
আতিকুল ইসলাম
টিকটকের ব্যাপক জনপ্রিয়তার পরে ফেসবুক ও ইউটিউব তাদের প্লাটফর্মে ছোট ভিডিও (শর্টস) ও রিলসের জন্য আলাদাভাবে ফিচার সংযোজন করে। ব্যবহারকারীরা চাইলে ফেসবুক রিলস থেকে আয়ও করতে পারেন।
ছোট দৈর্ঘ্যের এই ভিডিওগুলোকে ইউটিউবে শর্টস এবং ফেসবুকে রিলস নামে পরিচিত। সময়ের সঙ্গে মানুষের মধ্যে এই রিলস দেখার আগ্রহ অনেক বেড়েছে। যে কোনো বিষয়ের মূল সারমর্ম উঠে আসে এই ভিডিওগুলো থেকে। তাছাড়া খুব সহজেই ভিডিওর মেসেজ এবং বিনোদন পাওয়া যায় এই রিলসগুলো থেকে।
রিলস বানানো যেমন সহজ, তেমনি নির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করে প্রাত্যাহিক জীবনের ঘটনাবলী নিয়েই যে কেউ আয় করতে পারেন ফেসবুক রিলস থেকে। এই উপায়ে আয় করার জন্য প্রাথমিকভাবে রিলস বোনাস প্রোগ্রাম নামের নতুন ফিচার এনেছিল ফেসবুক। ভিডিও ভিউ, এনগেজমেন্টস, শেয়ারসহ কয়েকটি ক্ষেত্রে ফেসবুকের বেঁধে দেয়া লক্ষ্য পূরণের মাধ্যমে রিলস ক্রিয়েটররা এই বোনাসটি পেতেন।
ফেসবুকের এই বোনাস প্রোগ্রাম ছিল 'ফেসবুক ইনভাইট অনলি' অফার। অর্থাৎ ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ক্রিয়েটরদের পেজ পারফরমেন্স, ভিডিও কোয়ালিটি ও দর্শকের আগ্রহের ওপর নির্ভর করে ক্রিয়েটরকে বোনাস প্রোগ্রাম অফার করতো। তবে এখন রিলস ক্রিয়েটরদের জন্য নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের ভিডিওতে মনিটাইজ করার সুযোগ দিচ্ছে ফেসবুক। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রচুর ক্রিয়েটর এখন রিলস বানাচ্ছেন এবং অর্থ আয়ও করছেন।
টিকটকের ব্যাপক জনপ্রিয়তার পরে ফেসবুক ও ইউটিউব তাদের প্লাটফর্মে ছোট ভিডিও (শর্টস) ও রিলসের জন্য আলাদাভাবে ফিচার সংযোজন করে। ব্যবহারকারীরা চাইলে ফেসবুক রিলস থেকে আয়ও করতে পারেন।
ছোট দৈর্ঘ্যের এই ভিডিওগুলোকে ইউটিউবে শর্টস এবং ফেসবুকে রিলস নামে পরিচিত। সময়ের সঙ্গে মানুষের মধ্যে এই রিলস দেখার আগ্রহ অনেক বেড়েছে। যে কোনো বিষয়ের মূল সারমর্ম উঠে আসে এই ভিডিওগুলো থেকে। তাছাড়া খুব সহজেই ভিডিওর মেসেজ এবং বিনোদন পাওয়া যায় এই রিলসগুলো থেকে।
রিলস বানানো যেমন সহজ, তেমনি নির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করে প্রাত্যাহিক জীবনের ঘটনাবলী নিয়েই যে কেউ আয় করতে পারেন ফেসবুক রিলস থেকে। এই উপায়ে আয় করার জন্য প্রাথমিকভাবে রিলস বোনাস প্রোগ্রাম নামের নতুন ফিচার এনেছিল ফেসবুক। ভিডিও ভিউ, এনগেজমেন্টস, শেয়ারসহ কয়েকটি ক্ষেত্রে ফেসবুকের বেঁধে দেয়া লক্ষ্য পূরণের মাধ্যমে রিলস ক্রিয়েটররা এই বোনাসটি পেতেন।
