শেখ হাসিনা |
মোল্লা জালাল
আওয়ামী লীগের বিপর্যয়কর পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে নেতৃত্বে বড় পরিবর্তন দরকার। বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা, দায়িত্বশীল নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা, এবং কেমন হওয়া উচিৎ আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ...
১.
বর্তমান পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার উচিত দল পুনর্গঠনে সর্বাত্মক মনোযোগী হওয়া। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনে দলের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করে অভিভাবক হিসেবে দলের বর্ষীয়ান নেতা সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদকে আওয়ামী লীগের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করা। কারণ আব্দুল হামিদের মত সর্বজন গ্রহণযোগ্য একজন ব্যক্তি দলের এই দু:সময়ে নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ালে সবাই মনোবল ফিরে পাবে।
আওয়ামী লীগের মূল নেতা হিসেবে দলকে এই বিপন্ন ব্যবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর উপযোগী করার জন্য এখন নতুন কিছু করতে হবে।
শেখ হাসিনাকে বুঝতে হবে, দলের নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করতে না,পারলে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অন্ধকার।কেননা বাংলাদেশে এখন আওয়ামী লীগ বলতে কিছু নেই। হাটে ঘাটে মাঠে বাজারেও আওয়ামী লীগের কোন নেতা কর্মীকে দেখা যায় না। কেন্দ্র থেকে শুরু করে জেলা উপজেলা পর্যন্ত মামলা হামলার ভয়ে সব পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এমতাবস্থায় আওয়ামী লীগের সত্যিকারের নেতা কর্মী সমর্থকরা দিশাহীন। তারা বুঝতে পারছেনা এখন কি করা উচিত। এজন্যই বর্তমান পরিস্থিতিতে নেতা নয়, দলের একজন গ্রহণযোগ্য অভিভাবক দরকার। যাকে ভরসা করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারীরা সবাই একত্রিত হতে পারবে বা যিনি সবাইকে একত্রিত করে রাখতে পারবেন। ১/১১এর সময় যেমনটি করেছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান।
২.
দল পুনর্গঠনের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলী, প্রেসিডিয়াম, কার্যনির্বাহী কমিটিসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের কমিটিগুলোও বিলুপ্ত ঘোষণা করতে হবে অথবা নেতৃত্ব থেকে আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়া বিতর্কিতদের বাদ দিতে হবে। কারণ এরা এখন মামলা হামলার ভয়ে পলাতক। যদিও তাতে তাদের কোন লাভ হবে না বা হচ্ছে না।কেননা যাদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার তা হচ্ছেই। ইতোমধ্যেই দায়েরকৃত মামলায় তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা শুরু হয়েছে।
৩.
শেখ হাসিনাকে মনে রাখতে হবে বিগত ১/১১ এর পর মামলা করেছিল ১/১১ এর সরকার। কিন্তু পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে নিজেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মলাগুলো প্রত্যাহার করলেও বিএনপির বিরুদ্ধে করা একটি মামলাও প্রত্যাহার করেনি। এবার মামলা হচ্ছে ইউনূস সরকার আমলে। বিএনপি বা তাদের জোট ক্ষমতায় গেলে তারাও কিন্তু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলাও প্রত্যাহার করবেনা।
আওয়ামী লীগের বিপর্যয়কর পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে নেতৃত্বে বড় পরিবর্তন দরকার। বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা, দায়িত্বশীল নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা, এবং কেমন হওয়া উচিৎ আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ...
১.
