এনএনবি নিউজ
একাদশ জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে আজ বিকেলে।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আজ বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে।
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের ধারা (১) অনুযায়ী তাকে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সংসদের ২৩তম অধিবেশন আহ্বান করেন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল আগামীকাল ১ জুন আগামী অর্থবছরের জাতীয় বাজেট পেশ করবেন। আগামী ২৫ জুন সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট পাস হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধির গতি বজায় রাখার লক্ষে সম্ভাব্য বাজেটের আকার হবে ৭৬১,৭৮৫ কোটি টাকা।
সরকার এই সময় আগামী অর্থবছরে ৭.৫% প্রবৃদ্ধির হার অর্জনের লক্ষে রয়েছে যেখানে প্রায় ৬.৫% মূল্যস্ফীতি। আগামী বছরে মোট বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা হবে জিডিপি’র ৩৩.৮ শতাংশ।
এছাড়াও এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি ও বক্তব্য রাখেন।
সমাবর্তনে ২০২১ এবং ২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের স্নাতক, মাস্টার্স, পিএইচডি এবং ডিপ্লোমা ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অসামান্য ফলাফলের জন্য দুই ধরনের স্বর্ণপদক আইইউটি স্বর্ণপদক এবং ওআইসি স্বর্ণপদক দেয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আইইউটির উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর অর্থায়নে আইইউটির নবনির্মিত মহিলা হলেরও উদ্বোধন করেন।
আইইউটি বাংলাদেশের একটি শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-যা অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি) এর অর্থায়নে পরিচালিত হয়।
আইইউটি’র মূল উদ্দেশ্য হল ওআইসি’র সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মানবসম্পদ উন্নয়নে-বিশেষ করে প্রকৌশল, প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে অবদান রাখা।
আইইউটি ওআইসিভূক্ত সদস্য দেশগুলো থেকে সরাসরি অনুদান পায় এবং ছাত্রদের বিনামূল্যে শিক্ষাদান, বোর্ডিং, বাসস্থান ও চিকিৎসা প্রদান করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ওআইসির সব এজেন্ডা ও কর্মকান্ডে সার্বক্ষণিক সমর্থন দিয়ে আসছে।
আমরা আইইউটি-এর গর্বিত হোস্ট, এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবং আমরা আইইউটি-এর মসৃণ কার্যকারিতার জন্য যে কোনও ধরনের সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছি, তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত করতে চাই যে ভবিষ্যতেও আইইউটিকে সমর্থন করার বিষয়ে আমরা এটি বজায় রাখার অঙ্গীকার করছি।
শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন যে আজকের গ্রাজুয়েটরা আগামী দিনে বিশ্বের প্রযুক্তিবিদ, উদ্ভাবক এবং বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি অব্যাহত রাখবে।
দেশের উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁরা আগামী ১ জুন একটি নতুন অর্থবছরের বাজেট পেশ করতে যাচ্ছেন এবং এর আকার হবে ৭ লাখ কোটি টাকার বেশি।
দেশে একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করার কারণে বিদ্যমান অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে, যার ফলে বাংলাদেশে আজ স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেক ঝড় এসেছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। অনেক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবুও আমি বলব, দেশ যখন স্থিতিশীল থাকবে, দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা থাকবে, তখনই দেশ সমৃদ্ধ হতে পারবে।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে তৎকালীন বিএনপি আমলের উন্নয়ন কর্মকান্ডের তুলনা ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি শাসনামলে ২০০৬ সালে বাজেট ছিল মাত্র ৬১,০০০ কোটি টাকা, আওয়ামী লীগ সরকারের দেওয়া অর্থবছরের বাজেট বেড়েছে ৬ লাখ কোটি (গত অর্থবছর) টাকা। ।
তিনি আরও বলেন, ২০০৬ সালে (বিএনপি আমলে) জিডিপির আকার ছিল মাত্র ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, বর্তমানে তা ৪৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
এদিকে, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০৬ সালে মাথাপিছু আয় ৫৪৩ মার্কিন ডলার, যা ২০২২ সালে ২,৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জনসংখ্যার গড় আয়ু ৫৭ বছর (বিএনপি আমল) থেকে বেড়ে ৭৩ বছর হয়েছে এবং গত সাড়ে ১৪ বছরে শিশুমৃত্যু হার কমেছে প্রতি হাজারে ২১, এবং গর্ভাবস্থা জনিত মৃত্যুহার প্রতি ১ লাখে ১২৩ কমেছে।
সরকার প্রধান বলেন, তার সরকার জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চায়। এই স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট জনসংখ্যা, একটি স্মার্ট সমাজ এবং একটি স্মার্ট জনশক্তি থাকবে।
তিনি বলেন, তারা দেশের জনসংখ্যাকে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হতে শেখাবেন যাতে তারা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে দক্ষতার সঙ্গে অবদান রাখতে পারে।

COMMENTS