![]() |
বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভরত পোশাক শ্রমিক। |
এনএনবি, গাজীপুর
গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকেরা।
বুধবার (২০ মার্চ, ২০২৪) সকাল ৯টার দিকে টঙ্গীর খাঁ-পাড়া এলাকার সিজন্স ড্রেসেস
লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা এ বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভ
শেষে ১০টার দিকে টঙ্গীবাজার এলাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর
কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন তারা।
জানা গেছে, কারখানাটিতে প্রায় দুই হাজার শ্রমিক কাজ করেন। মঙ্গলবার বিকালে
কারখানা মালিক কারখানাটির ১ হাজার ৭০০ জন শ্রমিকের গত ফেব্রুয়ারি মাসের পাওনা
বেতন পরিশোধ করেন। এ সময় ৩০০ শ্রমিককে বেতন পরিশোধ করেননি মালিক। এ কারণে বেতন
পরিশোধের দাবি জানিয়ে বেতন-ভাতা না পাওয়া শ্রমিকেরা ওই দিন সন্ধ্যায় কারখানায়
কর্মবিরতি পালন করেন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা কারখানার অন্যান্য
কর্মকর্তাদের অফিস কক্ষে আটকে রাখেন।
বুধবার শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে শ্রমিকেরা
কারখানা থেকে বেরিয়ে যান। সকালে কারখানাটির দুই হাজার শ্রমিক কাজে যোগ দিতে
কারখানায় যান। এ সময় কারখানার প্রধান ফটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানার
বন্ধের নোটিশ দেখতে পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তারা। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় মহাসড়কে গাজীপুর থেকে ঢাকামুখী লেনে
যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সকাল ১০টার
দিকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা টঙ্গী বাজার এলাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন
অধিদপ্তরের কার্যালয় ঘেরাও করে স্লোগান দিতে থাকে।
কারখানার নারী শ্রমিক তাহমিনা বলেন, ‘মঙ্গলবার কারখানার মালিক ১৭০০ জন শ্রমিকের
বেতন পরিশোধ করছে। ৩০০ জনের শ্রমিকের বেতন দেয়নি। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত
কারখানার কর্মকর্তাদের আমরা আটক করে রাখি। পরে পুলিশ আমাদের কারখানা থেকে বের
করে দেয়। বুধবার কারখানায় কাজে এসে দেখি কারখানা বন্ধের নোটিশ।’
সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেডের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর টঙ্গী
কার্যালয়ের উপমহাপরিদর্শক আহমেদ বেলাল বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা কার্যালয়ের
সামনে অবস্থান নিয়ে বসে আছে। কারখানা মালিকের সঙ্গে কথা বলতে চেষ্টা
চালাচ্ছি।’
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক ওসমান গনি বলেন, ‘শ্রমিকদের পাওনা বেতনের
দাবিতে কারখানাটিতে শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটেছে। আজ সকালে শ্রমিকেরা কারখানায়
কাজে যোগ দিতে গিয়ে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ দেখে বিক্ষুব্ধ
হয়ে ওঠে।’
COMMENTS