![]() |
ছবি: সংগৃহীত। |
এনএনবি, ঢাকা
বাংলাদেশ এলডিসি তালিকা থেকে উত্তরণের পর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৎপর হওয়ার
নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে যে সব সুবিধা পাওয়া
যাবে, সেই বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ, ২০২৪) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন- প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। সভা শেষে
পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী
মো. শহীদুজ্জামান সরকার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান।
সবার উদ্দেশ্যে নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি
তালিকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর কী সুবিধা মিলবে, আর কী চ্যালেঞ্জ আসবে সেগুলো
নিয়ে এখন থেকেই তৎপর থাকতে হবে। এছাড়া, যে সব প্রকল্প শেষ পর্যায়ে আছে, সে সব
প্রকল্পে দ্রুত অর্থছাড় করে সমাপ্ত করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘একনেক সভায় মিশরে চ্যান্সারি হাউস নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন
দেওয়া হয়েছে ৷ সেখানে প্রবাসীদের সেবাদানের জন্য বুথ ও অপেক্ষার জায়গা রাখার
জন্য বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া, বাংলাদেশের সব জেলায় ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স
নির্মাণ প্রকল্পও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার
পাশাপাশি সেখানে বৃষ্টির পানি ধরে রাখতে সোলার ব্যবস্থা ব্যবস্থা রাখতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তাঁত বোর্ডের নতুন কমপ্লেক্সে নারীদের প্রশিক্ষণের
বিশেষ ব্যবস্থা রাখতে হবে। সেই সঙ্গে কুড়িগ্রামের সব উপজেলার নদী ভাঙন রোধ,
রাস্তাঘাট নির্মাণে ভাঙনের ঝুঁকি মাথায় রেখে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন
তিনি।’
একনেক সভায় ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে মোট
ব্যয় হবে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার
৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্প ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৪৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে,
- মিশরের কায়রোতে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স এবং আবাসিক ভবন নির্মাণ,
- বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ এবং ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ (১ম সংশোধিত),
- কাশিনাথপুর-দাশুরিয়া-নাটোর-রাজশাহী-নবাবগঞ্জ-কানসাট-সোনামসজিদ-বালিয়াদিঘী বর্ডার (এন-০৬) জাতীয় মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (নবাবগঞ্জ অংশ),
- বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামারগুলোর সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম পর্যায়),
- ইমপ্রুভমেন্ট অব ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টার অব বাংলাদেশ ফিশারিজ ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন ইন কক্সবাজার ডিস্ট্রিক্ট প্রকল্প,
- বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলাগুলোর পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প,
- ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ (৩য় পর্যায়),
- ৮টি বিভাগীয় শহরে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং কিডনি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ (১ম সংশোধিত) ইত্যাদি।
এ সময় পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা
উপস্থিত ছিলেন।
COMMENTS