
শাহীন রহমান
এনএনবি, পাবনা
গাছে গাছে লিচুর মুকুলের সমারোহ। ম ম গন্ধে মাতোয়ারা চারপাশ। সেই মুকুলে মৌমাছিদের আনাগোনা। যেন প্রকৃতি সেজেছে লিচুর মুকুলে। পর্যাপ্ত মুকুল আসায় লিচু চাষিদের ঠোঁটে ফুটেছে তৃপ্তির হাসি। বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন লিচু চাষিরা।
এ চিত্র লিচুর রাজধানী হিসেবে পরিচিত উত্তরের জেলা পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার আওতাপাড়া গ্রামে লিচু বাগানের। এই জেলার সুস্বাদু আর রসালো লিচুর সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে।
পাবনা সদর ও ঈশ্বরদী উপজেলার বেশকিছু লিচু বাগান ঘুরে দেখা গেছে, চলতি মৌসুমে মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে লিচুর বাগান। লিচুর উৎপাদন এবার ভাঙতে পারে আগের রেকর্ড। তাই আশায় বুক বেঁধেছেন লিচু চাষিরা।
এনএনবি, পাবনা
গাছে গাছে লিচুর মুকুলের সমারোহ। ম ম গন্ধে মাতোয়ারা চারপাশ। সেই মুকুলে মৌমাছিদের আনাগোনা। যেন প্রকৃতি সেজেছে লিচুর মুকুলে। পর্যাপ্ত মুকুল আসায় লিচু চাষিদের ঠোঁটে ফুটেছে তৃপ্তির হাসি। বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন লিচু চাষিরা।
এ চিত্র লিচুর রাজধানী হিসেবে পরিচিত উত্তরের জেলা পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার আওতাপাড়া গ্রামে লিচু বাগানের। এই জেলার সুস্বাদু আর রসালো লিচুর সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে।
পাবনা সদর ও ঈশ্বরদী উপজেলার বেশকিছু লিচু বাগান ঘুরে দেখা গেছে, চলতি মৌসুমে মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে লিচুর বাগান। লিচুর উৎপাদন এবার ভাঙতে পারে আগের রেকর্ড। তাই আশায় বুক বেঁধেছেন লিচু চাষিরা।

জেলার সদর উপজেলা ছাড়াও ঈশ্বরদীর সিলিমপুর, সাহাপুর, রূপপুর, আওতাপাড়া, জয়নগর, চর রূপপুর, তিনগাছা, বাঁশেরবাদাসহ বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে লিচু আবাদ হয়ে আসছে। এখানকার উৎপাদিত লিচু চলে যায় রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে।
অধিকাংশ বাগানে থোকায় থোকায় বের হয়েছে লিচুর মুকুল। বর্তমানে পানি, সার, কীটনাশক স্প্রেসহ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটছে লিচু চাষিদের। গতবছরের তুলনায় এবার মুকুল বেশি আশায় ভাল ফলন ও দাম পাওয়ার আশা তাদের।
অধিকাংশ বাগানে থোকায় থোকায় বের হয়েছে লিচুর মুকুল। বর্তমানে পানি, সার, কীটনাশক স্প্রেসহ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটছে লিচু চাষিদের। গতবছরের তুলনায় এবার মুকুল বেশি আশায় ভাল ফলন ও দাম পাওয়ার আশা তাদের।

লিচুর বাগান পরিচর্যা করছিলেন আওতাপাড়া গ্রামের লিচু চাষি জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘গতবছর দেড় বিঘা জমির লিচু গাছ থেকে লিচু বিক্রি করেছিলাম ৩ লাখ টাকার। এবার যেমন মুকুল দেখছি তাতে ফলন বেশি হবে।’
আরেক চাষি ফয়েজ প্রামানিক বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে এবছর অনেক বেশি মুকুল দেখতে পাচ্ছি গাছে গাছে। আমরাও খুব আশাবাদি যে এবার ফলন আরো ভাল হবে। গত বছরের শেষের দিকে খরায় কিছুটা ক্ষতি হয়েছিলো। এবার লাভবান হবো বলে আশা করছি।’
সাহাপুর গ্রামের লিচু চাষি শহিদ আলী বলেন, ‘লিচুর ফলন নির্ভর করে আবহাওয়ার উপর। এবার এখন পর্যন্ত যেমন আবাহওয়া দেখছি, তেমন যদি থাকে, বিরূপ না হয়, তাহলে বাম্পার ফলন হবে। আমরা সেই লক্ষ্যে এখন বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছি।’
আরেক চাষি ফয়েজ প্রামানিক বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে এবছর অনেক বেশি মুকুল দেখতে পাচ্ছি গাছে গাছে। আমরাও খুব আশাবাদি যে এবার ফলন আরো ভাল হবে। গত বছরের শেষের দিকে খরায় কিছুটা ক্ষতি হয়েছিলো। এবার লাভবান হবো বলে আশা করছি।’
সাহাপুর গ্রামের লিচু চাষি শহিদ আলী বলেন, ‘লিচুর ফলন নির্ভর করে আবহাওয়ার উপর। এবার এখন পর্যন্ত যেমন আবাহওয়া দেখছি, তেমন যদি থাকে, বিরূপ না হয়, তাহলে বাম্পার ফলন হবে। আমরা সেই লক্ষ্যে এখন বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছি।’

এবার লিচুর ভাল ফলন আশা করছে জেলা কৃষি বিভাগও। পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ‘সবজি বা পেঁয়াজ ছাড়াও পাবনা জেলা লিচুর জন্য সারাদেশে বিখ্যাত। এবার গাছে প্রচুর মুকুল দেখা যাচ্ছে। লিচু চাষিদের পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতায় কাজ করছেন মাঠ পযায়ের কৃষি কর্মকর্তারা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গতবছরের তুলনায় বেশি লাভবান হবেন চাষিরা।’
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি বছর পাবনায় ৪ হাজার ৭২১ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৭৮ মেট্রিকটন। টাকার অংকে প্রায় ছয়শ’ কোটি টাকার লিচু বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি বছর পাবনায় ৪ হাজার ৭২১ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৭৮ মেট্রিকটন। টাকার অংকে প্রায় ছয়শ’ কোটি টাকার লিচু বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে।
COMMENTS