![]() |
ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের দুই পরিচালক রণ হক সিকদার ও রিক হক সিকদার। ছবি: সংগৃহীত |
এনএনবি, ঢাকা
ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার বা প্রায় শত কোটি টাকা পাচার ও
আত্মসাতের অভিযোগে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের দুই পরিচালক রণ হক সিকদার ও রিক
হক সিকদার এবং ব্যাংকের সাবেক দুই এমডিসহ সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি
মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল রবিবার দুদকের ঢাকা জেলা কার্যালয়-১-এ মামলা দুটি দায়ের করেন দুদকের
পরিচালক মো. বেনজীর আহম্মদ।
সোমবার (১ এপ্রিল, ২০২৪) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
দুদকের প্রথম মামলার আসামিরা হলেন- সিকদার রিয়েল এস্টেটের মালিক রিক হক সিকদার,
ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ সৈয়দ আব্দুল বারী ও
চৌধুরী মোশতাক আহমেদ, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব কার্ড
ডিভিশন মো. মাহফুজুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ ওয়াদুদ ও
সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম বুলবুল।
এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ২৬ লাখ ২২ হাজার ৪৯৯ মার্কিন ডলার (২০১৭ সালের
হিসাবে) আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে
বিধিবহির্ভূতভাবে ক্রেডিট কার্ডের লিমিটের অতিরিক্ত ২৬ লাখ ২২ হাজার ৪৯৯
মার্কিন ডলার বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার করেছেন।
দ্বিতীয় মামলার আসামিরা হলেন- ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক রণ হক সিকদার,
ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ সৈয়দ আব্দুল বারী ও
চৌধুরী মোশতাক আহমেদ, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব কার্ড
ডিভিশন মো. মাহফুজুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ ওয়াদুদ ও
সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম বুলবুল।
এই মামলার বলা হয়েছে, আসামিরা তার অপব্যবহার করে বিধিবহির্ভূতভাবে ক্রেডিট
কার্ডের লিমিটের অতিরিক্ত ৬০ লাখ ৯২ হাজার ২২৫ মার্কিন ডলার বিদেশে ব্যয় করে
পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচার করে তা দিয়ে ওই ক্রেডিট কার্ডের
ঋণ পরিশোধপূর্বক পাচার করা অর্থ হস্তান্তর/স্থানান্তর, রূপান্তর ও গোপনের
মাধ্যমে বৈধতা দানের চেষ্টা করেছে আসামিরা।
আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা এবং মানি
লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে ন্যাশনাল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর ডাটাবেজে
মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করেছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক চিঠিতে বলা হয়েছে।
COMMENTS