সুপারশপের কার্ড ও ৪টি পেনড্রাইভ জব্দ করা হয়।
হারুন অর রশীদ আরও জানান, `জুবাইদার টার্গেট চাকরিজীবী নারী ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া নারী শিক্ষার্থীরা। তিনি ঢাকা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, রেডিসন এবং সোনারগাঁওয়ের মতো অভিজাত হোটেলে বিভিন্ন সভা-সেমিনারে অংশ নিতেন। সারাদিন গুরুগম্ভীর আলোচনার ফাঁকে চুরি করে সটকে পরতেন। চোরাই জিনিস ব্যবহার করে অভিলাষী জীবনযাপন করতেন জুবাইদা।’
ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, জুবাইদা সুলতানা ১২ বছর ধরে রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত ক্লাব ও হোটেলে চুরি করে আসছিলেন। এ পর্যন্ত প্রায় সাত থেকে আটশ মোবাইল, ল্যাপটপ ও দামি ভ্যানিটি ব্যাগ চুরি করেন অভিজাত এলাকা থেকে।
জুবাইদার বোন গ্রামীণফোনের একজন বড় কর্মকর্তা। জুবাইদার বিয়ে হয়েছে দুটি। তাঁর বর্তমান স্বামীর তিনি চতুর্থ স্ত্রী। তার স্বামী সৌদি আরব থাকলেও চুরি করা জিনিসপত্র বিক্রি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতেন।
COMMENTS