![]() |
গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনদের আহাজারি। |
এনএনবি, গাজীপুর
জেল থেকে বেরিয়ে এক গৃহবধূকে তার স্বামী শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাতভর শারীরিক নির্যাতন করে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ গৃহবধূর স্বজনদের। সোমবার (১৫ এপ্রিল, ২০২৪) সকালে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের তালতলী পূর্বপাড়ার স্বামীর বাড়ি থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ওই গৃহবধূর নাম শরিফা খাতুন (২২)। তিনি তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা (সুতাপাড়া) গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত স্বামী আরাফাত শুভ (২৫) ও শাশুড়ি ইয়াসমিন খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ। শুভ একই ইউনিয়নের তালতলী পূর্বপাড়ার (মুরগি বাজার) শাহজাহানের ছেলে। তিনি প্রাইভেটকারচালক। এই দম্পতির ইশরাত আক্তার নামে আড়াই বছরের এক মেয়েসন্তান আছে। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শরিফা খাতুনের মামা ওমর ফারুক বলেন, ‘শুভ ও শরিফা খালাতো ভাইবোন। সাড়ে তিন বছর আগে একে-অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। বিয়ের কয়েক মাস পর স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করে শুভ। নির্যাতনের বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা না হওয়ায় শরিফা স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে। ওই মামলায় শুভ কারাভোগ শেষে সম্প্রতি জেল থেকে জামিনে বের হয়। রবিবার রাতে স্বামী-স্ত্রী ঝগড়া করেছিল। সকালে শুনি, শরিফা মারা গেছে। পরে স্বামী ও শাশুড়ি পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক করে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী।’
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, শুভ সবসময় জুয়া খেলতো। একইসঙ্গে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িত ছিল। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া লেগেই থাকতো। রবিবার রাতে ঝগড়ার সময় স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করে শুভ।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’
জেল থেকে বেরিয়ে এক গৃহবধূকে তার স্বামী শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাতভর শারীরিক নির্যাতন করে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ গৃহবধূর স্বজনদের। সোমবার (১৫ এপ্রিল, ২০২৪) সকালে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের তালতলী পূর্বপাড়ার স্বামীর বাড়ি থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ওই গৃহবধূর নাম শরিফা খাতুন (২২)। তিনি তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা (সুতাপাড়া) গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত স্বামী আরাফাত শুভ (২৫) ও শাশুড়ি ইয়াসমিন খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ। শুভ একই ইউনিয়নের তালতলী পূর্বপাড়ার (মুরগি বাজার) শাহজাহানের ছেলে। তিনি প্রাইভেটকারচালক। এই দম্পতির ইশরাত আক্তার নামে আড়াই বছরের এক মেয়েসন্তান আছে। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শরিফা খাতুনের মামা ওমর ফারুক বলেন, ‘শুভ ও শরিফা খালাতো ভাইবোন। সাড়ে তিন বছর আগে একে-অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। বিয়ের কয়েক মাস পর স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করে শুভ। নির্যাতনের বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা না হওয়ায় শরিফা স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে। ওই মামলায় শুভ কারাভোগ শেষে সম্প্রতি জেল থেকে জামিনে বের হয়। রবিবার রাতে স্বামী-স্ত্রী ঝগড়া করেছিল। সকালে শুনি, শরিফা মারা গেছে। পরে স্বামী ও শাশুড়ি পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক করে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী।’
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, শুভ সবসময় জুয়া খেলতো। একইসঙ্গে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িত ছিল। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া লেগেই থাকতো। রবিবার রাতে ঝগড়ার সময় স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করে শুভ।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’
COMMENTS