
এনএনবি, গাজীপুর
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের লিফটে আটকে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত স্বাস্থ্য অধিদফতরের তদন্ত দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সোমবার (১৩ মে, ২০২৪) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত তদন্ত কার্যক্রম চালিয়েছে তারা। তিন সদস্যের দলের নেতৃত্ব দেন কমিটির প্রধান স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (ডেন্টাল) ডা. মাহমুদা বেগম। তার সঙ্গে ছিলেন কমিটির বাকি দুই সদস্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের উপপরিচালক মো. খায়রুজ্জামান ও সহকারী পরিচালক মো. মাসুদ রেজা খান।
তদন্তকাজ শেষে বিকালে হাসপাতালের সামনে তদন্ত কমিটির প্রধান মাহমুদা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ‘রবিবার শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের লিফটে আটকে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সোমবার হাসপাতালের পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক-নার্স, লিফট অপারেটর, ওয়ার্ডবয় ও গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। তদন্তে লিফট বন্ধের কারণ, তা কতক্ষণ বন্ধ ছিল, লিফটে আটকা পড়া লোকজন কীভাবে উদ্ধার হলো ও রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় কারও অবহেলা ছিল কিনা, সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
তদন্ত কমিটির সদস্য অধিদফতরের উপপরিচালক মো. খায়রুজ্জামান বলেন, ‘রোগীর স্বজনদের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলবো আমরা। তাদের সঙ্গে টেলিফোনে কিংবা ফোনে কথা বলবো।’
এমন মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক জানিয়ে সহকারী পরিচালক মো. মাসুদ রেজা খান বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা ব্যথিত। কারও গাফিলতি ছিল কিনা, সেগুলো পর্যালোচনা করছি। তবে আমরা এখন পর্যন্ত যেটি বুঝতে পেরেছি, যেহেতু ওই ব্যক্তি হার্টের রোগী ছিলেন, এএমআই চিকিৎসা চলছিল। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে মৃত্যু হয়েছে। যা মোটেও কাঙ্ক্ষিত ছিল না।’
অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি কীভাবে ঘটলো, কেন ঘটলো, তা জানার চেষ্টা করছি উল্লেখ করে মাসুদ রেজা খান বলেন, ‘রোগী যে সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন, সেই রোগের কাগজপত্র দেখেছি। মেডিসিন ওয়ার্ডে যেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন, সেখানকার চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তার হৃদরোগের সমস্যা ছিল, এজন্য মেডিসিন বিভাগ থেকে হৃদরোগ বিভাগে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে তাকে নিয়ে লিফটে ওঠার পরে বিদ্যুৎ চলে যায়। ফলে ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে মারা যান। আমরা আজ ওই লিফটে উঠলাম এবং ওই লিফটের অবস্থা কেমন সেটিও দেখলাম। যারা ইনস্টলমেন্ট করেছেন, যারা এটি পরিচালনা করছেন, আমাদের গণপূর্ত বিভাগ তাদের সঙ্গে নিয়ে লিফটের অবস্থা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যতটুকু বুঝতে পেরেছি, ওই মুহূর্তে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় লিফটে যে অটো রেসকিউ ডিভাইস থাকে, ওই সময় তা কাজ না করায় সচল হয়নি। আমরা আরও পর্যালোচনা করবো। সবগুলো বিষয় দেখে প্রতিবেদন দেবো। লিফট যাদের অপারেট করার কথা ছিল এবং ঘটনাটি যখন ঘটে, তখন তারা কোথায় ছিল, ডিউটিতে ছিল কিনা; সব দেখবো। তবে এ ঘটনায় আমরা ব্যথিত এবং মর্মাহত।’
দুর্ঘটনাকবলিত লিফটের সামনে দাঁড়িয়ে মাসুদ রেজা খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘লিফট অপারেটরদের রোস্টার থাকে, সেটিও আমরা দেখেছি। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। হাজিরা খাতা দেখে তাদের যারা সুপারভিশন করে তাদের সঙ্গেও কথা বলবো। যেহেতু এটি সরকারি হাসপাতাল, সেজন্য সার্বক্ষণিক লিফট অপারেটর থাকা উচিত।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতরের তদন্ত দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সবার বক্তব্য নিয়েছে। এ ঘটনায় আমাদের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারাও তদন্ত শুরু করেছে।’
এর আগে রবিবার সকালে হাসপাতালের লিফটে আটকা পড়ে মমতাজ (৫০) নামের এক রোগীর মৃত্যু হয়। তিনি গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বারিগাঁও গ্রামের শরীফ উদ্দীনের স্ত্রী।
ঘটনাটি স্বাস্থ্য অধিদফতরকে চিঠি দিয়ে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে ‘লিফটে আটকে পড়া রোগীসহ লোকজন দরজা ধাক্কাধাক্কি করায় লিফটের দরজার নিরাপত্তাব্যবস্থা কাজ করেনি’ বলে দাবি করা হয়েছে।
এদিকে, গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মতো সরকারি হাসপাতালের লিফটে আটকে রোগীর মৃত্যু অত্যন্ত মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক উল্লেখ করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিঠি দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
