বিশেষ প্রতিনিধি
বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে ঋণ জালিয়াতি একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে, যেখানে রাজনৈতিক প্রভাবিত বড় গ্রাহকরা একাধিকবার ঋণ পুনঃতফশিলের সুবিধা নিয়ে বিশাল অঙ্কের ঋণ না পরিশোধ করেই নতুন ঋণ নিয়ে যাচ্ছেন। এসব ঋণের সুদও মওকুফ করে দেওয়া হচ্ছে, যা ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম ও ঋণ পুনরুদ্ধার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা কমিয়ে দিচ্ছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে ২ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ নবায়ন করা হয়েছে, যার একটি বড় অংশ পুনরায় খেলাপি হয়েছে। এভাবে বড় বড় ঋণ জালিয়াতরা দেশের অর্থনীতিতে বিশাল আঘাত হানছে। চলুন দেখি, কীভাবে এই প্রক্রিয়া কার্যত ঋণ জালিয়াতদের জন্য 'সুবিধার মেলা' হয়ে উঠেছে।
২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৩৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণ প্রতি বছর নতুন করে খেলাপি হয়েছে, যার মধ্যে ৬৪ শতাংশের বেশি দায়ী বড় গ্রাহক ও ঋণ জালিয়াতরা। রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে এসব গ্রাহক মাত্র ২ থেকে ৪ শতাংশ ডাউন পেমেন্টের ভিত্তিতে ঋণ পুনঃতফশিল করতে পেরেছেন, এমনকি অনেক সময় কোনো ডাউন পেমেন্ট ছাড়াই ঋণ পুনঃতফশিল করা হয়েছে। ঋণ পরিশোধ না করেও তারা সুদ মওকুফের সুবিধা নিয়েছে, যা নিয়মবহির্ভূত। বেক্সিমকো, এস আলম গ্রুপ, অ্যানন টেক্স গ্রুপ, নাসা গ্রুপ, ক্রিসেন্ট গ্রুপ, নাবিল গ্রুপ, অলটেক্স গ্রুপ, রতনপুর গ্রুপ, ইলিয়াস ব্রাদার্স গ্রুপ ও বিসমিল্লাহ গ্রুপের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এই সুবিধা নিয়ে দেশের ব্যাংক খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে।
বিশেষ ছাড়ের আওতায় ২০১৯ সালে ৫২ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনঃতফশিল করা হয়, যার মধ্যে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার ঋণ নতুন করে খেলাপি হয়ে পড়ে। এভাবে নিয়মিত পুনঃতফশিল ও সুদ মওকুফের ফলে খেলাপি ঋণ প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। ২০২৩ সালে খেলাপি ঋণ দাঁড়ায় ১ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকায়, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা বেশি।
এসব ঋণ পুনঃতফশিলের প্রক্রিয়ায় দেখা যায়, বড় গ্রাহকরা শুধু ঋণ পুনরায় নবায়ন করেই ক্ষান্ত থাকেনি, বরং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নতুন ঋণও নিয়েছে, যা আগের ঋণ পরিশোধ না করেই। এভাবে ঋণের সুদ মওকুফের মাধ্যমে ব্যাংক খাত থেকে বিশাল অঙ্কের অর্থ লুটপাট করা হচ্ছে। এর ফলে ব্যাংক খাতের তারল্য সংকট তৈরি হচ্ছে এবং সাধারণ উদ্যোক্তারা চাহিদা অনুযায়ী ঋণ পাচ্ছেন না।
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের ঋণ পুনঃতফশিল ও সুদ মওকুফ প্রক্রিয়া বড় ঋণ জালিয়াতদের জন্য একটি বিরাট সুযোগে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি ঋণ পুনঃতফশিলের নামে নিয়ম ভেঙে ঋণ জালিয়াতরা নতুন ঋণ সুবিধা নিচ্ছে এবং সুদ মওকুফের মাধ্যমে ব্যাংক খাতকে ক্রমাগত দুর্বল করে তুলছে। রাজনৈতিক প্রভাব ও দুর্নীতি বন্ধ না হলে, দেশের অর্থনীতি আরও গভীর সংকটে পড়তে পারে। তাই ঋণ পুনঃতফশিলের নিয়ম কঠোরভাবে