বর্তমান পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার উচিত দল পুনর্গঠনে সর্বাত্মক মনোযোগী হওয়া। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনে দলের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করে অভিভাবক হিসেবে দলের বর্ষীয়ান নেতা সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদকে আওয়ামী লীগের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করা। কারণ আব্দুল হামিদের মত সর্বজন গ্রহণযোগ্য একজন ব্যক্তি দলের এই দু:সময়ে নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ালে সবাই মনোবল ফিরে পাবে।
আওয়ামী লীগের মূল নেতা হিসেবে দলকে এই বিপন্ন ব্যবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর উপযোগী করার জন্য এখন নতুন কিছু করতে হবে।
শেখ হাসিনাকে বুঝতে হবে, দলের নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করতে না,পারলে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অন্ধকার।কেননা বাংলাদেশে এখন আওয়ামী লীগ বলতে কিছু নেই। হাটে ঘাটে মাঠে বাজারেও আওয়ামী লীগের কোন নেতা কর্মীকে দেখা যায় না। কেন্দ্র থেকে শুরু করে জেলা উপজেলা পর্যন্ত মামলা হামলার ভয়ে সব পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এমতাবস্থায় আওয়ামী লীগের সত্যিকারের নেতা কর্মী সমর্থকরা দিশাহীন। তারা বুঝতে পারছেনা এখন কি করা উচিত। এজন্যই বর্তমান পরিস্থিতিতে নেতা নয়, দলের একজন গ্রহণযোগ্য অভিভাবক দরকার। যাকে ভরসা করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারীরা সবাই একত্রিত হতে পারবে বা যিনি সবাইকে একত্রিত করে রাখতে পারবেন। ১/১১এর সময় যেমনটি করেছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান।
২.
দল পুনর্গঠনের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলী, প্রেসিডিয়াম, কার্যনির্বাহী কমিটিসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের কমিটিগুলোও বিলুপ্ত ঘোষণা করতে হবে অথবা নেতৃত্ব থেকে আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়া বিতর্কিতদের বাদ দিতে হবে। কারণ এরা এখন মামলা হামলার ভয়ে পলাতক। যদিও তাতে তাদের কোন লাভ হবে না বা হচ্ছে না।কেননা যাদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার তা হচ্ছেই। ইতোমধ্যেই দায়েরকৃত মামলায় তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা শুরু হয়েছে।
৩.
শেখ হাসিনাকে মনে রাখতে হবে বিগত ১/১১ এর পর মামলা করেছিল ১/১১ এর সরকার। কিন্তু পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে নিজেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মলাগুলো প্রত্যাহার করলেও বিএনপির বিরুদ্ধে করা একটি মামলাও প্রত্যাহার করেনি। এবার মামলা হচ্ছে ইউনূস সরকার আমলে। বিএনপি বা তাদের জোট ক্ষমতায় গেলে তারাও কিন্তু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলাও প্রত্যাহার করবেনা।
অপরদিকে ইউনূসকে যদি বিদায় নিতে হয় তখনো তিনি কোন মামলা প্রত্যাহার করে মহান হতে যাবেন না। ফলে আওয়ামী লীগের পরিচিত নেতাদের বড় অংশটিকে জেলেই থাকতে হবে। মাঝারি কিংবা ছোট নেতাদের মনে করতে হবে রাজনীতিতে টিকে থাকতে হলে হাত কড়া আর কোমড়ে দড়ি লাগার ঝুঁকি নিয়েই সংগঠন করতে হবে।
৪.
বর্তমান পরিস্থিতিতে দলের সকল পর্যায়ে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। অন্যথায় দলের অস্তিত্ব চরম সংকটের মুখে পড়বে। পাশাপাশি দল থেকে হাইব্রিড কাউয়্যা তাড়ানোর জন্য ১৯৯৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোতে যোগদানকারী সকলের প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলের ঘোষণাও দিতে হবে। কারণ আগামীদিনে এরা কেউ আওয়ামী লীগে থাকবেনা। ইউনূস দল বানালে সেখানে চলে যাবে।
৫.