ফেসবুকের এই বোনাস প্রোগ্রাম ছিল 'ফেসবুক ইনভাইট অনলি' অফার। অর্থাৎ ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ক্রিয়েটরদের পেজ পারফরমেন্স, ভিডিও কোয়ালিটি ও দর্শকের আগ্রহের ওপর নির্ভর করে ক্রিয়েটরকে বোনাস প্রোগ্রাম অফার করতো। তবে এখন রিলস ক্রিয়েটরদের জন্য নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের ভিডিওতে মনিটাইজ করার সুযোগ দিচ্ছে ফেসবুক। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রচুর ক্রিয়েটর এখন রিলস বানাচ্ছেন এবং অর্থ আয়ও করছেন।

এছাড়াও কয়েকটি উপায়ে এই রিলস দিয়ে ফেসবুকের ব্যবহারকারীরা রিলস দিয়ে আয় করে থাকেন। ফেসবুকে ক্রিয়েটরদের এই রিলসগুলোতে স্টার দিতে পারেন সাধারণ ব্যবহারকারীরা। ক্রিয়েটররা পরবর্তীতে এসব স্টার ফেসবুকের কাছে বিক্রি করে টাকা আয় করেন।
রিলস ট্যাব থেকে কোনো রিলস চালু করলে, ভিডিও চালু হওয়ার আগে যে বিজ্ঞাপনটি দেখা যায়, সেটি ওভার লে এড। ভালো পেজগুলোতে এই বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠানই মুখিয়ে থাকেন। এছাড়া একটি রিলস দেখা শেষে স্ক্রল করার পর আরেকটি রিলস চালু হওয়ার আগে ২ রিলসের মাঝে যে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়, সেটি পোস্ট-লুপ এড। এর মাধ্যমে ফেসবুকের মনিটেইজেশন থেকে আয় করা যায়।
ফেসবুকে সাধারণ ভিডিও ও রিলস ভিডিওর মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ভিডিওর দৈর্ঘ্য। রিলস ভিডিওর দৈর্ঘ্য হতে হবে সর্বোচ্চ ৯০ সেকেন্ড এবং ভিডিও হতে হবে ভার্টিক্যাল বা লম্বালম্বি।
রিলস ট্যাব থেকে কোনো রিলস চালু করলে, ভিডিও চালু হওয়ার আগে যে বিজ্ঞাপনটি দেখা যায়, সেটি ওভার লে এড। ভালো পেজগুলোতে এই বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠানই মুখিয়ে থাকেন। এছাড়া একটি রিলস দেখা শেষে স্ক্রল করার পর আরেকটি রিলস চালু হওয়ার আগে ২ রিলসের মাঝে যে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়, সেটি পোস্ট-লুপ এড। এর মাধ্যমে ফেসবুকের মনিটেইজেশন থেকে আয় করা যায়।
ফেসবুকে সাধারণ ভিডিও ও রিলস ভিডিওর মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ভিডিওর দৈর্ঘ্য। রিলস ভিডিওর দৈর্ঘ্য হতে হবে সর্বোচ্চ ৯০ সেকেন্ড এবং ভিডিও হতে হবে ভার্টিক্যাল বা লম্বালম্বি।

এছাড়া মনিটাইজেশনের জন্য অন্ততপক্ষে ৫ হাজার ফলোয়ার বিশিষ্ট পেজ বা প্রফেশনাল মোডের আইডির প্রয়োজন হবে। নিজের বানানো অন্ততপক্ষে ৫ টি ভিডিও আপ্লোড করতে হবে, কপি বা অন্যের ভিডিও দিয়ে কোনোভাবেই মনিটাইজেশন করা সম্ভব নয়। তাছাড়া শেষ ২ মাসে ৬০ হাজার মিনিট ওয়াচটাইম থাকতে হবে পেজে।
