![]() |
ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য কর্তৃক রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া ইট। ছবি : এনএনবি |
সিদ্দিকুর রহমান শাহীন
ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম)
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাছেন আলী এবং দুই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে রাস্তার ইট তুলে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বালারহাট বাজারের ইজারাদার আনিছুর রহমান বাবু ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন।
দুই ইউপি সদস্য হলেন ইউনিয়নের ৩ নম্বর বালাতাড়ী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মহির উদ্দিন ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামে।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে বালারহাট বাজারের রাস্তা পাকাকরণের জন্য প্রায় ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। রাজশাহীর বরেন্দ্র কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কাজ শুরু করলে সোমবার (২২ এপ্রিল) নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলী ও ইউপি সদস্য মহির উদ্দিন ও শহিদুল ইসলাম শ্রমিক দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের এলজিইডি গুদাম মেরামতের নামে রাস্তার প্রায় ২০ হাজার ইট তুলে নিয়ে যান।
এরপর দুই হাজার ইট খোয়া করে গুদাম সংস্কারের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে রেখে বাকি ১৮ হাজার ইট বিক্রি করে দেন।
বালারহাট বাজারের ইজারাদার আনিছুর রহমান বাবু বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা বাজারের রাস্তা থেকে প্রায় ২০ হাজার ইট তুলে নিয়ে যান। ইট নিয়ে যাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে, তারা বলেন, এ ইট ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়নের কাজে ব্যবহার হবে। কিন্তু পরে ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে ২ হাজার ইট খোয়া করে বাকি ইট বিক্রি করে দিয়েছে।
বরেন্দ্র কনস্ট্রাকশনের প্রতিনিধি সহিদার রহমান কাজল বলেন, কাজ শুরুর পর স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান এসে বাজারের রাস্তার ইট তুলে নিয়ে যান। এতে রাস্তায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের লোকজন ইট নিয়ে যেতে বাধা দিলে তারা ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়নের কথা বলে জোর করে সব ইট নিয়ে যান। শুনেছি পরে ইটগুলো বিক্রি করেছেন।
৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের গুদাম সংস্কারের জন্য ১২/১৪ হাজার ইট তুলে আনা হয়েছে। কিছু ইটের খোয়া বানানো হয়েছে আর কিছু ইট বিক্রি করে শ্রমিকদের মজুরি ও ট্রলিভাড়া দেওয়া হয়েছে।
অপর ইউপি সদস্য মহির উদ্দিনের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাছেন আলী বলেন, গুদাম সংস্কারের জন্য মেম্বাররা ঠিকাদারের কাছ কিছু ইট নিয়েছে শুনেছি। সরকারি ইট হলে নিলামে বিক্রির ব্যবস্থা করা হতো। যেহেতু ইট সরকারি নয় সেহেতু মেম্বাররা কি করেছেন সে ব্যাপারে আমি তেমন কিছুই জানি না।
ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহেনুমা তারান্নুম কালবেলাকে বলেন, হাটের রাস্তার ইট বিক্রির ব্যাপারে লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি তবে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম)
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাছেন আলী এবং দুই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে রাস্তার ইট তুলে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বালারহাট বাজারের ইজারাদার আনিছুর রহমান বাবু ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন।
দুই ইউপি সদস্য হলেন ইউনিয়নের ৩ নম্বর বালাতাড়ী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মহির উদ্দিন ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামে।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে বালারহাট বাজারের রাস্তা পাকাকরণের জন্য প্রায় ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। রাজশাহীর বরেন্দ্র কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কাজ শুরু করলে সোমবার (২২ এপ্রিল) নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলী ও ইউপি সদস্য মহির উদ্দিন ও শহিদুল ইসলাম শ্রমিক দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের এলজিইডি গুদাম মেরামতের নামে রাস্তার প্রায় ২০ হাজার ইট তুলে নিয়ে যান।
এরপর দুই হাজার ইট খোয়া করে গুদাম সংস্কারের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে রেখে বাকি ১৮ হাজার ইট বিক্রি করে দেন।
বালারহাট বাজারের ইজারাদার আনিছুর রহমান বাবু বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা বাজারের রাস্তা থেকে প্রায় ২০ হাজার ইট তুলে নিয়ে যান। ইট নিয়ে যাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে, তারা বলেন, এ ইট ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়নের কাজে ব্যবহার হবে। কিন্তু পরে ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে ২ হাজার ইট খোয়া করে বাকি ইট বিক্রি করে দিয়েছে।
বরেন্দ্র কনস্ট্রাকশনের প্রতিনিধি সহিদার রহমান কাজল বলেন, কাজ শুরুর পর স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান এসে বাজারের রাস্তার ইট তুলে নিয়ে যান। এতে রাস্তায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের লোকজন ইট নিয়ে যেতে বাধা দিলে তারা ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়নের কথা বলে জোর করে সব ইট নিয়ে যান। শুনেছি পরে ইটগুলো বিক্রি করেছেন।
৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের গুদাম সংস্কারের জন্য ১২/১৪ হাজার ইট তুলে আনা হয়েছে। কিছু ইটের খোয়া বানানো হয়েছে আর কিছু ইট বিক্রি করে শ্রমিকদের মজুরি ও ট্রলিভাড়া দেওয়া হয়েছে।
অপর ইউপি সদস্য মহির উদ্দিনের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাছেন আলী বলেন, গুদাম সংস্কারের জন্য মেম্বাররা ঠিকাদারের কাছ কিছু ইট নিয়েছে শুনেছি। সরকারি ইট হলে নিলামে বিক্রির ব্যবস্থা করা হতো। যেহেতু ইট সরকারি নয় সেহেতু মেম্বাররা কি করেছেন সে ব্যাপারে আমি তেমন কিছুই জানি না।
ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহেনুমা তারান্নুম কালবেলাকে বলেন, হাটের রাস্তার ইট বিক্রির ব্যাপারে লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি তবে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
COMMENTS