১৯৭৫ সালের পর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশত্যাগের অভিজ্ঞতার আলোকে শেখ হাসিনাকে বুঝতে হবে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ তাঁর নিজের বা তার পরিবারের সম্পত্তি নয়, বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ জাতির সম্পদ। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আগামী দিনে এই ঐতিহ্যবাহী দলের নেতৃত্ব নিজের পুত্র-কন্যা কিংবা স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়ার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। তাঁর বুঝতে হবে কি পরিস্থিতিতে কাদের অপকর্মের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। তাঁর দেশত্যাগের পর একমাত্র গোপালগঞ্জ ছাড়া সারাদেশে দলের এতো নেতাকর্মী ও সুবিধাভোগী থাকতেও কোথাও কোন প্রতিবাদ বা প্রতিরোধের খবর পাওয়া যায়নি। গোপালগঞ্জের মানুষ রুখে দাঁড়ালে সেখানে সেনাবাহিনীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল। অথচ ওই সময়টায় মাঠে না ছিল পুলিশ, না ছিল র্যাব। সেনাবাহিনীও ছিল কিছুটা নিষ্ক্রিয়। মাঠে ছিল শুধু ক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা। তখন ওদের সামনে দাঁড়ানোর সাহস দেখাতে পারেনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সমর্থকরা।
তর্কের খাতিরে যদি ধরে নেই ঢাকায় না হয় ছাত্র জনতা ব্যাপকভাবে সংগঠিত ছিল। সারাদেশেতো তা ছিল না। তারপরও বিভাগীয় শহরসহ জেলা উপজেলা ও গ্রামগঞ্জে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কেন প্রতিবাদী হতে পারলো না! এ বিষয়টি বিশ্লেষণের দাবি রাখে। এভাবে সরকার পতন ও শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদে সারাদেশ গর্জে উঠলে দেশে বিদেশে পুরো সিনারিটাই পাল্টে যেতো। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে শেখ হাসিনার গ্রহণযোগ্যতাও বৃদ্ধি পেতো। কিন্তু তেমন কিছু না হওয়ায় এখন পরিস্থিতি ভিন্ন।
৬.
সবাই জানে ছাত্রদের কোটাবিরোধী আন্দোলনের সাথে ছাত্রবেশে কারা যুক্ত হয়েছিল।এটা আমার কথা নয়, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এমপি, নেতারাই বলেছেন, ছাত্রদের আন্দোলন ছিনতাই হয়ে গেছে। কারা করেছে তাও বলেছেন। আওয়ামি লীগের ভাষায় তারা জামাত শিবির বিএনপি। তাহলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কেন পারলো না ওই জামাত শিবির বিএনপির মুখোমুখি হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে।
গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাতো ওদের চেয়ে অর্থে বিত্তে সাহস ও শক্তিতে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছিল। তারপরও তারা ভয়ে পালিয়ে আত্মরক্ষা করেছে। এ যেন সিরাজদৌলার পলাশী যুদ্ধের কাহিনীর মতই। সামান্য কিছু জামাত শিবির বিএনপির কাছে আওয়ামী লীগের বিশাল বাহিনীর শোচনীয় পরাজয়। এই বাস্তবতার নিরিখে আগামী দিনে আওয়ামী লীগ কাদের নিয়ে লড়াই সংগ্রাম করবে। আবার ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখবে? নাকি ভারত এসে ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে?
৭.
শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের ফলে সারাদেশে আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতা-কর্মী সমর্থকরা কি অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে পড়েছে। শেখ হাসিনাকে তা উপলব্ধি করতে হবে। একই সাথে তাকে মূল্যায়ন করতে হবে তাঁর সরকারের মন্ত্রী এমপিসহ দলের কিছু নেতা পাতি নেতা ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ধান্দাবাজ বেনিফিসিয়ারিদের অপকর্মের কারণে আজকে দেশবাসীর অনেকের মনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এতো ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে দেশের এই অবস্থা এবং আওয়ামী লীগের মতো একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল আজ বিপন্ন প্রায়। দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা লাজে সরমে দু:খে কোথাও আজ মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনা। তারা এখন জোর গলায় কিছু বলতেও কুণ্ঠা বোধ করে।
অপরদিকে যারা বেশি টকটক বকবক করতো তারাও এখন গর্তে ঢুকে মুখে কুলুপ এঁটেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তারা নেই। সবাই যেন আলেমুল গায়েব হয়ে গেছে।নয়তো তারা যেকোনো ফর্মে গোপনে শেখ হাসিনার সাথে যোগাযোগ করে বলছে ‘আপা’ আপনি কিচ্ছু চিন্তা করবেন না। সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। আপনি আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন...। এই সেই ইত্যাদি নানা কিছু। শেখ হাসিনাতো আবার তোষামোদিতে খুশি হন। চাটুকাররা তাঁর কাছের লোক হয়!
