সাইফুল ইসলাম তরফদার, ময়মনসিংহ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত দুইজনের মরদেহ দাফনের তিন মাস পর ময়নাতদন্তের জন্য কবরস্থান থেকে তোলা হয়েছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর ভাটিকাশর কবরস্থান থেকে তোলা হয় শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মাহিনের (১৯) মরদেহ। ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ৪ আগস্ট রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে রাজউক কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারায় মাহিন। গত ২১ আগস্ট মাহিনের বাবা জামিল হোসেন উত্তরা পশ্চিম থানায় শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের নাম ও অজ্ঞাত পরিচয় ৬০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
জামিল হোসেন ও সামিরা জাহান দম্পতির একমাত্র সন্তান মাহিন। উত্তরা দিয়াবাড়ি মডেল হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করে মাহিন ভর্তি হয় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এনআইইটি)। তারা ময়মনসিংহ নগরীর বাসিন্দা।
এর আগে একই দিন সকাল ১০ টার দিকে নগরের কালীবাড়ি কবরস্থান থেকে নাজমুল ইসলাম রাজুর মরদেহ উত্তোলন করা হয়। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের খবরে আনন্দ মিছিলে অংশ নিতে গিয়ে উত্তরা পূর্ব থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান পোশাককর্মী নাজমুল (৩৯) তার মৃত্যুর ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানায় একটি হত্যা মামলা করেন ছোট ভাই রেজাউল। ২৫ আগস্ট থানায় করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৮৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
নাজমুল ইসলাম রাজু (৩৯) ময়মনসিংহ নগরের সেহরা মুন্সিবাড়ি এলাকা মৃত নিলু মিয়ার ছেলে। তাঁর মায়ের নাম মোছা. সাজেদা। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে বড় ছিলেন নাজমুল।
ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের আদেশে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ আল ইমরানের উপস্থিতিতে দাফনের ৩ মাস ৭ দিন পর মাহিনের মরদেহ ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এসএম নাজমুস ছালেহীনের উপস্থিতিতে দাফনের ৩ মাস ৬ দিন পর নাজমুলের এ মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
ওসি সফিকুল ইসলাম খান বলেন, মরদেহ উত্তোলনের সময় সিআইডি, থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মরদেহ উত্তোলনের পর ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
COMMENTS