এসব শর্ত পূরণ হওয়ার পর রিলস মনিটাইজেশন করার জন্য আবেদন করা যাবে। ফেসবুক সেই পেজ ও পার্টনার মনিটাইজেশন পলিসি এবং কনটেন্ট মনিটাইজেশন পলিসি রিভিউ করবে। সব ঠিক থাকলে প্রফেশনাল ড্যাশবোর্ডে অথবা ইমেইলের মাধ্যমে মনিটাইজেশনের ব্যাপারটি নিশ্চিত করে মেটা বিজনেস স্যুট।
এইভাবে আবেদন করার পর একবার অনুমোদন পেয়ে গেলে মোবাইল দিয়ে আপলোড দেয়া রিলস থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই আয় হতে থাকবে একাউন্টে।
এসব শর্ত পূরণ হওয়ার পর রিলস মনিটাইজেশন করার জন্য আবেদন করা যাবে। ফেসবুক সেই পেজ ও পার্টনার মনিটাইজেশন পলিসি এবং কনটেন্ট মনিটাইজেশন পলিসি রিভিউ করবে। সব ঠিক থাকলে প্রফেশনাল ড্যাশবোর্ডে অথবা ইমেইলের মাধ্যমে মনিটাইজেশনের ব্যাপারটি নিশ্চিত করে মেটা বিজনেস স্যুট।
এইভাবে আবেদন করার পর একবার অনুমোদন পেয়ে গেলে মোবাইল দিয়ে আপলোড দেয়া রিলস থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই আয় হতে থাকবে একাউন্টে।

ফেসবুক রিলস থেকে আয় করার উপায়:
প্রয়োজনীয়তা:
- ১৮ বছর বা তার বেশি বয়স: আপনার অবশ্যই ফেসবুক রিলস মোনেটাইজেশন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার জন্য এই বয়সের হতে হবে।
- ৫০০০ ফলোয়ার: আপনার ফেসবুক পেজে কমপক্ষে ৫০০০ জন ফলোয়ার থাকতে হবে।
- ৬০ দিনে ৬ মিলিয়ন মিনিট ভিউ: গত ৬০ দিনে আপনার পোস্ট করা ভিডিওগুলিতে কমপক্ষে ৬ মিলিয়ন মিনিট ভিউ থাকতে হবে।
- একটি পাবলিক ফেসবুক পেজ: আপনার আয় করার জন্য একটি পাবলিক ফেসবুক পেজ থাকতে হবে।
আয়ের উপায়:
- বিজ্ঞাপন: ফেসবুক আপনার রিলসে বিজ্ঞাপন দেখাবে এবং আপনি প্রতি ১০০০ ভিউতে একটি নির্দিষ্ট অংশ (যেমন ৫৫%) পাবেন।
- ফেসবুক স্টারস: দর্শকরা আপনার রিলসে "স্টার" দিতে পারবে এবং প্রতি ১০০ স্টারে আপনি $১ পাবেন।
- রিলস বোনাস প্রোগ্রাম: ফেসবুক নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনকারীদের জন্য বোনাস অফার করে।
আরও টিপস:
- উচ্চ-মানের কন্টেন্ট তৈরি করুন: আকর্ষক এবং আকর্ষণীয় ভিডিও তৈরি করুন যা দর্শকদের দেখতে চাইবে।
- ট্রেন্ডিং বিষয়বস্তু ব্যবহার করুন: জনপ্রিয় গান, চ্যালেঞ্জ এবং হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন।
- নিয়মিত পোস্ট করুন: দর্শকদের আগ্রহ ধরে রাখার জন্য নিয়মিত নতুন রিলস পোস্ট করুন।
- আপনার দর্শকদের সাথে যোগাযোগ করুন: মন্তব্যের উত্তর দিন এবং প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন।
- বিশ্লেষণ ট্র্যাক করুন: আপনার রিলসের পারফরম্যান্স ট্র্যাক করুন এবং দেখুন কোন ধরণের কন্টেন্ট সবচেয়ে ভালো কাজ করে।
COMMENTS