প্রেমিক মোর্শেদ অনির সাথে মারিয়া আখতার মুমু। ছবি: সংগৃহীত |
এনএনবি, গাজীপুর
গাজীপুরের টঙ্গী উড়াল সেতু থেকে নিচে ফেলে মারিয়া আখতার মুমু (২০) নামে এক তরুণীকে হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে। গত বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভুক্তভোগীর ভাই জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় মুমুর প্রেমিক বোর্ড বাজার এলাকার মোরশেদ অনি (৩০), তার বাবা খলিল মিয়া (৭০), বড় বোন রেখোনা (৩৫), বড় ভাই মোস্তফা (৪৪), অনির স্ত্রী অনামিকা (২৬), শহিদুলাহ (৫০) ও রিয়াদকে (২৮) আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে সবাই পলাতক রয়েছেন।
মুমুর বাবা মান্নান মিয়া মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে অনির প্রেম ছিল। বাসা থেকে স্বর্ণালংকার ও টাকা নিয়ে পালিয়ে আসে সে। পরে আমরা মেয়েকে অনি ও তার সহযোগীরা সেতু থেকে ফেলে হত্যা করেছে। পুলিশ হত্যা মামলা না নেওয়ায় ছয় দিন পর আদালতে মামলা করেছি।’
পরিবার ও মামলা সূত্র জানায়, মারিয়া আখতার মুমু পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর ভাটারা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন এবং উত্তরায় ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। প্রায় চার বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকার মোরশদ অনির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তারপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে তারা গোপনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
গত শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) ভোর ৪টার দিকে মুমু রাজধানীর ভাটারার বাসা থেকে প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ চার লাখ টাকা নিয়ে টঙ্গীতে অনির কাছে পৌঁছান। এরপর পৌনে ৬টার দিকে বিআরটি প্রকল্পের টঙ্গীর চেরাগ আলী উড়াল সেতু থেকে মুমুকে নিচে পড়ে যেতে দেখেন স্থানীয়রা।
পরে তাকে উদ্ধার করে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় লোকজন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসক। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়।
পরে টঙ্গী পশ্চিম থানা-পুলিশের উপরিদর্শক (এসআই) আল আমিন লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
এ বিষয়ে শহীদ আহসান উল্লাহ হাসপাতালের চিকিৎসক ইসরাত জাহান এ্যানি বলেন, ‘গত শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) সকালে অজ্ঞাত এক তরুণীকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার মাথা, কোমর ও পায়ের হাড় ভাঙা ছিল।’
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক এ এন এম আল মামুন বলেন, ‘মরদেহর ভিসেরা প্রতিবেদনের জন্য আলামত সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।’
টঙ্গী পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন বলেন, ‘তাৎক্ষণিক নিহতের পরিচয় শনাক্তে কাজ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও সিআইডি পরিচয় শনাক্তে কাজ করে। নিহতের পরিবারকে মামলা করতে বলা হয়েছিল। তারা আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন।’
গাজীপুরের টঙ্গী উড়াল সেতু থেকে নিচে ফেলে মারিয়া আখতার মুমু (২০) নামে এক তরুণীকে হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে। গত বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভুক্তভোগীর ভাই জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় মুমুর প্রেমিক বোর্ড বাজার এলাকার মোরশেদ অনি (৩০), তার বাবা খলিল মিয়া (৭০), বড় বোন রেখোনা (৩৫), বড় ভাই মোস্তফা (৪৪), অনির স্ত্রী অনামিকা (২৬), শহিদুলাহ (৫০) ও রিয়াদকে (২৮) আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে সবাই পলাতক রয়েছেন।
মুমুর বাবা মান্নান মিয়া মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে অনির প্রেম ছিল। বাসা থেকে স্বর্ণালংকার ও টাকা নিয়ে পালিয়ে আসে সে। পরে আমরা মেয়েকে অনি ও তার সহযোগীরা সেতু থেকে ফেলে হত্যা করেছে। পুলিশ হত্যা মামলা না নেওয়ায় ছয় দিন পর আদালতে মামলা করেছি।’
পরিবার ও মামলা সূত্র জানায়, মারিয়া আখতার মুমু পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর ভাটারা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন এবং উত্তরায় ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। প্রায় চার বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকার মোরশদ অনির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তারপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে তারা গোপনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
গত শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) ভোর ৪টার দিকে মুমু রাজধানীর ভাটারার বাসা থেকে প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ চার লাখ টাকা নিয়ে টঙ্গীতে অনির কাছে পৌঁছান। এরপর পৌনে ৬টার দিকে বিআরটি প্রকল্পের টঙ্গীর চেরাগ আলী উড়াল সেতু থেকে মুমুকে নিচে পড়ে যেতে দেখেন স্থানীয়রা।
পরে তাকে উদ্ধার করে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় লোকজন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসক। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়।
পরে টঙ্গী পশ্চিম থানা-পুলিশের উপরিদর্শক (এসআই) আল আমিন লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
এ বিষয়ে শহীদ আহসান উল্লাহ হাসপাতালের চিকিৎসক ইসরাত জাহান এ্যানি বলেন, ‘গত শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) সকালে অজ্ঞাত এক তরুণীকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার মাথা, কোমর ও পায়ের হাড় ভাঙা ছিল।’
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক এ এন এম আল মামুন বলেন, ‘মরদেহর ভিসেরা প্রতিবেদনের জন্য আলামত সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।’
টঙ্গী পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন বলেন, ‘তাৎক্ষণিক নিহতের পরিচয় শনাক্তে কাজ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও সিআইডি পরিচয় শনাক্তে কাজ করে। নিহতের পরিবারকে মামলা করতে বলা হয়েছিল। তারা আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন।’
COMMENTS