তবে আবার এটাও শুনা যাচ্ছে, টকটক বকবককারি অনেকে নাকি ইউনূস সরকারের সাথে যোগাযোগ স্থানের জন্য খায়-খাতিরের লোক মারফত চেষ্টা তদবির চালিয়ে যাচ্ছে। এটাই স্বাভাবিক কারণ এরা ক্ষমতার ‘ওম’ ছাড়া থাকতে পারেনা। ক্ষমতার কাছাকাছি পাশাপাশি ছবিটবি থাকলে ধান্দাবাজিগুলো ঠিক মত করতে পারে।
৮.
এহেন পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনার উচিত হবে জাতির উদ্দেশ্য একটি ভিডিও বার্তায় তার দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনামলের সকল ভুলত্রুটির জন্য দু:খ প্রকাশ করে সমস্ত রাগ ক্ষোভ দু:খ ভুলে জাতিধর্ম বর্ণ নির্বিশেষ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশটাকে একটি সমৃদ্ধ জনপদে পরিণত করার লক্ষ্যে সকলকে একাত্ম হয়ে দেশের জন্য কাজ করার আহ্বান জানানো।
৯.
রাজনীতিতে ভুল স্বীকার ও দু:খ প্রকাশে বিনয়ী হলে অসম্মানের কিছু নেই। বরং তাতে সমর্থন বাড়ে। এসব কোন কিছুই ভাবতে হতো না যদি দেখা যেতো তার দল আছে এবং দলের শক্তি সামর্থ্য দৃশ্যমান। ভিডিও বার্তায় তিনি সন্তানতুল্য প্রকৃত ছাত্রদের উদ্দেশ্যেও বলতে পরেন। রাগে ক্ষোভে তোমরা আমাকে দেশত্যাগে বাধ্য করেছ। আমি তোমাদের এই তারুণ্যের শক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলছি, এখন তোমরা পড়াশুনায় মন দাও। নিজেদেরকে মেধাবী শিক্ষিত সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোল। তোমারাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। কারো প্ররোচনা বা হুজুগে নয়, পিতা-মাতা ও অভিভাবকদের নির্দেশ মেনে চলো তাতে তোমাদের মঙ্গল হবে। আর মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশটাকে ভিন্ন ধারায় নিয়ে যেতে দিও না। আল্লাহ তোমাদের সহায় হোন। জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
১০.
দলের মুখ্য নেতা হিসেবে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে গেলে শেখ হাসিনাকে এখন থেকেই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত ঢেলে সাজতে হবে। বিগত ১৫ বছরে যে সকল নেতাকর্মী নানাভাবে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে, যাদের চেহারা ও চাল চলন দেখলেই সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় সে সকল নেতাকর্মীরা যাতে আওয়ামী লীগের ত্রিসীমায় আসতে না পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।
শেখ হাসিনার মনে রাখা দরকার আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যগতভাবে এমন একটি দল যাদের কোন পেশিশক্তি ও অর্থ বিত্তের প্রয়োজন হয় না। যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী। তারা প্রয়োজনে অটো সংগঠিত হয়ে লড়াই সংগ্রামের শক্তি সঞ্চয় করে।
সে কারণেই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এক সুরে কথা বলে। এখানেই অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে আওয়ামী লীগের পার্থক্য।
১১.
পুনর্গঠিত আওয়ামী লীগে সেসব লোকের দরকার যারা “আওয়ামী লীগ” নামের অনুভূতিটা বুকে ধারণ করে। যে সব লোকের জীবনাচার সাধারণ মানুষের মত। যাদের চলন বলন দেখলে মানুষের মনে শ্রদ্ধা জাগে।
১২.
শেখ হাসিনাকে বুঝতে হবে বর্তমান বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০% মানুষের বয়স ২০ থেকে ৪০ এর কোঠায়। এই বিপুল জনগোষ্ঠীর কাছে আওয়ামী লীগকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে হবে। এই বিপুল জনগোষ্ঠীকে দলে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করতে হবে এবং দলে তাদের যুক্ত হওয়ার সুযোগ রাখতে হবে।
১৩.
