![]() |
ভাংনাহাটি মধ্যপাড়া বায়তুল নুর জামে মসজিদের ইমাম আবু বকর সিদ্দিক। |
এনএনবি, গাজীপুর
ঈদুল আজহার নামাজ শেষে মুসল্লিদের গরুর আগে সভাপতির গরু জবাই না দেওয়ায় ইমামকে মারধর করে ওই মসজিদ থেকে বিদায় করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বায়তুল নুর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি কফিলউদ্দিনের বিরুদ্ধে।
ঈদের দিনে এমন ঘটনায় মর্মাহত হয়েছেন ওই এলাকার মুসল্লিরা। সোমবার (১৭ জুন) সকালের দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার ভাংনাহাটি গ্রামে এমন ঘটনা ঘটেছে। পরে বিকেলের দিকে ওই ইমাম মসজিদ ছেড়ে চলে যান।
মসজিদের ইমাম, মুসল্লি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ৬ হাজার টাকা মাসিক বেতনে ২ মাস আগে শ্রীপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড ভাংনাহাটি মধ্যপাড়া বায়তুল নুর জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব নেন আবু বকর সিদ্দিক। সোমবার ঈদের নামাজের পরপরই সকাল ১০টায় ওই মসজিদের মাঠ ও এর আশপাশে কোরবানির পশু জবাই করার প্রস্তুতি চলছিল। এসময় ইদ্রিস নামে এক মুসল্লির কোরবানির গরু মাঠের পাশেই শুয়ানো হলে ইমামকে ওই গরু জবাই করার অনুরোধ করা হয়। একই সময়ে ওই মসজিদের সভাপতি কফিল উদ্দিনের কোরবানির গরু জবাইয়ের জন্য প্রস্তুত করা হয়। এসময় ইমামকে ডাক দিলে সঙ্গে সঙ্গেই ইমাম হাজির হলেও ইদ্রিসের গরু আগে জবাই করতে কেন গেলেন তার কারণ জানতে চান সভাপতি। একপর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হন এবং ইমামকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। পরে ইমামকে ওই গরু জবাই করতে না দিয়ে নিজেরাই জবাই করেন। এসময় ওই ইমাম স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে বিষয়টি জানিয়ে মসজিদে ফিরে আসেন। এরই জেরে আসরের নামাজ শেষে ইমামকে লাঞ্ছিত করে বিদায় করে দেন সভাপতি।
স্থানীয়রা আরও জানিয়েছে, ওই মসজিদে ঘন ঘন ইমাম পাল্টানাে হয়। গত ২ মাস আগেও এক ইমাম চলে গেছেন। এর আগেও কয়েকজন ইমাম বিদায় হয়। সভাপতির অযাচিত ও অশোভন খবরদারিতে অতিষ্ঠ হয়েই ইমামরা চলে যান বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে মসজিদ পরিচালনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ খোকন মিয়া বলেন, দুজনেই উত্তেজিত ছিল। বিষয়টি ঠিক হয়নি।
এর আগে ইমাম কেন গেল জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিলাদ নিয়ে আগের ইমাম গেছে। এর আগেরজন অন্যত্র চাকরি হয়েছে তাই গেছে। ইমামদেরও গরম কম থাকা ভালো।
সভাপতির লাঞ্ছনার শিকার ভাংনাহাটি মধ্যপাড়া বায়তুল নুর জামে মসজিদের ইমাম আবু বকর বলেন, আমাকে গলায় চেপে ধরেন সভাপতি। শ্রীপুরে কোথায় ইমামতি করি এটাও দেখে নেবেন বলে হুমকি দেওয়া হয়। আমি ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে জানিয়েছি। সভাপতি আমাকে অশালীন ভাষায় গালাগাল করেন। মানসম্মানের ভয়ে চলে এসেছি।
গলায় চেপে ধরার বিষয়টি অস্বীকার করে ভাংনাহাটি মধ্যপাড়া বায়তুল নুর জামে মসজিদের সভাপতি কফিল উদ্দিন বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। সামান্য কথাকাটাকাটি হয়েছে।
হুজুর চলে গেছে কেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে সভাপতি বলেন, উনি ছুটিতে গেছেন। আমি অসুস্থ। এ বিষয়ে আর কোনো কথা বলতে পারব না।
এ বিষয়ে শ্রীপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান মন্ডল বলেন, ইমাম সাহেব আমার কাছে এসেছিলেন। ঈদের দিন ওনার সঙ্গে এমন আচরণ করা ঠিক হয়নি। কফিলউদ্দিন আগে থেকেই এমন। ওরা কারও সঙ্গে ভালো আচরণ করতে পারে না।
শ্রীপুর মডেল থানার ডিউটি অফিসার (এসআই) সুজন কুমার পণ্ডিত বলেন, এমন কোনো খবর আমাদের জানা নেই। তবে এমন বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগও করেনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।
