
এনএনবি, ঢাকা
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে এবং আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করেছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এতে ওইসব এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আর এর ফলে পুরো দেশজুড়েই যান চলাচলে স্থবিরতা নেমে এসেছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই, ২০২৪) সকাল থেকেই সড়কে নামতে শুরু করেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের কোটাবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এদিকে, বিভিন্ন স্থানে পাল্টা কর্মসূচিতে মাঠে নেমেছে ছাত্রলীগ। ফলে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
রাজধানীর উত্তরার জসীমউদ্দিন মোড়, কুড়িল বিশ্বরোড, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, নতুন বাজার, মেরুল বাড্ডা, বনানী, গাবতলী, মিরপুর রোড, সায়েন্সল্যাব, ধানমন্ডি ২৭ নম্বর, মোহাম্মদপুর, শনিরআখড়া ও সাভারের বিরুলিয়াসহ বিভিন্ন পয়েন্টে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ করেছেন। মঙ্গলবার বেলা ১১টার পরে তারা মিছিল নিয়ে এসব পয়েন্টে অবরোধ শুরু করেন।
এরমধ্যে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় বিক্ষোভ করছে স্টেট ইউনিভার্সিটি ও আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। আর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা নিজের ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান নিয়েছেন নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। আর মেরুল বাড্ডায় সড়ক আটকে আন্দোলন করছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। আমেরিকান ইউনিভার্সিটি- বাংলাদেশের (এআইইউবি) শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়েছেন বনানীতে।
এদিকে বেলা পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর নতুন বাজারে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কিছুক্ষণ পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও রাস্তা আটকে এখনও অবস্থান করছে আন্দোলনকারীরা। এতে পাশেপাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও কোটা বাতিলের দাবিতে রাজধানীর মোহাম্মপুরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ইউল্যাব ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নাবিস্কো মোড়ে (তাজউদ্দীন সড়ক) অবরোধ করেছেন সাউথইস্ট ও আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা।
এছাড়াও সাভারের বিরুলিয়া ব্রিজে অবস্থান নিয়েছেন ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বেসরকারি সিটি ইউনিভার্সিটি, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা।
সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে আন্দোলন করছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। গত দুই সপ্তাহ ধরে এই আন্দোলনের পাশাপাশি সহাবস্থানে থাকলেও গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ। রাত পর্যন্ত চলা সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
এছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও রাতভর হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রলীগের হামলা থেকে বাঁচতে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন চত্বরে আশ্রয় নেন। শিক্ষার্থীরা বলেছেন, সেখানে তাদের পিটিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
আন্দোলনে হামলার অভিযোগ এনে আজ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকেছে “বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন”।
এদিকে সোমবারের ভেস্তে যাওয়া কর্মসূচি মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় পালনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ। রাত ১১টার পর সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যে পাদদেশে গণমাধ্যমে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন জানান, মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় সারা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির পালন করবে ছাত্রলীগ।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে এবং আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করেছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এতে ওইসব এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আর এর ফলে পুরো দেশজুড়েই যান চলাচলে স্থবিরতা নেমে এসেছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই, ২০২৪) সকাল থেকেই সড়কে নামতে শুরু করেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের কোটাবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এদিকে, বিভিন্ন স্থানে পাল্টা কর্মসূচিতে মাঠে নেমেছে ছাত্রলীগ। ফলে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
রাজধানীর উত্তরার জসীমউদ্দিন মোড়, কুড়িল বিশ্বরোড, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, নতুন বাজার, মেরুল বাড্ডা, বনানী, গাবতলী, মিরপুর রোড, সায়েন্সল্যাব, ধানমন্ডি ২৭ নম্বর, মোহাম্মদপুর, শনিরআখড়া ও সাভারের বিরুলিয়াসহ বিভিন্ন পয়েন্টে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ করেছেন। মঙ্গলবার বেলা ১১টার পরে তারা মিছিল নিয়ে এসব পয়েন্টে অবরোধ শুরু করেন।
এরমধ্যে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় বিক্ষোভ করছে স্টেট ইউনিভার্সিটি ও আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। আর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা নিজের ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান নিয়েছেন নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। আর মেরুল বাড্ডায় সড়ক আটকে আন্দোলন করছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। আমেরিকান ইউনিভার্সিটি- বাংলাদেশের (এআইইউবি) শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়েছেন বনানীতে।
এদিকে বেলা পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর নতুন বাজারে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কিছুক্ষণ পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও রাস্তা আটকে এখনও অবস্থান করছে আন্দোলনকারীরা। এতে পাশেপাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও কোটা বাতিলের দাবিতে রাজধানীর মোহাম্মপুরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ইউল্যাব ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নাবিস্কো মোড়ে (তাজউদ্দীন সড়ক) অবরোধ করেছেন সাউথইস্ট ও আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা।
এছাড়াও সাভারের বিরুলিয়া ব্রিজে অবস্থান নিয়েছেন ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বেসরকারি সিটি ইউনিভার্সিটি, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা।
সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে আন্দোলন করছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। গত দুই সপ্তাহ ধরে এই আন্দোলনের পাশাপাশি সহাবস্থানে থাকলেও গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ। রাত পর্যন্ত চলা সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
এছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও রাতভর হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রলীগের হামলা থেকে বাঁচতে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন চত্বরে আশ্রয় নেন। শিক্ষার্থীরা বলেছেন, সেখানে তাদের পিটিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
আন্দোলনে হামলার অভিযোগ এনে আজ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকেছে “বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন”।
এদিকে সোমবারের ভেস্তে যাওয়া কর্মসূচি মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় পালনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ। রাত ১১টার পর সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যে পাদদেশে গণমাধ্যমে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন জানান, মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় সারা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির পালন করবে ছাত্রলীগ।
COMMENTS