এর আগে গত ৪ মে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগী হাসপাতালের ১২ তলা থেকে পড়ে গিয়ে প্রাণ হারান। সে দিন রাত পৌনে ১১টার দিকে হাসপাতালের ১২ তলায় মেডিসিন বিভাগের পাশের বিদ্যুৎ রক্ষণাবেক্ষণ কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের লিফটে আটকে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত স্বাস্থ্য অধিদফতরের তদন্ত দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সোমবার (১৩ মে, ২০২৪) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত তদন্ত কার্যক্রম চালিয়েছে তারা। তিন সদস্যের দলের নেতৃত্ব দেন কমিটির প্রধান স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (ডেন্টাল) ডা. মাহমুদা বেগম। তার সঙ্গে ছিলেন কমিটির বাকি দুই সদস্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের উপপরিচালক মো. খায়রুজ্জামান ও সহকারী পরিচালক মো. মাসুদ রেজা খান।
তদন্তকাজ শেষে বিকালে হাসপাতালের সামনে তদন্ত কমিটির প্রধান মাহমুদা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ‘রবিবার শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের লিফটে আটকে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সোমবার হাসপাতালের পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক-নার্স, লিফট অপারেটর, ওয়ার্ডবয় ও গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। তদন্তে লিফট বন্ধের কারণ, তা কতক্ষণ বন্ধ ছিল, লিফটে আটকা পড়া লোকজন কীভাবে উদ্ধার হলো ও রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় কারও অবহেলা ছিল কিনা, সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
তদন্ত কমিটির সদস্য অধিদফতরের উপপরিচালক মো. খায়রুজ্জামান বলেন, ‘রোগীর স্বজনদের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলবো আমরা। তাদের সঙ্গে টেলিফোনে কিংবা ফোনে কথা বলবো।’
এমন মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক জানিয়ে সহকারী পরিচালক মো. মাসুদ রেজা খান বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা ব্যথিত। কারও গাফিলতি ছিল কিনা, সেগুলো পর্যালোচনা করছি। তবে আমরা এখন পর্যন্ত যেটি বুঝতে পেরেছি, যেহেতু ওই ব্যক্তি হার্টের রোগী ছিলেন, এএমআই চিকিৎসা চলছিল। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে মৃত্যু হয়েছে। যা মোটেও কাঙ্ক্ষিত ছিল না।’
অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি কীভাবে ঘটলো, কেন ঘটলো, তা জানার চেষ্টা করছি উল্লেখ করে মাসুদ রেজা খান বলেন, ‘রোগী যে সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন, সেই রোগের কাগজপত্র দেখেছি। মেডিসিন ওয়ার্ডে যেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন, সেখানকার চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তার হৃদরোগের সমস্যা ছিল, এজন্য মেডিসিন বিভাগ থেকে হৃদরোগ বিভাগে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে তাকে নিয়ে লিফটে ওঠার পরে বিদ্যুৎ চলে যায়। ফলে ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে মারা যান। আমরা আজ ওই লিফটে উঠলাম এবং ওই লিফটের অবস্থা কেমন সেটিও দেখলাম। যারা ইনস্টলমেন্ট করেছেন, যারা এটি পরিচালনা করছেন, আমাদের গণপূর্ত বিভাগ তাদের সঙ্গে নিয়ে লিফটের অবস্থা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যতটুকু বুঝতে পেরেছি, ওই মুহূর্তে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় লিফটে যে অটো রেসকিউ ডিভাইস থাকে, ওই সময় তা কাজ না করায় সচল হয়নি। আমরা আরও পর্যালোচনা করবো। সবগুলো বিষয় দেখে প্রতিবেদন দেবো। লিফট যাদের অপারেট করার কথা ছিল এবং ঘটনাটি যখন ঘটে, তখন তারা কোথায় ছিল, ডিউটিতে ছিল কিনা; সব দেখবো। তবে এ ঘটনায় আমরা ব্যথিত এবং মর্মাহত।’
দুর্ঘটনাকবলিত লিফটের সামনে দাঁড়িয়ে মাসুদ রেজা খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘লিফট অপারেটরদের রোস্টার থাকে, সেটিও আমরা দেখেছি। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। হাজিরা খাতা দেখে তাদের যারা সুপারভিশন করে তাদের সঙ্গেও কথা বলবো। যেহেতু এটি সরকারি হাসপাতাল, সেজন্য সার্বক্ষণিক লিফট অপারেটর থাকা উচিত।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতরের তদন্ত দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সবার বক্তব্য নিয়েছে। এ ঘটনায় আমাদের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারাও তদন্ত শুরু করেছে।’
এর আগে রবিবার সকালে হাসপাতালের লিফটে আটকা পড়ে মমতাজ (৫০) নামের এক রোগীর মৃত্যু হয়। তিনি গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বারিগাঁও গ্রামের শরীফ উদ্দীনের স্ত্রী।
ঘটনাটি স্বাস্থ্য অধিদফতরকে চিঠি দিয়ে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে ‘লিফটে আটকে পড়া রোগীসহ লোকজন দরজা ধাক্কাধাক্কি করায় লিফটের দরজার নিরাপত্তাব্যবস্থা কাজ করেনি’ বলে দাবি করা হয়েছে।
এদিকে, গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মতো সরকারি হাসপাতালের লিফটে আটকে রোগীর মৃত্যু অত্যন্ত মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক উল্লেখ করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিঠি দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
এর আগে গত ৪ মে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগী হাসপাতালের ১২ তলা থেকে পড়ে গিয়ে প্রাণ হারান। সে দিন রাত পৌনে ১১টার দিকে হাসপাতালের ১২ তলায় মেডিসিন বিভাগের পাশের বিদ্যুৎ রক্ষণাবেক্ষণ কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
COMMENTS