![]() |
গাজীপুরের একটি রিসোর্টে অনুষ্ঠিত ‘যৌনকর্ম: পেশা বা কর্ম? নারী আন্দোলনের অমীমাংসিত বিষয়’ শীর্ষক কর্মশালায় আলোচকেরা। |
এনএনবি, গাজীপুর
যৌনপল্লী উচ্ছেদের কারণে ভাসমান যৌনকর্মীদের সংখ্যা বাড়ছে। যৌনকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সন্ত্রাসী এমনকি স্থানীয়দের দ্বারা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত ও হয়রানির শিকার হয়। তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। যৌনকর্মকে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে এই কর্মক্ষেত্রকে মানবিক ও স্বচ্ছ করা প্রয়োজন।
নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন নারীপক্ষ এবং সেক্স ওয়ার্কার্স অ্যান্ড অ্যালাইস সাউথ এশিয়ার যৌথ আয়োজনে গতকাল বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবার (১ ও ২ মে, ২০২৪) গাজীপুরের একটি রিসোর্টে অনুষ্ঠিত ‘যৌনকর্ম: পেশা বা কর্ম? নারী আন্দোলনের অমীমাংসিত বিষয়’ শীর্ষক কর্মশালায় আলোচকেরা এসব কথা বলেন।
কর্মশালায় রংপুরের যৌনকর্মী ইসমত আরা আলো বলেন, ‘রংপুরে কোনো যৌনপল্লী নেই। যৌনকর্মীরা রাস্তায় থাকেন। তাদের নানাভাবে নির্যাতিত হতে হয়। আমরা নিজের আনন্দের জন্য যৌনকর্ম করি না। পেটের টানে করি। ৫০ টাকা পেলে ১০ টাকা দিয়ে কনডম কিনি না। এক কেজি চাল কিনি।’
গবেষক ও নারীপক্ষের সদস্য মাহীন সুলতান বলেন, ‘যৌনকর্মীরা দেশের নাগরিক, তাদেরও মৌলিক অধিকার আছে। যৌনকর্মীদের দাবি আদায়ে যখন আন্দোলন শুরু হলো, তখন যৌনকর্মীদের মধ্যেও এই ধারণাটা ছিল না যে এটা একটা কাজ। তারা ভাবতো তারা নষ্ট। আন্দোলনের একটা বড় অর্জন এখন সবাই বলে এটা যৌনকর্ম। যিনি এই কাজটা করেন, তিনি যৌনকর্মী, পতিতা নন।’
নারীপক্ষের সদস্য অধ্যাপক ফিরদৌস আজীম বলেন, ‘যৌনকর্মীদের সঙ্গে এক প্লেটে খাবো না। এক সঙ্গে বসব না। এই ধারণা ভাঙতে হবে। যৌনকর্মকে ট্রাফিকিংয়ের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা হয়। দুটো ভিন্ন জিনিস। দেশ থেকে যে ছেলেরা যাচ্ছে, তাদের আমরা ট্রাফিকিং বলি না, বলি কাজের সন্ধানে যাচ্ছে। মেয়েদের ক্ষেত্রে বলি ট্রাফিকিং। এই বিষয়গুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
নারীপক্ষের সদস্য শিরীন হক বলেন, ‘আমি আর যৌনকর্মী একই জায়গার মানুষ। আমাদের মধ্যে কেবল একটা লাইন আছে। আমি কিছু সুযোগ-সুবিধা নিয়ে জন্মেছি বলে আমি এখানে, আর সে কিছু সুযোগ-সুবিধা নিয়ে জন্মায়নি বলে সে ওখানে। তার জীবনে কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে সে ওখানে। সেও নারী। আমিও নারী। তাহলে তার সঙ্গে সংহতি জানাতে সমস্যা কোথায়।’
উৎস বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মাহবুবা মাহমুদ বলেন, ‘যৌনকর্মকে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে এই কাজের জায়গাটাকে মানবিক এবং স্বচ্ছ করা দরকার।’
বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট সালমা আলী বলেন, ‘আমাদের যৌনকর্মীদের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাঁদের দাবি আদায়ে সোচ্চার হতে হবে।’
কর্মশালায় অংশ নেওয়া যৌনকর্মীরা তাঁদের জন্য সরকারের কাছে পৃথক জায়গা বরাদ্দের দাবি জানান। একই সঙ্গে এই কর্মে জড়িত নারীদের স্বাস্থ্যসেবা এবং তাঁদের সন্তানদের জন্য শিশু যত্ন কেন্দ্রের ব্যবস্থা করার আহবান জানান।
