![]() |
কক্সবাজারে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত পরিদর্শন করেন বিজিবি মহাপরিচালক। ছবি : বাসস |
এনএনবি, কক্সবাজার
অবৈধভাবে আর একজনকেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বিজিবি
মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪) কক্সবাজার রিজিয়নের আওতাধীন বাংলাদেশ-মায়ানমার
সীমান্ত পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিজিবির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে তিনি অবহিত করেন। দেশ
মাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সীমান্তে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ
ত্যাগ স্বীকারে বিজিবি প্রস্তুত রয়েছে বলেও তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে ধৈর্য ধারণ করে, মানবিক
থেকে এবং আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার সর্বোচ্চ চেষ্টা
করে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সাধারণ জনগণের জন্য জায়গাটা নিরাপদ নয়। বিশেষ করে যখন
গোলাগুলি শুরু হয়, সেই সময়টুকু তো একেবারেই নয়!’
‘এটা স্বাভাবিক যে, নিজের ঘর-বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র থাকাটা আদৌ সুখকর কোনো কিছু না।
তবে জীবন রক্ষার জন্য, যখন এ ধরনের পরিস্থিতি হয়, তখন তো কিছুটা করতেই হবে,’
যোগ করে বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘তুমব্রু ও ঘুমধুমের পাশের বিওপিগুলোর সীমান্ত এলাকায় সংঘাতের
প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এখনই সব সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের সরে যাওয়ার
কথা বলছি না।’
আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘এর আগে গোলা-মর্টার শেল আমাদের অভ্যন্তরেও এসে পড়েছে।
আমাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রতিবাদ জানিয়েছে। মিয়ানমার জানিয়েছে, এখানে যারা
আশ্রয় নিয়েছে, তারা তাদের নিয়ে যেতে প্রস্তুত। আমরা পরামর্শ করেছি। যত দ্রুত
সম্ভব আমরা নিয়ে যেতে বলেছি। আমরা আশাবাদী শিগগির এর সমাধান হবে।’
তিনি বলেন, 'এটা সম্পূর্ণ মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ গোলযোগ ও সংঘাত। আমরা আর কোনো
মৃত্যু চাই না। চাই এই পরিস্থিতির আশু সমাধান। বিজিবি ধৈর্য ধারণ করে,
সহনশীলভাবে যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করে বর্ডার সিলড রাখতে প্রস্তুত।'
এর আগে বিজিবি মহাপরিচালক বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি)
দায়িত্বপূর্ণ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত এবং
তৎসংলগ্ন বিওপি পরিদর্শন করেন।
তিনি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘর্ষের জেরে প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত
পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড
পুলিশ (বিজিপি), মিয়ানমার সেনাবাহিনী, ইমিগ্রেশন সদস্য, পুলিশ ও অন্যান্য
সংস্থার সব সদস্য খোঁজ খবর নেন এবং আহত অবস্থায় আসা ও হাসপাতালে চিকিৎসারত
বিজিপি সদস্যদের দেখতে যান।
এসময় বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা,
কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার, রামু সেক্টর কমান্ডার ও কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের
অধিনায়কসহ বিজিবির অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
COMMENTS