এনএনবি, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মারাত্মক জখম সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম ইমন পঙ্গুত্ব বরণের ঝুঁকিতে রয়েছেন।
তিনি আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা জানান।
উন্নত চিকিৎসা না হলে তাকে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হতে পারে। পুলিশের গুলি তার শরীর ভেদ করে বেরিয়ে গেছে। অসংখ্য ছড়রা গুলি এখনো তার শরীরে। দীর্ঘ ৫৩ দিন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়ে তিনি এখন বাসায় রয়েছেন। স্বাভাবিক হাটাচলা করতে পারেন না।
তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন বলে জানান ইমন। এখন তিনি স্বাভাবিক কর্ম করতে পারবেন না। তার পূর্ণ সুস্থতা ও পুনর্বাসনে সরকারের সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
গত ২০ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মালিবাগ রেলগেইট এলাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশী অ্যাকশনের দৃশ্য ধারণ করতে গেলে গায়ে প্রেস লেখা সিকিউরিটি জ্যাকেট ও বুকে সাংবাদিকের পরিচয়ের আইডি কার্ড ঝুলানো থাকার পরও সরাসরি ইমনকে গুলি করে পুলিশ। একটি গুলি তার শরীরের তলপেটে ভেদ করে, আরেকটি গুলি তার দু’পায়ের সংযোগস্থলের পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। তাছাড়া শরীরে বিদ্ধ হয় অসংখ্য ছড়রাগুলি।
ওই স্থানে উপস্থিত পুলিশ তাকে মৃত ভেবে তার দেহকে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। একপর্যায়ে স্থানীয় কয়েকজন তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন যে তার প্রাণ রয়েছে। চিকিৎসকগণ ঢাকা মেডিকেলের জরুরী বিভাগের বিপরীতে বার্ণ ইউনিটে তাকে স্থানান্তর করেন।
চিকিৎসকদের চেষ্টায় আটচল্লিশ ঘন্টা পর তার জ্ঞান ফিয়ে আসে। ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের কয়েকদিন চিকিৎসার পর তাকে বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার শরীরে দুইটি অস্ত্র পাচার সম্পন্ন হয়। সেখানে ২৮ দিন চিকিৎসা চলা অবস্থায় সাংবাদিক ইমনের হার্ট এট্যাক হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেলের সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। টানা ৫৩ দিন হাসপাতালে থেকে এখন বাসায় রয়েছেন তিনি।
ইমনের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে একাধিক বুলেট বিদ্ধ। তাছাড়া বিদ্ধ হয়েছে অসংখ্য ছড়রাগুলি।
আশঙ্কাজনক অবস্থা এখনো কাটেনি। আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতজনদের কাছ থেকে ধার করে ইতিমধ্যে অনেক অর্থ তারা খরচ করেছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ তাদের কাছে নেই।
তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল হাসপাতালে গিয়ে ইমনকে দেখে এসেছেন এবং কিছু অর্থ সহায়তাও দিয়েছেন। ইমনের ব্যক্তিগত বন্ধু ও দু'একজন শুভাকাঙ্ক্ষী ছাড়া আর কেউ তার খবর নেয়নি।
তার পাঁচ সন্তান। সকলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছেন। ইমন পরিবার নিয়ে কেরানীগঞ্জের এলাকায় থাকেন। বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ উপজেলার বদনিভাঙ্গা গ্রামের মৃত হেমায়েত হোসেনের পুত্র ইমন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে দমন ও নির্মূল করতে গিয়ে তৎকালীন আওয়ামী সমর্থিত ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সহস্রাধিক মানুষ নির্মমভাবে গুলিতে নিহত হন।
এ আন্দোলনে কয়েক হাজার মানুষ গুলিতে মারাত্মক আহত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, গণতন্ত্রকামী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ও সাধারণ মানুষের লাল বিপ্লবে বাংলা বসন্তের ফলে গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর সংসদ ভেঙে দেয়া হয়। পরে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শপথ নেয় নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মারাত্মক জখম সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম ইমন পঙ্গুত্ব বরণের ঝুঁকিতে রয়েছেন।
