![]() |
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। |
এনএনবি, ঢাকা
রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখার প্রথম শ্রেণির ১৬৯ জন
শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করেছে শিক্ষা অধিদপ্তর। ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের নীতিমালা
না মানায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ২০২৪ সালে ভর্তি হয়েছিল।
হাইকোর্টে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দাখিল করা সিদ্ধান্ত সংবলিত একটি চিঠিতে
(স্মারক) এমন তথ্য জানা গেছে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪) প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি-ইচ্ছুক দুই শিক্ষার্থীর
মায়ের রিট আবেদনের ধারাবাহিকতায় বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি
রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে চিঠিটি তুলে ধরে রাষ্ট্রপক্ষ।
শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট মাউশির ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন বিষয়ে হলফনামা আকারে
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে আগামী বুধবার (৬ মার্চ, ২০২৪) আদালতে প্রতিবেদন
(কমপ্লায়েন্স) দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ভিকারুননিসা নূন
স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃক ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ঊর্ধ্বসীমা
নির্ধারণ করে আবার তা অনুসরণ না করে ১ জানুয়ারি ২০১৭ সালের পূর্বে জন্মগ্রহণকারী
(প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রেরিত সংযুক্ত তালিকায় বর্ণিত) শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাটা
ছিল বিধি বহির্ভূত।
এমতাবস্থায়, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম
শ্রেণিতে বিধি বহির্ভূত ১ জানুয়ারি ২০১৭ সালের পূর্বে জন্মগ্রহণকারী ভর্তিকৃত,
প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রেরিত সংযুক্ত তালিকায় বর্ণিত ২০১৫ সালে জন্মগ্রহণকারী ১০ জন
এবং ২০১৬ সালে জন্মগ্রহণকারী ১৫৯ জনসহ মোট ১৬৯ (একশত উনসত্তর) জন শিক্ষার্থীদের
ভর্তি বাতিল করতে জরুরি ভিত্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে (মাউশি)
অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
এ বিষয়ে মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী যে
বয়সসীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে সে অনুযায়ী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড
কলেজ একটি বয়সসীমা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু নীতিমালার বিষয়টি শেষ পর্যন্ত তারা
মানেনি। যার কারণে আদালত থেকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা আসে মাউশির কাছে। ওই
নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হয়েছে।’
COMMENTS