ঈদুল আজহার নামাজ শেষে মুসল্লিদের গরুর আগে সভাপতির গরু জবাই না দেওয়ায় ইমামকে মারধর করে ওই মসজিদ থেকে বিদায় করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বায়তুল নুর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি কফিলউদ্দিনের বিরুদ্ধে।
ঈদের দিনে এমন ঘটনায় মর্মাহত হয়েছেন ওই এলাকার মুসল্লিরা। সোমবার (১৭ জুন) সকালের দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার ভাংনাহাটি গ্রামে এমন ঘটনা ঘটেছে। পরে বিকেলের দিকে ওই ইমাম মসজিদ ছেড়ে চলে যান।
মসজিদের ইমাম, মুসল্লি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ৬ হাজার টাকা মাসিক বেতনে ২ মাস আগে শ্রীপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড ভাংনাহাটি মধ্যপাড়া বায়তুল নুর জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব নেন আবু বকর সিদ্দিক। সোমবার ঈদের নামাজের পরপরই সকাল ১০টায় ওই মসজিদের মাঠ ও এর আশপাশে কোরবানির পশু জবাই করার প্রস্তুতি চলছিল। এসময় ইদ্রিস নামে এক মুসল্লির কোরবানির গরু মাঠের পাশেই শুয়ানো হলে ইমামকে ওই গরু জবাই করার অনুরোধ করা হয়। একই সময়ে ওই মসজিদের সভাপতি কফিল উদ্দিনের কোরবানির গরু জবাইয়ের জন্য প্রস্তুত করা হয়। এসময় ইমামকে ডাক দিলে সঙ্গে সঙ্গেই ইমাম হাজির হলেও ইদ্রিসের গরু আগে জবাই করতে কেন গেলেন তার কারণ জানতে চান সভাপতি। একপর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হন এবং ইমামকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। পরে ইমামকে ওই গরু জবাই করতে না দিয়ে নিজেরাই জবাই করেন। এসময় ওই ইমাম স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে বিষয়টি জানিয়ে মসজিদে ফিরে আসেন। এরই জেরে আসরের নামাজ শেষে ইমামকে লাঞ্ছিত করে বিদায় করে দেন সভাপতি।
স্থানীয়রা আরও জানিয়েছে, ওই মসজিদে ঘন ঘন ইমাম পাল্টানাে হয়। গত ২ মাস আগেও এক ইমাম চলে গেছেন। এর আগেও কয়েকজন ইমাম বিদায় হয়। সভাপতির অযাচিত ও অশোভন খবরদারিতে অতিষ্ঠ হয়েই ইমামরা চলে যান বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে মসজিদ পরিচালনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ খোকন মিয়া বলেন, দুজনেই উত্তেজিত ছিল। বিষয়টি ঠিক হয়নি।
এর আগে ইমাম কেন গেল জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিলাদ নিয়ে আগের ইমাম গেছে। এর আগেরজন অন্যত্র চাকরি হয়েছে তাই গেছে। ইমামদেরও গরম কম থাকা ভালো।
সভাপতির লাঞ্ছনার শিকার ভাংনাহাটি মধ্যপাড়া বায়তুল নুর জামে মসজিদের ইমাম আবু বকর বলেন, আমাকে গলায় চেপে ধরেন সভাপতি। শ্রীপুরে কোথায় ইমামতি করি এটাও দেখে নেবেন বলে হুমকি দেওয়া হয়। আমি ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে জানিয়েছি। সভাপতি আমাকে অশালীন ভাষায় গালাগাল করেন। মানসম্মানের ভয়ে চলে এসেছি।
গলায় চেপে ধরার বিষয়টি অস্বীকার করে ভাংনাহাটি মধ্যপাড়া বায়তুল নুর জামে মসজিদের সভাপতি কফিল উদ্দিন বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। সামান্য কথাকাটাকাটি হয়েছে।
হুজুর চলে গেছে কেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে সভাপতি বলেন, উনি ছুটিতে গেছেন। আমি অসুস্থ। এ বিষয়ে আর কোনো কথা বলতে পারব না।
এ বিষয়ে শ্রীপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান মন্ডল বলেন, ইমাম সাহেব আমার কাছে এসেছিলেন। ঈদের দিন ওনার সঙ্গে এমন আচরণ করা ঠিক হয়নি। কফিলউদ্দিন আগে থেকেই এমন। ওরা কারও সঙ্গে ভালো আচরণ করতে পারে না।
শ্রীপুর মডেল থানার ডিউটি অফিসার (এসআই) সুজন কুমার পণ্ডিত বলেন, এমন কোনো খবর আমাদের জানা নেই। তবে এমন বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগও করেনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।
COMMENTS