![]() |
ছবি সংগৃহীত |
এনএনবি, ঢাকা
বিএনপির ইফতার মাহফিলে জামায়াতে ইসলামীর আমিরসহ দলটির চারজন নেতা অংশ নিয়েছেন।
তবে দুই শরিক দল বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেউ অংশ
নেননি। ইফতারে আরও অংশ নেন বিরোধী অন্তত ৬৫টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ, ২০২৪) রাজনৈতিক নেতাদের সম্মানে রাজধানীর ইস্কাটনের
লেডিস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এ ইফতার মাহফিলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক
রহমান ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সভাপতিত্ব করেন।
সভাপতির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একটা কঠিন সময় অতিক্রম করছি।
ফ্যাসিবাদী শক্তি জাতির ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে আছে। আমাদের সব
আশা-আকাঙ্ক্ষাগুলো ব্যর্থ করে দিয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়ার
চেষ্টা চলছে। এ অবস্থায় সব গণতান্ত্রিক শক্তি সমন্বিতভাবে লড়াই করলে আমরা যে
চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য কাজ করছি, সেই আন্দোলনে বিজয় অর্জিত হবে ইনশা আল্লাহ।’
এই ইফতারে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান ছাড়াও দলটির সেক্রেটারি জেনারেল
মিয়া গোলাম পরওয়ার, নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সহকারী
সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিমসহ চারজন অংশ নেন। গত বছরের ইফতারে জামায়াতকে
আমন্ত্রণ জানায়নি বিএনপি।
ইফতার মাহফিলে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘কোনো জালিমের
রক্তচক্ষুর কাছে আমরা মাথানত করব না। তাই কোনো ভেদাভেদ নয়, বিভেদ নয়,
ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। বিজয় আমাদের হবেই।’
ইফতারে অন্যান্য দলের মধ্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না,
চরমোনাইয়ের পীরের রাজনৈতিক উপদেষ্টা আশরাফ আলী আকন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান
সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণফোরাম একাংশের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী,
জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদউদ্দিন মাহমুদ, এবি পার্টির আহ্বায়ক এ এফ এম
সোলায়মান চৌধুরী, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের একাংশের সভাপতি নুরুল আমিন বেপারী,
জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, গণ অধিকার পরিষদ (নুর) সাধারণ
সম্পাদক রাশেদ খান, আরেক অংশের আহ্বায়ক কর্নেল অব. মশিউজ্জামান, গণতান্ত্রিক
বাম ঐক্যের সমন্বয়ক হারুনুর রশিদ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ
এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, লেবার পার্টির
চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব আহসান
হাবীব লিংকন, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব মুহাম্মদ আবু হানিফ, বাংলাদেশ ফেডারেল
সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির নেতাদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র
রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমান, ভাইস
চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, এ জে এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু,
জয়নাল আবেদীন ও আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাঈল
জবিউল্লাহ, আবদুল হাই সিকদার, সাহেদা রফিক ও বিজন কান্তি সরকার, যুগ্ম মহাসচিব
মাহবুব উদ্দিন ও সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী,
কেন্দ্রীয় নেতা জহির উদ্দিন স্বপন, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলামসহ বিএনপি ও
অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পেশাজীবী নেতাদের মধ্যে ছিলেন- অধ্যাপক ডা. আব্দুল কুদ্দুস, অধ্যাপক লুৎফর
রহমান, সাংবাদিক কামাল উদ্দিন সবুজ, কাদের গনি চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম, খুরশিদ
আলম, ড্যাবের ডা. আব্দুস সালাম, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের মো. জাকির হোসেন
প্রমুখ।
COMMENTS