এনএনবি, ঢাকা
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ ও ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকারের বিরুদ্ধে হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক। আজ সোমবার (১৯ আগস্ট, ২০২৪) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় তিনি নিজে বাদী হয়ে মামলা করেন।
২০১১ সালের ৬ জুলাই সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে পুলিশের লাঠি পেটায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক। এ ঘটনার ১৩ বছর পর হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ ও বিপ্লব কুমার সরকারসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৬ জুলাই সকালে জয়নাল আবদিন ফারুকের নেতৃত্বে বিরোধী দলের ১৫-২০ জন সংসদ সদস্য মানিক মিয়া এভিনিউয়ের সামনে জড়ো হন। ভোরবেলা তারা হেঁটে সংসদ ভবন এলাকা থেকে ফার্মগেট এলাকায় পৌঁছান। পরে ফার্মগেট থেকে তারা আবার মানিক নিয়ে এভিনিউয়ে ফিরে যান। এ সময় হঠাৎ করে একটি বাস লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয়। পরে তৎকালীন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার ডিসি ইমাম হোসেন, সহকারী উপকমিশনার হারুন অর রশিদ ও মোহাম্মদপুর অঞ্চলের সহকারী কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার সংসদ সদস্যদের সামনে গিয়ে তাদের থামানোর চেষ্টা করেন।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে জয়নাল আবদিন ফারুকের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায় পুলিশ জয়নাল আবদিন ফারুকের দিকে তেড়ে যায়। আরও কয়েকজন পুলিশ তার দিকে এগিয়ে গেলে ধস্তাধস্তি শুরু হয় এবং তিনি মাটিতে পড়ে যান। পুলিশের কয়েকজন সদস্য তাকে লাথি মারেন এবং তাকে ধরে টানা হ্যাচরা করতে থাকেন। এ সময় ফারুকের গেঞ্জি খুলে যায়। একপর্যায়ে একজন পুলিশ সদস্যের লাঠির আঘাতে তার মাথা ফেটে যায়।
ফারুকের মাথায় রক্ত দেখে নারী সংসদ সদস্যরা তাকে নিয়ে ন্যাম ভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ আবার এগিয়ে এলে জয়নাল আবেদিন আত্মরক্ষায় ন্যাম ভবনের দিকে দৌড় দেন। পুলিশ ও তার পিছু নিয়ে আবার সেখানে গিয়ে ওপর হামলা চালায়। পুলিশ জয়নাল আবদিন ফারুককে চ্যাং দোলা করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যান।
এরপরে ফারুককে উদ্ধার করে নারী এমপি পাপিয়া আশরাফিয়ার ন্যাম ভবনের বাসায় নিয়ে যান। এরপর কয়েক ঘণ্টা পর সকাল ১০টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বাংলাদেশে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করার পর আদালত এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
থানায় মামলা না নেয়ায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর হামলার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ফারুককে মারধর ও হত্যা-চেষ্টার অভিযোগে বিএনপির সংসদ সদস্য আশরাফউদ্দিন নিজান মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে ঢাকার একটি থানা এ সংক্রান্ত মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল।
২০১১ সালের ১০ জুলাই ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে দায়ের করা মামলায় পুলিশের ত্রিশজনের মতো সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ছিলেন প্রধান অভিযুক্ত দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ ও বিপ্লব কুমার সরকার।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ ও ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকারের বিরুদ্ধে হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক। আজ সোমবার (১৯ আগস্ট, ২০২৪) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় তিনি নিজে বাদী হয়ে মামলা করেন।
২০১১ সালের ৬ জুলাই সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে পুলিশের লাঠি পেটায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক। এ ঘটনার ১৩ বছর পর হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ ও বিপ্লব কুমার সরকারসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৬ জুলাই সকালে জয়নাল আবদিন ফারুকের নেতৃত্বে বিরোধী দলের ১৫-২০ জন সংসদ সদস্য মানিক মিয়া এভিনিউয়ের সামনে জড়ো হন। ভোরবেলা তারা হেঁটে সংসদ ভবন এলাকা থেকে ফার্মগেট এলাকায় পৌঁছান। পরে ফার্মগেট থেকে তারা আবার মানিক নিয়ে এভিনিউয়ে ফিরে যান। এ সময় হঠাৎ করে একটি বাস লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয়। পরে তৎকালীন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার ডিসি ইমাম হোসেন, সহকারী উপকমিশনার হারুন অর রশিদ ও মোহাম্মদপুর অঞ্চলের সহকারী কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার সংসদ সদস্যদের সামনে গিয়ে তাদের থামানোর চেষ্টা করেন।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে জয়নাল আবদিন ফারুকের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায় পুলিশ জয়নাল আবদিন ফারুকের দিকে তেড়ে যায়। আরও কয়েকজন পুলিশ তার দিকে এগিয়ে গেলে ধস্তাধস্তি শুরু হয় এবং তিনি মাটিতে পড়ে যান। পুলিশের কয়েকজন সদস্য তাকে লাথি মারেন এবং তাকে ধরে টানা হ্যাচরা করতে থাকেন। এ সময় ফারুকের গেঞ্জি খুলে যায়। একপর্যায়ে একজন পুলিশ সদস্যের লাঠির আঘাতে তার মাথা ফেটে যায়।
ফারুকের মাথায় রক্ত দেখে নারী সংসদ সদস্যরা তাকে নিয়ে ন্যাম ভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ আবার এগিয়ে এলে জয়নাল আবেদিন আত্মরক্ষায় ন্যাম ভবনের দিকে দৌড় দেন। পুলিশ ও তার পিছু নিয়ে আবার সেখানে গিয়ে ওপর হামলা চালায়। পুলিশ জয়নাল আবদিন ফারুককে চ্যাং দোলা করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যান।
এরপরে ফারুককে উদ্ধার করে নারী এমপি পাপিয়া আশরাফিয়ার ন্যাম ভবনের বাসায় নিয়ে যান। এরপর কয়েক ঘণ্টা পর সকাল ১০টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বাংলাদেশে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করার পর আদালত এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
থানায় মামলা না নেয়ায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর হামলার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ফারুককে মারধর ও হত্যা-চেষ্টার অভিযোগে বিএনপির সংসদ সদস্য আশরাফউদ্দিন নিজান মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে ঢাকার একটি থানা এ সংক্রান্ত মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল।
২০১১ সালের ১০ জুলাই ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে দায়ের করা মামলায় পুলিশের ত্রিশজনের মতো সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ছিলেন প্রধান অভিযুক্ত দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ ও বিপ্লব কুমার সরকার।
COMMENTS