যৌনপল্লী উচ্ছেদের কারণে ভাসমান যৌনকর্মীদের সংখ্যা বাড়ছে। যৌনকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সন্ত্রাসী এমনকি স্থানীয়দের দ্বারা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত ও হয়রানির শিকার হয়। তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। যৌনকর্মকে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে এই কর্মক্ষেত্রকে মানবিক ও স্বচ্ছ করা প্রয়োজন।
নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন নারীপক্ষ এবং সেক্স ওয়ার্কার্স অ্যান্ড অ্যালাইস সাউথ এশিয়ার যৌথ আয়োজনে গতকাল বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবার (১ ও ২ মে, ২০২৪) গাজীপুরের একটি রিসোর্টে অনুষ্ঠিত ‘যৌনকর্ম: পেশা বা কর্ম? নারী আন্দোলনের অমীমাংসিত বিষয়’ শীর্ষক কর্মশালায় আলোচকেরা এসব কথা বলেন।
কর্মশালায় রংপুরের যৌনকর্মী ইসমত আরা আলো বলেন, ‘রংপুরে কোনো যৌনপল্লী নেই। যৌনকর্মীরা রাস্তায় থাকেন। তাদের নানাভাবে নির্যাতিত হতে হয়। আমরা নিজের আনন্দের জন্য যৌনকর্ম করি না। পেটের টানে করি। ৫০ টাকা পেলে ১০ টাকা দিয়ে কনডম কিনি না। এক কেজি চাল কিনি।’
গবেষক ও নারীপক্ষের সদস্য মাহীন সুলতান বলেন, ‘যৌনকর্মীরা দেশের নাগরিক, তাদেরও মৌলিক অধিকার আছে। যৌনকর্মীদের দাবি আদায়ে যখন আন্দোলন শুরু হলো, তখন যৌনকর্মীদের মধ্যেও এই ধারণাটা ছিল না যে এটা একটা কাজ। তারা ভাবতো তারা নষ্ট। আন্দোলনের একটা বড় অর্জন এখন সবাই বলে এটা যৌনকর্ম। যিনি এই কাজটা করেন, তিনি যৌনকর্মী, পতিতা নন।’
নারীপক্ষের সদস্য অধ্যাপক ফিরদৌস আজীম বলেন, ‘যৌনকর্মীদের সঙ্গে এক প্লেটে খাবো না। এক সঙ্গে বসব না। এই ধারণা ভাঙতে হবে। যৌনকর্মকে ট্রাফিকিংয়ের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা হয়। দুটো ভিন্ন জিনিস। দেশ থেকে যে ছেলেরা যাচ্ছে, তাদের আমরা ট্রাফিকিং বলি না, বলি কাজের সন্ধানে যাচ্ছে। মেয়েদের ক্ষেত্রে বলি ট্রাফিকিং। এই বিষয়গুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
নারীপক্ষের সদস্য শিরীন হক বলেন, ‘আমি আর যৌনকর্মী একই জায়গার মানুষ। আমাদের মধ্যে কেবল একটা লাইন আছে। আমি কিছু সুযোগ-সুবিধা নিয়ে জন্মেছি বলে আমি এখানে, আর সে কিছু সুযোগ-সুবিধা নিয়ে জন্মায়নি বলে সে ওখানে। তার জীবনে কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে সে ওখানে। সেও নারী। আমিও নারী। তাহলে তার সঙ্গে সংহতি জানাতে সমস্যা কোথায়।’
উৎস বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মাহবুবা মাহমুদ বলেন, ‘যৌনকর্মকে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে এই কাজের জায়গাটাকে মানবিক এবং স্বচ্ছ করা দরকার।’
বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট সালমা আলী বলেন, ‘আমাদের যৌনকর্মীদের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাঁদের দাবি আদায়ে সোচ্চার হতে হবে।’
কর্মশালায় অংশ নেওয়া যৌনকর্মীরা তাঁদের জন্য সরকারের কাছে পৃথক জায়গা বরাদ্দের দাবি জানান। একই সঙ্গে এই কর্মে জড়িত নারীদের স্বাস্থ্যসেবা এবং তাঁদের সন্তানদের জন্য শিশু যত্ন কেন্দ্রের ব্যবস্থা করার আহবান জানান।
COMMENTS