আগামী ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সম্মেলন। এই সম্মেলনকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে নেতাকর্মীদের মাঝে। তবে জাতীয় পার্টির জিএম কাদের পন্থিদের মাঝে ব্যাপক প্রস্তুতি দেখা গেলেও নিরব রয়েছে রওশন এরশাদপন্থি নেতা-কর্মীরা। তারা প্রকাশ্যে না এসে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন। তারা রওশন এরশাদের দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৫ অক্টোবর রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ্যাড. সালমা ইসলাম এমপি, মহাসচিব এ্যাড. মুজিবুল হক চুন্নু সহ কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রায় অর্ধডজন নেতার সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করার কথা রয়েছে।
তবে সম্মেলনকে ঘিরে সাজ সাজ রব দেখা গেলেও অনেক নেতাকর্মী মনে করছেন আগের কমিটি বহাল রেখে কমিটি গঠনের ঘোষণা আসতে পারে। বর্তমান কমিটিতে সভাপতি পদে রয়েছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছে দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইয়াসির।
এদিকে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির দুই বছর মেয়াদি কমিটি গঠন করা হয়েছিল ২০১৭ সালে। সে সময় জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদ প্রধান অতিথি ছিলেন। এর পরে ২০১৮ সালের আগস্টে পূর্বের কমিটি বহাল রেখে দুই বছরের জন্য আগের কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। বর্তমানে কমিটির মেয়াদ দুই বছর পার হয়েছে। ২৫ অক্টেবর ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে জাপার কমিটি গঠন করতে পারলেও মহানগরের ৬টি থানায় এখন কমিটি গঠন হয়নি। তবে জাপা নেতারা বলেছেন, সম্মেলনের পরে থানা কমিটি গঠন করা হবে।
তবে জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা মনে করেন, সামনে আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনের আগে এবারের এই সম্মেলন অনেক গুরুত্ব বহন করবে। বিগত সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করে এখানে জাতীয় পার্টির মনোনিত প্রার্থী বিজয়ী হন। বিজয়ের ধারাবাহিতকা ধরে রাখতে এবং জাতীয় পার্টিকে সংগঠিত করতে এই সম্মেলনের গুরুত্ব অনেক। এজন্য সব ধরণের প্রস্তুুতি নেয়া হয়েছে।
এদিকে রওশনপস্থি একাধিক নেতা-কর্মীর সাথে কথা হলে তারা বলেন, রওশন এরশাদ দেশে ফিরলে দলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন। রওশন এরশাদের সিদ্ধান্ত মত তারা চলবেন।
মহানগর জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন বলেন, রংপুর হচ্ছে জাতীয় পার্টির দূর্গ। নেতাকর্মীরা সম্মেলনকে ঘিরে চাঙ্গা। আশা করছি এই সম্মেলনের পর রংপুরে নতুন উদ্যামে কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ ইয়াসির বলেন, সম্মেলনকে ঘিরে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সম্মেলনের মাধ্যমে রংপুরে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে।
COMMENTS