এবারের কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী এমপি নেতা-নেত্রীর ছেলে মেয়েদের অংশগ্রহণ ব্যাপকভাবে চোখে পড়েছে। শেখ হাসিনাকে বুঝতে হবে কেন এমন হলো। আওয়ামী পরিবারের ছেলেমেয়েরা কেন ভিন্ন চিন্তা ধারার ছেলে মেয়েদের সাথে আন্দোলনে যুক্ত হলো! এর অন্তর্নিহিত কারণগুলো অনুসন্ধান করতে হবে।
১৪.
আওয়ামী লীগের নেতারা হচ্ছে স্কুলের হেড মাস্টারের মত। তারা মনে করে তারাই সব বুঝে , তারাই জ্ঞানী তারাই গুণী।তারা দ্বিমত সহ্য করতে পারেনা কর্মীদের সাথে তাদের কোন শেয়ারিং নেই। ফলে নেতাদের চিন্তা ভাবনা সাথে সাথে কর্মীদের আত্মিক অংশগ্রহণ থাকেনা। বর্তমানে আওয়ামী লীগের নেতাদেরকে কর্মীরা বিশ্বাস করে না।এতে নেতাদের সাথে কর্মীদের অনেক দূরত্ব সৃষ্টি হয়ে গেছে।
অপরদিকে নিউ জেনারেশনের সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ না থাকায় ওদের মনে আওয়ামী লীগের কোন জায়গা তৈরি হয়নি। পাশাপাশি ছাত্রলীগ নামের সংগঠনটি হয়ে গেছে একটি দানবীয় শক্তি। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব আর টেন্ডারবাজি করা ছাড়া তাদের আর কোন কাজ ছিল না। ফলে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের কাছে ছাত্র লীগের নেতা কর্মীরা হয়ে যায় দুর্বৃত্ত। ফলে আওয়ামী পরিবারের ছেলেমেয়েরাও বহুলাংশে ছাত্রলীগের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
১৫.
শেখ হাসিনাকে বুঝতে হবে শুধু আবেগ আর ইতিহাস বিক্রি করে সংগঠন শক্তিশালী করা যায় না। সংগঠনে মত প্রকাশের সুযোগসহ শ্রম ও মেধার মূল্যায়ন থাকতে হয়। সে সুযোগ না থাকলে সংগঠন কোনদিনই মজবুত হবেনা। তাছাড়াও গণতান্ত্রিক রাজনীতি, সরকার ও সমাজ ব্যবস্থায় একজনকে সব সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দিলে যেমন জবাবদিহিতা থাকেনা তেমনি ব্যর্থতার দায়ও কেউ নেয় না শুধু তোষামোদি আর চাটুকারিতার বিস্তার ঘটে।
১৭.
দল ও সরকার পরিচালনায় অতীতে এই চর্চা না থাকার ফলে আওয়ামী লীগের মত দলকে আজকে ফ্যাসিস্ট বলা হচ্ছে। অথচ আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে লড়াকু একটি রাজনৈতিক দল।
১৮.
যেহেতু রাজনৈতিক দলে সাংগঠনিক নেতৃত্ব থাকা খুবই জরুরি, সেহেতু খুঁজে দেখতে হবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী ক্লিন ইমেজের এমন কেউ আছে কিনা যাকে বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন ধারায় আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন করার দায়িত্ব দেয়া যায়। এই সময়ে তেমন কাউকে না পাওয়া গেলে অভিভাবক হিসেবে আব্দুল হামিদের পরামর্শ মোতাবেকই দলের নেতা কর্মীরা যার যার অবস্থান থেকে দলের জন্য কাজ করবে।
১৯.