তিনি আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা জানান।
উন্নত চিকিৎসা না হলে তাকে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হতে পারে। পুলিশের গুলি তার শরীর ভেদ করে বেরিয়ে গেছে। অসংখ্য ছড়রা গুলি এখনো তার শরীরে। দীর্ঘ ৫৩ দিন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়ে তিনি এখন বাসায় রয়েছেন। স্বাভাবিক হাটাচলা করতে পারেন না।
তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন বলে জানান ইমন। এখন তিনি স্বাভাবিক কর্ম করতে পারবেন না। তার পূর্ণ সুস্থতা ও পুনর্বাসনে সরকারের সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
গত ২০ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মালিবাগ রেলগেইট এলাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশী অ্যাকশনের দৃশ্য ধারণ করতে গেলে গায়ে প্রেস লেখা সিকিউরিটি জ্যাকেট ও বুকে সাংবাদিকের পরিচয়ের আইডি কার্ড ঝুলানো থাকার পরও সরাসরি ইমনকে গুলি করে পুলিশ। একটি গুলি তার শরীরের তলপেটে ভেদ করে, আরেকটি গুলি তার দু’পায়ের সংযোগস্থলের পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। তাছাড়া শরীরে বিদ্ধ হয় অসংখ্য ছড়রাগুলি।
ওই স্থানে উপস্থিত পুলিশ তাকে মৃত ভেবে তার দেহকে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। একপর্যায়ে স্থানীয় কয়েকজন তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন যে তার প্রাণ রয়েছে। চিকিৎসকগণ ঢাকা মেডিকেলের জরুরী বিভাগের বিপরীতে বার্ণ ইউনিটে তাকে স্থানান্তর করেন।
চিকিৎসকদের চেষ্টায় আটচল্লিশ ঘন্টা পর তার জ্ঞান ফিয়ে আসে। ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের কয়েকদিন চিকিৎসার পর তাকে বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার শরীরে দুইটি অস্ত্র পাচার সম্পন্ন হয়। সেখানে ২৮ দিন চিকিৎসা চলা অবস্থায় সাংবাদিক ইমনের হার্ট এট্যাক হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেলের সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। টানা ৫৩ দিন হাসপাতালে থেকে এখন বাসায় রয়েছেন তিনি।
ইমনের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে একাধিক বুলেট বিদ্ধ। তাছাড়া বিদ্ধ হয়েছে অসংখ্য ছড়রাগুলি।
আশঙ্কাজনক অবস্থা এখনো কাটেনি। আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতজনদের কাছ থেকে ধার করে ইতিমধ্যে অনেক অর্থ তারা খরচ করেছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ তাদের কাছে নেই।
তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল হাসপাতালে গিয়ে ইমনকে দেখে এসেছেন এবং কিছু অর্থ সহায়তাও দিয়েছেন। ইমনের ব্যক্তিগত বন্ধু ও দু'একজন শুভাকাঙ্ক্ষী ছাড়া আর কেউ তার খবর নেয়নি।
তার পাঁচ সন্তান। সকলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছেন। ইমন পরিবার নিয়ে কেরানীগঞ্জের এলাকায় থাকেন। বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ উপজেলার বদনিভাঙ্গা গ্রামের মৃত হেমায়েত হোসেনের পুত্র ইমন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে দমন ও নির্মূল করতে গিয়ে তৎকালীন আওয়ামী সমর্থিত ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সহস্রাধিক মানুষ নির্মমভাবে গুলিতে নিহত হন।
এ আন্দোলনে কয়েক হাজার মানুষ গুলিতে মারাত্মক আহত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, গণতন্ত্রকামী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ও সাধারণ মানুষের লাল বিপ্লবে বাংলা বসন্তের ফলে গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর সংসদ ভেঙে দেয়া হয়। পরে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শপথ নেয় নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
COMMENTS