![]() |
ছবি: সংগৃহীত |
এনএনবি, কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেছেন
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নাময়িগেল ওয়াংচুক।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ, ২০২৪) তিনি কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজ থেকে দুপুর ১টা
২০মিনিটে ধরলার পাড়ের বাংলাদেশ-ভুটানের যৌথ উদ্যোগে জিটুজিভিত্তিক বিশেষ এই
অর্থনৈতিক অঞ্চলে আসেন এবং ১৫ মিনিট স্থান পরিদর্শনের পাশাপাশি বেজার নির্বাহী
চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুনসহ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি সেখানে
দুপুরের খাবার সেরে ১টা ২০ মিনিটে অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত জায়গা পরিদর্শন
শেষে সোনাহাট হয়ে ভুটানে ফিরে গেছেন।
পরিদর্শনের সময় ভুটানের রাজার সঙ্গে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ
চৌধুরী, কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক খন্দকার,
কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল
কর্তৃপক্ষ (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ
সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
২১৯ একর জমির উপর গড়ে তোলা হবে জিটুজিভিত্তিক এ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল।
ভুটানের রাজার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বেজার নির্বাহী
চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, ‘ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক
এই জায়গায় অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার ব্যাপারে একমত হয়েছেন। পরিদর্শনে
এসে জায়গাটি তিনি পছন্দ করেছেন। তিনি (ভুটানের রাজা) এটিও বলেছেন যে যখন কাজ
শুরু হবে, তখন আমি আরও একবার এখানে আসব। তিনি এখানকার জায়গা ও যোগাযোগব্যবস্থা
দেখে সন্তুষ্ট হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজা বলেছেন, স্থানীয় লোকজনের চাহিদা এবং বিনিয়োগকারীদের
চাহিদার সমম্বয়ে এখানে কলকারখানা গড়ে উঠবে। বিশেষ করে কৃষিভিত্তিক এবং
উৎপাদনশীলতাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের ব্যবসায়ী সাজু আহমেদ জানান, ‘এই অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠলে
জীবনমান বদলে যাবে এ জেলার মানুষের। কর্মসংস্থানের পাশাপাশি ব্যবসার প্রসার
ঘটবে এ জেলায়।’
কুড়িগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট আব্দুল আজিজ জানান, ‘ধরলার পাড়ে
বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হলে সড়ক, নদী ও রেল পথের সুবিধা মিলবে। এ
অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।’
COMMENTS