প্রয়োগ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে ঋণ জালিয়াতি একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে, যেখানে রাজনৈতিক প্রভাবিত বড় গ্রাহকরা একাধিকবার ঋণ পুনঃতফশিলের সুবিধা নিয়ে বিশাল অঙ্কের ঋণ না পরিশোধ করেই নতুন ঋণ নিয়ে যাচ্ছেন। এসব ঋণের সুদও মওকুফ করে দেওয়া হচ্ছে, যা ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম ও ঋণ পুনরুদ্ধার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা কমিয়ে দিচ্ছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে ২ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ নবায়ন করা হয়েছে, যার একটি বড় অংশ পুনরায় খেলাপি হয়েছে। এভাবে বড় বড় ঋণ জালিয়াতরা দেশের অর্থনীতিতে বিশাল আঘাত হানছে। চলুন দেখি, কীভাবে এই প্রক্রিয়া কার্যত ঋণ জালিয়াতদের জন্য 'সুবিধার মেলা' হয়ে উঠেছে।
২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৩৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণ প্রতি বছর নতুন করে খেলাপি হয়েছে, যার মধ্যে ৬৪ শতাংশের বেশি দায়ী বড় গ্রাহক ও ঋণ জালিয়াতরা। রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে এসব গ্রাহক মাত্র ২ থেকে ৪ শতাংশ ডাউন পেমেন্টের ভিত্তিতে ঋণ পুনঃতফশিল করতে পেরেছেন, এমনকি অনেক সময় কোনো ডাউন পেমেন্ট ছাড়াই ঋণ পুনঃতফশিল করা হয়েছে। ঋণ পরিশোধ না করেও তারা সুদ মওকুফের সুবিধা নিয়েছে, যা নিয়মবহির্ভূত। বেক্সিমকো, এস আলম গ্রুপ, অ্যানন টেক্স গ্রুপ, নাসা গ্রুপ, ক্রিসেন্ট গ্রুপ, নাবিল গ্রুপ, অলটেক্স গ্রুপ, রতনপুর গ্রুপ, ইলিয়াস ব্রাদার্স গ্রুপ ও বিসমিল্লাহ গ্রুপের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এই সুবিধা নিয়ে দেশের ব্যাংক খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে।
বিশেষ ছাড়ের আওতায় ২০১৯ সালে ৫২ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনঃতফশিল করা হয়, যার মধ্যে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার ঋণ নতুন করে খেলাপি হয়ে পড়ে। এভাবে নিয়মিত পুনঃতফশিল ও সুদ মওকুফের ফলে খেলাপি ঋণ প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। ২০২৩ সালে খেলাপি ঋণ দাঁড়ায় ১ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকায়, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা বেশি।
এসব ঋণ পুনঃতফশিলের প্রক্রিয়ায় দেখা যায়, বড় গ্রাহকরা শুধু ঋণ পুনরায় নবায়ন করেই ক্ষান্ত থাকেনি, বরং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নতুন ঋণও নিয়েছে, যা আগের ঋণ পরিশোধ না করেই। এভাবে ঋণের সুদ মওকুফের মাধ্যমে ব্যাংক খাত থেকে বিশাল অঙ্কের অর্থ লুটপাট করা হচ্ছে। এর ফলে ব্যাংক খাতের তারল্য সংকট তৈরি হচ্ছে এবং সাধারণ উদ্যোক্তারা চাহিদা অনুযায়ী ঋণ পাচ্ছেন না।
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের ঋণ পুনঃতফশিল ও সুদ মওকুফ প্রক্রিয়া বড় ঋণ জালিয়াতদের জন্য একটি বিরাট সুযোগে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি ঋণ পুনঃতফশিলের নামে নিয়ম ভেঙে ঋণ জালিয়াতরা নতুন ঋণ সুবিধা নিচ্ছে এবং সুদ মওকুফের মাধ্যমে ব্যাংক খাতকে ক্রমাগত দুর্বল করে তুলছে। রাজনৈতিক প্রভাব ও দুর্নীতি বন্ধ না হলে, দেশের অর্থনীতি আরও গভীর সংকটে পড়তে পারে। তাই ঋণ পুনঃতফশিলের নিয়ম কঠোরভাবে প্রয়োগ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
COMMENTS