![]() |
আটকৃত মো. হেলাল এবং কামাল হোসেন (মাঝে)। ছবি: সংগৃহীত |
এনএনবি, ঢাকা
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪০টি সোনারবারসহ দুইজনকে আটক
করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা
সংস্থা (এনএসআই)। আটকৃতরা হলেন, নভোএয়ারের গাড়ি চালক মো. হেলাল (৫১) এবং কামাল
হোসেন (২৯)।
মো. হেলালের বাড়ি নোয়াখালীর বসুরহাট থানার চরকাগা গ্রামে। আটক অপরজন কামাল
হোসেনের বাড়ি চাঁদপুরের হাইমচর থানার দক্ষিণ বগুলা গ্রামে।
শনিবার (১৬ মার্চ, ২০২৪) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ
ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক গণমাধ্যমকে
জানান, ‘দীর্ঘদিন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোনা চোরাচালান প্রতিরোধে
এপিবিএনের গোয়েন্দা সদস্যরা কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় বেসরকারি এয়ারলাইন্স
নভোএয়ারের গাড়ি চালক মো. হেলালকে নজরদারীতে রেখেছিলো বিমানবন্দর এপিবিএন ও
এনএসআই।’
জিয়াউল হক জানান, ‘অন্যান্য দিনের মত শনিবারও ডিউটি শেষে বিমানবন্দরের
অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের আগমনী গেইট দিয়ে বের হওয়ার পর এপিবিএন ও এনএসআই এর
গোয়েন্দারা নভোএয়ারের গাড়িচালক মো. হেলাকে নজরদারীতে রাখেন। এসময় হেলাল
অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের ড্রাইভওয়ে থেকে তাঁর সহযোগী কামাল হোসেনসহ সিএনজি
অটোরিকশায় উঠেন। পরে বিমানবন্দরের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে এপিবিএনের
গোয়েন্দার ওই সিএনজি অটোরিকশাটি থামিয়ে তাঁদেরকে এপিবিএন অফিসে নিয়ে আসেন।’
তিনি আরও জানান, ‘বিশদ জিজ্ঞাসাবাদের পর কামাল হোসেনের সঙ্গে থাকা কাঁধ ব্যাগের
ভিতর থেকে কালো স্কচটেপে মোড়ানো ৪০টি সোনার বার পাওয়া যায়। যার ওজন ৪ কেজি ৬৪০
গ্রাম ও মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। জিজ্ঞাসাবাদে কামাল হোসেন জানান নভোএয়ারের
ড্রাইভার হেলাল তাঁকে এই সোনার বারগুলো দিয়েছেন। সোনার বারগুলো নির্দিষ্ট
গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারলে তিনি ১০ হাজার টাকা পেতেন।’
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান
এই এপিবিএন কর্মকর্তা।
COMMENTS