![]() |
সাইফুল ইসলাম তরফদার, ময়মনসিংহ
নগরীর তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহ বিভাগের ৫৫ শহীদ পরিবারের মাঝে চেক বিতরণ করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মুগ্ধ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. ইউসুফ আলী, জেলা প্রশাসক মো. মুফিদুল আলম প্রমুখ।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, খুনি হাসিনা এবং তার দোসররা সবসময় চেষ্টা করছে আমরা যেন ব্যর্থ হই। আর আমরা ব্যর্থ হলে আমাদের অস্তিত্ব থাকবে না। প্রশাসনের মধ্যে যারা জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। বর্তমান প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে।
তিনি আরও বলেন,আপনাদের মধ্যে যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচার আপনাদেরই করতে হবে। শকুনদের খারাপ নজর চক্রান্ত শেষ হয়নি, আমরা যদি বেঁচে থাকি তাহলে আমাদের জীবনের বিও শহীদ পরিবারের পাশে থাকব। তাদের শরীরে বিন্দু পরিমাণ আঁচ লাগতেও দেব না। আপনারা জুলাই এর সেই তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন। কারণ হচ্ছে খুনি হাসিনা সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মাত্র দুই কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে জেল খাটিয়েছেন। আমরা আমাদের ফাউন্ডেশনের হিসেব সঠিক না রাখলে ২০ বছর পরেও যদি খুনি শেখ হাসিনার দোসররা ক্ষমতায় আসে তাহলে এই কারণে আমাদের জেলে যেতে হবে। তাই শক্তিশালী স্বচ্ছ ফাউন্ডেশন করতে চাই।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট দেশত্যাগে বাধ্য হন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার। এতে জীবন দিতে হয় বহু ছাত্র জনতাকে। এখনো হাসপাতালে আহত অবস্থায় কাতরাচ্ছেন অনেকে।
তারা জানান, ময়মনসিংহ বিভাগে শহীদ হন ৯৩ জন। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৫৫ জন শহীদ পরিবারের হাতে অনুদানের চেক প্রদান করা হয়। পর্যায়ক্রমে বাকিগুলো বিতরণ করা হবে। এছাড়া আহত হন আরও অনেকে তাদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, খুনি হাসিনা এবং তার দোসররা সবসময় চেষ্টা করছে আমরা যেন ব্যর্থ হই। আর আমরা ব্যর্থ হলে আমাদের অস্তিত্ব থাকবে না। প্রশাসনের মধ্যে যারা জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। বর্তমান প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে।
COMMENTS