নতুন ধারায় দল সংগঠিত করার লক্ষ্যে নীতিমালা হবে :
- আওয়ামী লীগের কোন পর্যায়ে দলের দীর্ঘদিনের ত্যাগী ও পরীক্ষিত লোক ছাড়া কাউকেই কোন পদে নির্বাচিত করা বা দায়িত্ব প্রদান করা যাবেনা। শুধু তাই নয়, সম্মেলন ছাড়া কোন পর্যায়ের কমিটিও গঠন করা যাবেনা।
- আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একটি নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। যেমন- সত্যিকার কৃষক ছাড়া কৃষক লীগ, শ্রমিক ছাড়া শ্রমিক লীগ এবং প্রকৃত ছাত্র ছাড়া কেউ ছাত্রলীগের সদস্য হতে পারবেনা।
- সেচ্ছাসেবক লীগ, ওলামা লীগ, প্রজন্মলীগ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, বঙ্গমাতা লীগ ইত্যাদিসহ ব্যাঙ্গের ছাতার মত গজিয়ে উঠা নাম সর্বস্ব ধান্দাবাজির সকল সংগঠন নিষিদ্ধ করতে হবে।
- কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত প্রত্যেক সংগঠনের সদস্যের নামের তালিকাসহ মোবাইল নম্বর সম্বলিত পৃথক রেজিস্ট্রার রাখতে হবে।
- শিক্ষিত ও দক্ষ প্রযুক্তিবিদদের সমন্বয়ে দলের একটি পেশাদার আইটি সেল গড়ে তুলতে হবে।
২০.
সার্বিক দিক বিবেচনায় বর্তমান পরিস্থিতিতে সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মনোবল অটুট রাখার আহ্বান জানালে সারাদেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসায় সাহস পাবে।
তাড়াহুড়ো করে কোন লাভ হবেনা। তাছাড়া এক্ষুনি কোন মিছিল সমাবেশ করারও দরকার নেই । সময়ই বলে দিবে কখন কি করতে হবে। এখন শুধু ঘরোয়াভাবে দলকে সংগঠিত করা জরুরি। আগামীতে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার পর আওয়ামী লীগ কি করবে সেটা এখনই ঠিক করে সে লক্ষ্যে সাংগঠনিক কাজ শুরু করতে হবে। অন্যথায় তিনশ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীই খুঁজে পাওয়া যাবেনা।
২১.
রাষ্ট্র মেরামতের দায়িত্ব যারা নিয়েছেন তারা তাদের কাজ করুক। তাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। দেশ যতটা এগিয়ে ছিল তা থেকে পিছিয়ে পড়লে সংস্কারকরা দায় এড়াতে পারবেন না। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষ অনেক বেশি অধিকার সচেতন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী-সমর্থকদের এখন কাজ হবে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করে দূরত্ব কমানো আর পর্যালোচনা করা কেন এবং কি কি কারণে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে দেশত্যাগে বাধ্য হতে হলো। তাঁর দেশত্যাগের সাথে সাথেই সংসদের নৌকা মার্কার দুইশতাধিক ও নৌকার বৈঠা (স্বতন্ত্র) মার্কার শতাধিক এমপিকে কেন পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এটা কি শুধুই মামলার ভয় না আরো কিছু! শুধু এমপি মন্ত্রীরাই নয়, কেন্দ্র থেকে শুরু করে জেলা উপজেলা পর্যায়ের নেতা কর্মীরাও পলাতক। এটা খুবই বিস্ময়কর। তারা কেন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। মামলা হলে হবে। পুলিশ অ্যারেস্ট করলে করবে, আদালত বড়জোর জেলে পাঠাবে এইতো। জেল পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়িয়েতো রাজনীতি করা যাবেনা। সাহস ও দৃঢ়তার সাথে সব কিছু মোকাবেলা করতে হবে। যে সব মামলা হচ্ছে তাতে কার।। ফাঁসি হবেনা। বড়জোর কিছু দিন জেল হাজতে থাকতে হবে।
২২.
মনে রাখতে হবে সরকারের বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থান আর রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন এক মানদণ্ডে বিচার করার বিষয় নয়। লড়াই সংগ্রাম করেই অধিকার আদায় করতে হয়। সবচেয়ে বড় কথা নেতাকর্মীদের বুঝতে হবে রাজনীতি কোন ব্যবসা নয়, দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার জন্যই রাজনীতি।
২৩.
