![]() |
| ছবি: সংগৃহীত |
এনএনবি, ঢাকা
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মারধর, মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুর রহমান হামিম। অজ্ঞাতনামা ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
গত রবিবার (২২ জুলাই, ২০২৪) রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন হামিম। শাহবাগ থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. রফিকুল ইসলাম এই মামলা তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৬ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য যাত্রাবাড়ী থেকে রওনা হন হামিম। যখন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিটের পূর্ব পাশে আসেন, তখন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ব্যানারে থাকা ৫০ থেকে ৬০ জন ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী তাঁর মুঠোফোন পরীক্ষা করেন। পরে তাঁর মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয় এবং তার কাছে থাকা নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, একপর্যায়ে তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রায় দেড় ঘণ্টা অমানবিক নির্যাতন করে স্টিলের পাইপ, রড দিয়ে তাঁর মাথায়, পিঠে, হাতে, কোমরে, বুকেসহ শরীরে রক্তাক্ত জখম করে হামলাকারীরা। পরে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে সিঁড়িতে ফেলে দেয় হামলাকারীরা। পরে আবারও অমর একুশে হলের গেস্টরুমে নিয়ে তাঁকে নির্যাতন করার পর জ্ঞান হারিয়ে ফেললে মাথায় পানি ঢেলে জ্ঞান ফিরিয়ে রিকশায় তুলে দেয় হামলাকারীরা বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
মফিজুর রহমান হামিম বলেন, ‘আমি চানখাঁরপুলে যাওয়ার পর ৫০-৬০ জন আন্দোলনকারী আমার বাইক থামায়। তারা আমার ফোন চেক করে। চেক করার সময় তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি দেখার সঙ্গে সঙ্গে আমাকে মারা শুরু করে। আমার গেঞ্জি ছিঁড়ে ফেলে। পরে সেখান থেকে ১০-১২ জন আমাকে অমর একুশে হলের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তারা দেড় ঘণ্টা পাশবিক নির্যাতন চালায়।’
হামিম আরও বলেন, ‘এ সময় কোনো হল প্রভোস্ট, শিক্ষক আসেননি আমাকে বাঁচাতে।’
এ বিষয়ে অমর একুশে হলের প্রভোস্ট ইশতিয়াক সৈয়দ বলেন, ‘অমর একুশে হলের সামনে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের বেশ কয়েকটা ঘটনা ঘটেছিল। আমিসহ প্রক্টরিয়াল বডির সাহায্যে বেশ কয়েকজনকে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলাম।’

COMMENTS