ছবি: সংগৃহীত |
এনএনবি, ঢাকা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ফলে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে কর্মস্থলে অনুপস্থিত এবং দায়িত্ব পালন না করা পুলিশ সদস্যদের আজ বৃহস্পতিবারের (১৫ আগস্ট, ২০২৪) মধ্যে কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছিলেন, ‘বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কাজে যোগ না দিলে অনুপস্থিতরা আর ‘চাকরি করতে চাইছেন না’ বলে ধরে নেওয়া হবে। সে হিসেবে পরবর্তী ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’
আলটিমেটামের আজ শেষ দিন হলেও গতকাল বুধবার (১৪ আগস্ট, ২০২৪) পর্যন্ত ক্ষমতাচ্যুত সরকারপন্থী হিসেবে পরিচিত ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বেশির ভাগ কর্মকর্তা কাজে যোগ দেননি।
ডিএমপি সূত্র থেকে জানা গেছে, ‘অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) হারুন অর রশীদ, যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারসহ অন্তত ২৫ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কাজে যোগ দেননি। এর মধ্যে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার থেকে অতিরিক্ত আইজিপি পদমর্যাদার ঊর্ধ্বতন পুলিশ সদস্যরাও রয়েছেন।’
ডিএমপি সদর দপ্তরের ক্রাইম বিভাগ ও প্রশাসন বিভাগসহ দুই-একটি ইউনিটের সদস্যরা পুরোদমে অফিস করছেন। বাকিদের কক্ষে তালা ঝোলানো দেখা যায়। অনেকের ফোনও বন্ধ। তবে থানাগুলোতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত পুলিশ সদস্য কাজে যোগ দিয়েছেন। থানাগুলো চালু হলেও গত তিন দিনে ঢাকা মহানগর পুলিশের ৫০ থানার মধ্যে কোনো থানাতেই মামলা দায়ের হয়নি। যদিও তিন দিনে ২৫০টির মতো সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। আগে দিনে প্রায় এক হাজার জিডি হতো। ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্স সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে গত ১৪ আগস্ট, ২০২৪ কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘অনেকেই কাজে ফিরছেন। আমরা আশাবাদী, বাকিরাও দ্রুতই কাজে ফিরবেন।’
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনুপস্থিত পদস্থ এক কর্মকর্তা বলেন, তাঁরা সবাই মূলত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। গত সরকারের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে বিরাগভাজন হতে হয়েছে। এখন তাঁরা প্রতিশোধের শিকার হওয়ার ভয় পাচ্ছেন।
COMMENTS