শেখ হাসিনা এখন ভারতে অবস্থান করছেন। ওখানে বসে শুধু শুধু নিরর্থক বিবৃতি দিয়ে কিছু হবেনা। বরং তাতে ভারত সরকারও এক সময় বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে পারে। এতে প্রতিবেশী দুটি দেশের মধ্য তিক্ততা বাড়বে আর তাতে উভয় দেশের জনজীবনে দুর্ভোগ বেড়ে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।। যা কারো কাম্য নয়। এমনিতেই বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে ভারতের অবস্থান নিয়ে দেশের মানুষের মনে অনেক বিভ্রান্তি রয়েছে। তবে এর মধ্যে যারা মনে করেন যুদ্ধ করে ভারতের সাথে বিদ্যমান সব সমস্যার সমাধান করে ফেলবেন। তাদের উদ্দেশ্য বলছি, যুদ্ধটা গ্রামবাংলার “মোরগ লড়াই নয়”। সুতরাং আলোচনা করেই সব সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে।
তাড়াহুড়ো করে কোন লাভ হবেনা। তাছাড়া এক্ষুনি কোন মিছিল সমাবেশ করারও দরকার নেই । সময়ই বলে দিবে কখন কি করতে হবে। এখন শুধু ঘরোয়াভাবে দলকে সংগঠিত করা জরুরি। আগামীতে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার পর আওয়ামী লীগ কি করবে সেটা এখনই ঠিক করে সে লক্ষ্যে সাংগঠনিক কাজ শুরু করতে হবে। অন্যথায় তিনশ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীই খুঁজে পাওয়া যাবেনা।
২১.
রাষ্ট্র মেরামতের দায়িত্ব যারা নিয়েছেন তারা তাদের কাজ করুক। তাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। দেশ যতটা এগিয়ে ছিল তা থেকে পিছিয়ে পড়লে সংস্কারকরা দায় এড়াতে পারবেন না। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষ অনেক বেশি অধিকার সচেতন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী-সমর্থকদের এখন কাজ হবে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করে দূরত্ব কমানো আর পর্যালোচনা করা কেন এবং কি কি কারণে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে দেশত্যাগে বাধ্য হতে হলো। তাঁর দেশত্যাগের সাথে সাথেই সংসদের নৌকা মার্কার দুইশতাধিক ও নৌকার বৈঠা (স্বতন্ত্র) মার্কার শতাধিক এমপিকে কেন পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এটা কি শুধুই মামলার ভয় না আরো কিছু! শুধু এমপি মন্ত্রীরাই নয়, কেন্দ্র থেকে শুরু করে জেলা উপজেলা পর্যায়ের নেতা কর্মীরাও পলাতক। এটা খুবই বিস্ময়কর। তারা কেন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। মামলা হলে হবে। পুলিশ অ্যারেস্ট করলে করবে, আদালত বড়জোর জেলে পাঠাবে এইতো। জেল পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়িয়েতো রাজনীতি করা যাবেনা। সাহস ও দৃঢ়তার সাথে সব কিছু মোকাবেলা করতে হবে। যে সব মামলা হচ্ছে তাতে কার।। ফাঁসি হবেনা। বড়জোর কিছু দিন জেল হাজতে থাকতে হবে।
২২.
মনে রাখতে হবে সরকারের বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থান আর রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন এক মানদণ্ডে বিচার করার বিষয় নয়। লড়াই সংগ্রাম করেই অধিকার আদায় করতে হয়। সবচেয়ে বড় কথা নেতাকর্মীদের বুঝতে হবে রাজনীতি কোন ব্যবসা নয়, দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার জন্যই রাজনীতি।
২৩.
শেখ হাসিনা এখন ভারতে অবস্থান করছেন। ওখানে বসে শুধু শুধু নিরর্থক বিবৃতি দিয়ে কিছু হবেনা। বরং তাতে ভারত সরকারও এক সময় বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে পারে। এতে প্রতিবেশী দুটি দেশের মধ্য তিক্ততা বাড়বে আর তাতে উভয় দেশের জনজীবনে দুর্ভোগ বেড়ে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।। যা কারো কাম্য নয়। এমনিতেই বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে ভারতের অবস্থান নিয়ে দেশের মানুষের মনে অনেক বিভ্রান্তি রয়েছে। তবে এর মধ্যে যারা মনে করেন যুদ্ধ করে ভারতের সাথে বিদ্যমান সব সমস্যার সমাধান করে ফেলবেন। তাদের উদ্দেশ্য বলছি, যুদ্ধটা গ্রামবাংলার “মোরগ লড়াই নয়”। সুতরাং আলোচনা করেই সব সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে।
COMMENTS