
শাহীন রহমান
এনএনবি, পাবনা
পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনের টিউবওয়েলে প্রায় দুই মাস ধরে পানি উঠছে না। ফলে সব টিউবওয়েল অকেজো হয়ে পড়েছে।
এদিকে ঈশ্বরদীতে প্রতিদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ থেকে ৪২ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। তীব্র তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস করছে মানুষ।
এমতাবস্থায় ট্রেনে ভ্রমণকারী শত শত ট্রেনযাত্রী প্রতিদিন ট্রেন থেকে নেমে টিউবওয়েল থেকে পানি তুলতে গিয়ে ব্যর্থ হচ্ছেন। বৃদ্ধদের সঙ্গে শিশুরা পড়ছে চরম বিপাকে।
ট্রেন যাত্রীদের দুর্ভোগ দেখে নিজেকে স্থির রাখতে পারেননি ঈশ্বরদী রেলওয়ের মানবিক টিকিট পরিদর্শক (সিনিয়র টিটিই) আবদুল আলীম মিঠু। ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাড়ি থেকে পানি এনে ট্রেন যাত্রীদের পান করানোর মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তিনি।
টিটিই মিঠু প্রতিদিন তৃষ্ণার্ত ট্রেনযাত্রীদের এই পানি পানের ব্যবস্থা করায় এই গরমে ট্রেনযাত্রীরা পানির কষ্ট থেকে অনেকটা মুক্তি পেয়েছেন।
দেখা গেছে, ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে কোনো ট্রেন এসে থামলেই বড় বড় পানির বোতল থেকে গ্লাসে ও ছোট বোতলে ঢেলে ট্রেনযাত্রীদের পানি খাওয়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন টিটিই মিঠু।
ট্রেন যাত্রীরা বলেন, ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমেই এক-দু গ্লাস সুপেয় ঠান্ডা পানি পান করতে পারছি। শুকিয়ে যাওয়া গলাটা ভেজাতে পারছি এই প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে এটা অনেক বড় উপকার।
রায়হান কবির নামে ওই ট্রেনযাত্রী টিটিইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের পানীয় জলের এই ব্যবস্থা করা উচিত ছিল, অথচ একজন টিটিই নিজ উদ্যোগে এই মানবিক কাজটি করছেন।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী রেলের সিনিয়র টিটিই আব্দুল আলীম বিশ্বাস মিঠু বলেন, ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশন দেশের অন্যতম বড় ও ব্যস্ততম স্টেশন। এই স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০টি ট্রেন চলাচল করে। অথচ এই স্টেশনের একমাত্র টিউবওয়েলটি দীর্ঘদিন ধরে অচল হয়ে আছে। তাপদাহ শুরুর পর থেকে পানি ওঠে না। এই অবস্থায় প্রতিদিন ট্রেন যাত্রীরা যখন ট্রেন থেকে নেমে টিউবওয়েল থেকে পানি না পেয়ে হতাশ হন, সে দৃশ্য দেখে আমার কষ্ট হয়।
মিঠু বলেন, সে কারণে ব্যক্তিগতভাবে বড় বড় পানির জার ও বোতল বাজার থেকে কিনে বাড়ি থেকে তা ভর্তি করে স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষমাণ ও ট্রেন থেকে নামা যাত্রীদের পানি পান করানোর এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এতে আমি মানসিকভাবে অন্যরকম প্রশান্তি অনুভব করি।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পাকশী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) অসিম কুমার তালুকদার বলেন, আমি নিজেও ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইতোমধ্যে চলন্ত ট্রেনের যাত্রীদের শরবত পান করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। টিটিই মিঠুর এই মানবিক উদ্যোগের কথাও আমি জেনেছি। তার উদ্যোগ প্রশংসনীয়। গরমে সকলেরই এ ধরনের মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।
এনএনবি, পাবনা
পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনের টিউবওয়েলে প্রায় দুই মাস ধরে পানি উঠছে না। ফলে সব টিউবওয়েল অকেজো হয়ে পড়েছে।
এদিকে ঈশ্বরদীতে প্রতিদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ থেকে ৪২ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। তীব্র তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস করছে মানুষ।
এমতাবস্থায় ট্রেনে ভ্রমণকারী শত শত ট্রেনযাত্রী প্রতিদিন ট্রেন থেকে নেমে টিউবওয়েল থেকে পানি তুলতে গিয়ে ব্যর্থ হচ্ছেন। বৃদ্ধদের সঙ্গে শিশুরা পড়ছে চরম বিপাকে।
ট্রেন যাত্রীদের দুর্ভোগ দেখে নিজেকে স্থির রাখতে পারেননি ঈশ্বরদী রেলওয়ের মানবিক টিকিট পরিদর্শক (সিনিয়র টিটিই) আবদুল আলীম মিঠু। ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাড়ি থেকে পানি এনে ট্রেন যাত্রীদের পান করানোর মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তিনি।
টিটিই মিঠু প্রতিদিন তৃষ্ণার্ত ট্রেনযাত্রীদের এই পানি পানের ব্যবস্থা করায় এই গরমে ট্রেনযাত্রীরা পানির কষ্ট থেকে অনেকটা মুক্তি পেয়েছেন।
দেখা গেছে, ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে কোনো ট্রেন এসে থামলেই বড় বড় পানির বোতল থেকে গ্লাসে ও ছোট বোতলে ঢেলে ট্রেনযাত্রীদের পানি খাওয়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন টিটিই মিঠু।
ট্রেন যাত্রীরা বলেন, ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমেই এক-দু গ্লাস সুপেয় ঠান্ডা পানি পান করতে পারছি। শুকিয়ে যাওয়া গলাটা ভেজাতে পারছি এই প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে এটা অনেক বড় উপকার।
রায়হান কবির নামে ওই ট্রেনযাত্রী টিটিইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের পানীয় জলের এই ব্যবস্থা করা উচিত ছিল, অথচ একজন টিটিই নিজ উদ্যোগে এই মানবিক কাজটি করছেন।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী রেলের সিনিয়র টিটিই আব্দুল আলীম বিশ্বাস মিঠু বলেন, ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশন দেশের অন্যতম বড় ও ব্যস্ততম স্টেশন। এই স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০টি ট্রেন চলাচল করে। অথচ এই স্টেশনের একমাত্র টিউবওয়েলটি দীর্ঘদিন ধরে অচল হয়ে আছে। তাপদাহ শুরুর পর থেকে পানি ওঠে না। এই অবস্থায় প্রতিদিন ট্রেন যাত্রীরা যখন ট্রেন থেকে নেমে টিউবওয়েল থেকে পানি না পেয়ে হতাশ হন, সে দৃশ্য দেখে আমার কষ্ট হয়।
মিঠু বলেন, সে কারণে ব্যক্তিগতভাবে বড় বড় পানির জার ও বোতল বাজার থেকে কিনে বাড়ি থেকে তা ভর্তি করে স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষমাণ ও ট্রেন থেকে নামা যাত্রীদের পানি পান করানোর এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এতে আমি মানসিকভাবে অন্যরকম প্রশান্তি অনুভব করি।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পাকশী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) অসিম কুমার তালুকদার বলেন, আমি নিজেও ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইতোমধ্যে চলন্ত ট্রেনের যাত্রীদের শরবত পান করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। টিটিই মিঠুর এই মানবিক উদ্যোগের কথাও আমি জেনেছি। তার উদ্যোগ প্রশংসনীয়। গরমে সকলেরই এ ধরনের মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।
COMMENTS