![]() |
নিহত উইন রোজারিও। |
অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে এবার পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারালেন মানসিক যন্ত্রণায় ভোগা এক
বাংলাদেশি তরুণ। উইন রোজারিও (১৯) নামের এই তরুণের পৈত্রিক নিবাস বাংলাদেশের
গাজীপুরে। তিনি সপরিবারে কুইন্সের ওজোনপার্কে ১০৩ স্ট্রিট ও ১০১ অ্যাভিনিউয়ে
থাকতেন।
বুধবার (২৭ মার্চ, ২০২৪) উইন রোজারিও পুলিশের হটলাইন ৯১১ এ ফোন করে সাহায্য
চান, কিন্তু পুলিশ আসার পর পুলিশের গুলিতেই প্রাণ হারান তিনি।
স্থানীয় সময় বেলা ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ওজন পার্কের উইনের বাস ভবনে পুলিশ
গুলিবিদ্ধ উইনকে মৃত ঘোষণা করে।
পুলিশ কর্মকর্তা জন চেল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘মানসিক যন্ত্রণায় থাকা ওই
তরুণের ব্যাপারে ৯১১ নম্বরে ফোনকল পেয়ে দুই পুলিশ সদস্য ওই বাসায় যান। সেখানে
পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ, বিশৃঙ্খলা ও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।’
পুলিশের ধারণা, রোজারিও নিজেই ওই নম্বরে কল করেছিলেন।
জন চেল বলেন, ‘বাসায় গিয়ে পুলিশ সদস্যরা রোজারিওকে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
এ সময় তিনি একটি ড্রয়ার থেকে জোড়া কাঁচি বের করে পুলিশের দিকে তেড়ে আসেন। তখন
দুই পুলিশ সদস্যই গুলি ছুড়ে তাঁকে বশে আনেন। এর আগে তাঁর মা তাঁকে সহায়তা করতে
এগিয়ে এসেছিলেন।’
ওই মুহূর্তে আত্মরক্ষার্থে পুলিশের গুলি ছোড়া ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না বলে দাবি
করেন পুলিশ কর্মকর্তা চেল। তবে রোজারিওকে কয়টি গুলি করা হয়, সে বিষয়ে তিনি কিছু
বলেননি। পরিবার অবশ্য বলেছে, তাঁকে ছয়টি গুলি করা হয়।
ওই ঘটনা নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে রোজারিওর ছোট ভাই উশতো রোজারিও (১৭) পুলিশি
ভাষ্যের ভিন্ন ধরনের বক্তব্য দিয়েছে। সে বলেছে, গুলি ছোড়ার আগে পুরোটা সময় তার
মা ভাইকে জাপটে ধরে রেখেছিলেন। এমনকি ভাইকে ধরা রাখা অবস্থায়ই গুলি ছোড়ে পুলিশ।
এই গুলি ছোড়ার কোনো প্রয়োজন ছিল না।
পুরো ঘটনার দৃশ্য পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে থাকা ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে বলে
জানান জন চেল। তবে তা তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।
নিহত উইন রোজারিওর বাবা ফ্রান্সিস রোজারিও বলেন, ‘উইন নিজেই যেহেতু বলেছে সে
মানসিক ভারসাম্যহীন। তাহলে তাকে কেন গুলি করে মারতে হলো?’
এসময় পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করেন তিনি।
COMMENTS