অনলাইন ডেস্ক
বিএনপি সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে নানা পদক্ষেপ নিয়েও বারবার সমস্যায় পড়ছে। দলটির বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং বেআইনি কার্যকলাপের অভিযোগ উঠছে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কঠোর অবস্থান নিলেও, স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের বহু নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন এলাকায় দলীয় কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং বেআইনি কার্যকলাপের ঘটনায় বিএনপি আরও চাপের মুখে রয়েছে।
হাতিরঝিলে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের কর্মকর্তার হত্যাকাণ্ডে দলের এক নেতার নাম আসার পর তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিএনপি। এছাড়া ঢাকার তেজগাঁওয়ে একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান দখলমুক্ত করতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকেও হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। এসব ঘটনা নিয়ে দলটির ভেতরে ব্যাপক আলোড়ন চলছে।
বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলছেন, দলের ভেতরে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য তারা নিয়মিত পদক্ষেপ নিচ্ছেন। সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, দলের শীর্ষ থেকে সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে, এবং অপরাধের সাথে যুক্ত কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না। এভাবে নেতাকর্মীদের কাছে শক্ত বার্তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
ফরিদপুরের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে কর্মী হত্যার ঘটনায় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এবং কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলের পদ স্থগিত করা হয়েছে। বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং ময়মনসিংহের নেতা ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চু দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে।
বিএনপির সাম্প্রতিক রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলির একটি বড় অংশ নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলা বজায় রাখা নিয়ে। শীর্ষ নেতৃত্ব দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও মাঠপর্যায়ে নানা সমস্যা রয়ে গেছে। তবে দলের উচ্চপর্যায় থেকে প্রতিদিনের সংলাপ এবং সাংগঠনিক ইউনিটগুলোর সাথে নিয়মিত বৈঠক নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক হতে পারে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও ভবিষ্যতে দলকে আরও কঠোর অবস্থানে থাকতে হতে পারে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
বিএনপি সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে নানা পদক্ষেপ নিয়েও বারবার সমস্যায় পড়ছে। দলটির বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং বেআইনি কার্যকলাপের অভিযোগ উঠছে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কঠোর অবস্থান নিলেও, স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের বহু নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন এলাকায় দলীয় কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং বেআইনি কার্যকলাপের ঘটনায় বিএনপি আরও চাপের মুখে রয়েছে।
দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং সাংগঠনিক ব্যবস্থা
গত ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই বিএনপির জন্য নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলের স্থায়ী কমিটি থেকে তৃণমূল পর্যন্ত এক হাজারের বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও বেআইনি কার্যকলাপের অভিযোগ উঠে আসছে। চাঁদাবাজি, দখল, এমনকি খুনের মতো গুরুতর অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।হাতিরঝিলে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের কর্মকর্তার হত্যাকাণ্ডে দলের এক নেতার নাম আসার পর তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিএনপি। এছাড়া ঢাকার তেজগাঁওয়ে একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান দখলমুক্ত করতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকেও হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। এসব ঘটনা নিয়ে দলটির ভেতরে ব্যাপক আলোড়ন চলছে।
বিএনপির ভেতরে তোলপাড় এবং শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক আব্দুল লতিফ মাসুম মনে করেন, চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের যে সংস্কৃতি বহুদিন ধরে চলেছে, তা এবার বিএনপির ক্ষেত্রেও ফুটে উঠেছে। তার মতে, বিএনপির নেতৃত্ব এখন অনেক বেশি কঠোর হয়েছে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে। বিএনপি নেতৃত্বকে ‘ইতিবাচক’ মনে করছেন তিনি।বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলছেন, দলের ভেতরে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য তারা নিয়মিত পদক্ষেপ নিচ্ছেন। সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, দলের শীর্ষ থেকে সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে, এবং অপরাধের সাথে যুক্ত কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না। এভাবে নেতাকর্মীদের কাছে শক্ত বার্তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
বিভিন্ন আলোচিত ঘটনা এবং সাংগঠনিক ব্যবস্থা
আওয়ামী লীগের বিদায়ের পর চট্টগ্রামের দক্ষিণ জেলা শাখার বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে এস আলম গ্রুপের গাড়ি সরানোর ঘটনায় দলীয় পদ বাতিল করা হয়। স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদকেও শোকজ নোটিশ দেওয়া হয় একই অভিযোগে। নাটোরে দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে শোকজ নোটিশের পর পদাবনতি দেওয়া হয়।ফরিদপুরের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে কর্মী হত্যার ঘটনায় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এবং কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলের পদ স্থগিত করা হয়েছে। বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং ময়মনসিংহের নেতা ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চু দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে।
মাঠপর্যায়ে বিএনপির অবস্থা
বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের বিদায়ের পর বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করেছে। স্থানীয় প্রশাসনের সভায়ও বিএনপির নেতাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তবে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণের অভাবে কয়েকটি এলাকায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সৃষ্টি হয়। বিএনপির সাবেক এমপিরা সক্রিয় হয়ে ওঠায় শৃঙ্খলা কিছুটা ফিরেছে। যদিও শেরপুর ও ফরিদপুরে দলের অভ্যন্তরে সংঘর্ষে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।বিএনপির সাম্প্রতিক রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলির একটি বড় অংশ নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলা বজায় রাখা নিয়ে। শীর্ষ নেতৃত্ব দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও মাঠপর্যায়ে নানা সমস্যা রয়ে গেছে। তবে দলের উচ্চপর্যায় থেকে প্রতিদিনের সংলাপ এবং সাংগঠনিক ইউনিটগুলোর সাথে নিয়মিত বৈঠক নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক হতে পারে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও ভবিষ্যতে দলকে আরও কঠোর অবস্থানে থাকতে হতে পারে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
COMMENTS