
এনএনবি, গাজীপুর
জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে নির্যাতনের শিকার এক কিশোরী (১২) গৃহপরিচারিকাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (০৫ মে, ২০২৪) দুপুর ১২টার পর গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের বারতোপা গ্রামের রিপন মিয়ার বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারের পর ওই কিশোরী জানায়, ‘আমার মা নেই, শুধু বাবা আছে। আমার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে পরিচয় হয়ে এক বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করার জন্য দেয়। আমি মোটামুটি সব কাজ করি। ওরা আমার বাবাকে বলেছিল, আপনার মেয়ে সারাজীবন আমার এখানে থাকবে। বলেছিল, এখানে থাকলে সে ভালো থাকবে। ভালো পোশাক পরবে। ভালো খাবার পাবে। কিন্তু বাবা চলে যাওয়ার পরপরই ওরা আমার ওপর শারীরিক মানসিক নির্যাতন শুরু করে। আমাকে মেঝেতে ফেলে একাধিক দিন মারধর করেছে।’
কিশোরী আরও জানায়, ‘সাত মাস যাবত আমি দুই হাজার টাকার বেতনে এই বাড়িতে কাজ করি। ঘরবাড়ি মোছা, বাসনকোসন ধোয়ামোছাসহ অনেক কাজ করেছি। কিন্তু আমাকে সামান্য বিষয়ে অনেক মারধর করে তারা। গৃহকর্ত্রীর মেয়ে জুতা নষ্ট করলেও তার জন্য আমাকে অনেক মারে। ভয়ে কোনও কিছু বলি নাই।’
নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী বরগুনা সদর এলাকার বাসিন্দা। এ বিষয়ে অভিযুক্ত গৃহকর্ত্রী কাজল আক্তার বলেন, ‘ওর সামনে জিজ্ঞাসা করেন, আমি বেশি কিছু করি নাই। শুধু ধাক্কা দিয়ে বলতাম, এটা করলি কেন? এর বেশি কিছু আমি তারে কখনও বলি নাই।’
শ্রীপুরের চকপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিন্টু মিয়া বলেন, ‘৯৯৯ নম্বরে ফোনে পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহপরিচারিকাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। তার বাবাকে ফোন দেওয়া হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে নির্যাতনের শিকার এক কিশোরী (১২) গৃহপরিচারিকাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (০৫ মে, ২০২৪) দুপুর ১২টার পর গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের বারতোপা গ্রামের রিপন মিয়ার বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারের পর ওই কিশোরী জানায়, ‘আমার মা নেই, শুধু বাবা আছে। আমার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে পরিচয় হয়ে এক বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করার জন্য দেয়। আমি মোটামুটি সব কাজ করি। ওরা আমার বাবাকে বলেছিল, আপনার মেয়ে সারাজীবন আমার এখানে থাকবে। বলেছিল, এখানে থাকলে সে ভালো থাকবে। ভালো পোশাক পরবে। ভালো খাবার পাবে। কিন্তু বাবা চলে যাওয়ার পরপরই ওরা আমার ওপর শারীরিক মানসিক নির্যাতন শুরু করে। আমাকে মেঝেতে ফেলে একাধিক দিন মারধর করেছে।’
কিশোরী আরও জানায়, ‘সাত মাস যাবত আমি দুই হাজার টাকার বেতনে এই বাড়িতে কাজ করি। ঘরবাড়ি মোছা, বাসনকোসন ধোয়ামোছাসহ অনেক কাজ করেছি। কিন্তু আমাকে সামান্য বিষয়ে অনেক মারধর করে তারা। গৃহকর্ত্রীর মেয়ে জুতা নষ্ট করলেও তার জন্য আমাকে অনেক মারে। ভয়ে কোনও কিছু বলি নাই।’
নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী বরগুনা সদর এলাকার বাসিন্দা। এ বিষয়ে অভিযুক্ত গৃহকর্ত্রী কাজল আক্তার বলেন, ‘ওর সামনে জিজ্ঞাসা করেন, আমি বেশি কিছু করি নাই। শুধু ধাক্কা দিয়ে বলতাম, এটা করলি কেন? এর বেশি কিছু আমি তারে কখনও বলি নাই।’
শ্রীপুরের চকপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিন্টু মিয়া বলেন, ‘৯৯৯ নম্বরে ফোনে পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহপরিচারিকাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। তার বাবাকে ফোন দেওয়া হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
COMMENTS