![]() |
সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের শরীফার গল্পকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। |
সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের বহুল আলোচিত-সমালোচিত ‘শরীফার
গল্প’ রিরাইট করা হবে। এ ছাড়া ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বিভিন্ন পাঠ্য বইয়ে কিছু
সংশোধন আসছে বলে জানা গেছে।
আগামী এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই এ সংশোধনী আসবে বলে সংবাদমাধ্যমকে
জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
গত শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সভায় মূল্যায়ন পদ্ধতি ও
কারিকুলাম সংক্রান্ত একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কারিকুলাম
এবং পাঠ্যপুস্তক বিতরণ ও মানোন্নয়ন সংক্রান্ত পর্যালোচনা সভায় এ কমিটি গঠনের
সিদ্ধান্ত হয়। এতে এনসিটিবির প্রতিনিধি, মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন অধিদপ্তরের
প্রতিনিধি, বোর্ডসমূহের প্রতিনিধিরা এ কমিটির সদস্য হবেন।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম
বলেন, ‘ইংরেজি মাধ্যমের ৭টি বই ভুলভাবে ছাপা হয়েছে। তাই বইগুলো উঠিয়ে নেয়া
হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শরীফার গল্পটি থাকছে, তবে রিরাইট হচ্ছে। বিজ্ঞানসহ আরও বেশ
কয়েকটি বইয়ের সংশোধন দিতে হবে। আরও কোনো সংশোধনের প্রয়োজন আছে কিনা, সেজন্যও কাজ
চলছে। সব সংশোধন আসার পর এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে সংশোধন করা বই শিক্ষার্থীদের
দেওয়া হবে।’
সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ‘মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা’
নামক একটি অধ্যায়ে শরীফার গল্প আছে দুই পাতা জুড়ে। কিন্তু মাত্র দুই পাতার এই
গল্পকে ঘিরে সারা দেশে বিশেষত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি
হয়েছে।
এই বিতর্কের মধ্যে ২৪ জানুয়ারি,২০২৪ পাঁচ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি
গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ কমিটি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে
(এনসিটিবি) গল্পটি পর্যালোচনায় সার্বিক সহায়তা করবে।
পাঁচ সদস্যের এই কমিটির আহ্বায়ক ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক
আব্দুর রশীদ। বাকি সদস্যদের মাঝে রয়েছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও
পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
(আইইআর) এবং ঢাকা আলিয়া মাদরাসার প্রতিনিধিরা।
COMMENTS