আব্দুর রউফ ভুঁইয়া, কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জ-ভৈরব রাস্তা সংস্কার ও কিশোরগঞ্জ-ঢাকা রোডে বাস ভাড়া কমানোর দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ, কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুর ২ টায় কিশোরগঞ্জ শহরে পুরান থানা এলাকার ইসলামিয়া মার্কেটের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, "কিশোরগঞ্জ থেকে ভৈরব রাস্তায় যেন একটা মরণফাঁদ,এখানে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে। বিগত সরকারের সময় যে বাজেট হতো তার ৭০শতাংশ ঠিকাদার ও আওয়ামিলীগের নেতাকর্মীরা ভাগ নিতো,ফলে রাস্তার উন্নয়নে তেমন বাজেট থাকতো না।আমাদের দাবি অনতিবিলম্বে রাস্তা সংস্কার করতে হবে। কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই খারাপ ও বাজে,ভালো কোন পরিবহন নেই। কিন্তু যেসব পরিবহন রয়েছে, সেগুলো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে। কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ভাড়া হওয়ার কথা ২৬০-২৭০ টাকা কিন্তু ভাড়া নিচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকা। এই সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত রয়েছে মালিক সমিতি, এর আগে সেখানে থেকে ভাগ নিতো আওয়ামিলীগের নেতারা। আমরা শুনেছি এখন সেখান থেকে অন্য একটা দলের নেতারা চাঁদা নিচ্ছে। এসব চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে, এই রুটের ভাড়া দ্রুত সময়ের ভিতরে কমাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে কিশোরগঞ্জের ইতিবাচক অবদান রয়েছে। আমরা সব সময় দেশ ও মানুষের পক্ষে। কিন্তু কিশোরগঞ্জের একজন,যিনি ফ্যাসিবাদের দোসর, আওয়ামিলীগের সুবিধা ভোগী,যিনি আওয়ামিলীগের আমলে হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়েছে,তিনি হলেন মজিবুল হক চুন্নু। তিনি অবৈধ ভাবে টাকা কামিয়ে বিদেশে পাচার করেছেন। দুদকের কাছে আমাদের আহ্বান থাকবে তার সম্পদের হিসাব নিন। মজিবুল হক চুন্নুর মত ফ্যাসিবাদের দোসর কে কিশোরগঞ্জের মানুষ অবাঞ্চিত ঘোষণা করছে,তার মতো লোককে কিশোরগঞ্জে রাজনীতি করতে দিবে না। শুধু আওয়ামিলীগের না,তাদের দোসরদেরও বিচার হবে। জাতীয় পার্টি আওয়ামিলীগের দোসর, তাদেরও বিচার হবে। বিচার না হওয়া পর্যন্ত দেশের মানুষ তাদের রাজনীতি করতে দিবে না।
মানববন্ধনে সঞ্চালনা করেন কিশোরগঞ্জ জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ রমজান,এছাড়া বক্তব্য রাখেন, যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন তালুকদার, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি সোহাগ মিয়া, জেলা গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলাম, অভি চৌধুরী, পাকুন্দিয়া উপজেলা আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, বাজিতপুর উপজেলার আহ্বায়ক এডভোকেট ফজল মোল্লা, সদর উপজেলার আহ্বায়ক মোমেনউদ্দীন জনি,ছাত্র নেতা ইমন খান,পায়েল চৌধুরী প্রমুখ।
COMMENTS