![]() |
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। সংগৃহীত ছবি |
এনএনবি, ঢাকা
আগামী বছর থেকে প্রয়োজনে শনিবার স্কুল খোলা থাকতে পারে। রমজানে স্কুল বন্ধ রেখে সেই ছুটি সমন্বয় করতে এ সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ, ২০২৪) ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে বিদ্যালয় খোলা থাকা নিয়ে নানা ধরনের প্রচার-অপপ্রচার হয়েছে। যেহেতু এ বছর বিষয়টা এভাবে এসেছে, আগামীতে আমরা চেষ্টা করবো কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসতে।’
তিনি বলেন, ‘বছরে ৫৩ সপ্তাহে ৫২টি শনিবার রয়েছে। সেখানে যদি কিছুটা বিদ্যালয় খোলা রাখি, তাহলে রমজানের ক্ষেত্রে যে বিতর্ক সৃষ্টির অপপ্রয়াস যারা করছে তাদের সেই অপপ্রয়াসকে বন্ধ করতে পারি, সেই লক্ষ্যে আমরা একটা পরিকল্পনা করব। যাতে এটা নিয়ে আবারও আদালতে গিয়ে মিথ্যা বুঝিয়ে বিভ্রান্তি করে রায় নিয়ে এসে অপচেষ্টা করতে না পারে, রাস্তায় এসে মানববন্ধন করতে না পারে। আমরা সংবেদনশীলতার জায়গায় শ্রদ্ধাশীল। আমরা আলেম-ওলামার সঙ্গেও আলোচনা করব। তাদেরও একটা অবস্থান আছে এটা নিয়ে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মের মানুষ রয়েছে। এসব মানুষের মধ্যে একধরনের মানুষ রয়েছে যারা অবিশ্বাস, সহিংসতামূলক মনোভাব এবং শ্রেষ্ঠত্বমূলক মনোভাব সৃষ্টি করে বিভিন্ন সময়ে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করতে চায়। পাঠ্যক্রম থেকে শুরু করে, পাঠ্যবইকেও অসিলা বানিয়ে তারা এসব অস্থিতিশীলতা তৈরি করে। আমরা অনেক ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি এবং ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও আলোচনা করেছি। তারা আমাদের অনেক উপদেশ দিয়েছেন, যাতে কেউ কোনো ধরনের বিতর্ক সৃষ্টির প্রয়াসই করতে না পারে। আমরা সব বিষয় আরও কেয়ারফুলি দেখব।’
মহিবুল হাসান চৌধুরী আরও বলেন, ‘সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এমন ধরনের ইঙ্গিত পেলেও সেটা নিরসন করা হবে। এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা শিক্ষাব্যবস্থাকে একধরনের গোঁড়ামির দিকে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান আছে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার। ওই সময় আরও বক্তব্য দেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমদ ও বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে প্রাথমিক বিদ্যালয় রমজানে ১০ দিন এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৫ দিন খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। বিষয়টি আদালত পর্যন্তও গড়িয়েছে।
আগামী বছর থেকে প্রয়োজনে শনিবার স্কুল খোলা থাকতে পারে। রমজানে স্কুল বন্ধ রেখে সেই ছুটি সমন্বয় করতে এ সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ, ২০২৪) ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে বিদ্যালয় খোলা থাকা নিয়ে নানা ধরনের প্রচার-অপপ্রচার হয়েছে। যেহেতু এ বছর বিষয়টা এভাবে এসেছে, আগামীতে আমরা চেষ্টা করবো কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসতে।’
তিনি বলেন, ‘বছরে ৫৩ সপ্তাহে ৫২টি শনিবার রয়েছে। সেখানে যদি কিছুটা বিদ্যালয় খোলা রাখি, তাহলে রমজানের ক্ষেত্রে যে বিতর্ক সৃষ্টির অপপ্রয়াস যারা করছে তাদের সেই অপপ্রয়াসকে বন্ধ করতে পারি, সেই লক্ষ্যে আমরা একটা পরিকল্পনা করব। যাতে এটা নিয়ে আবারও আদালতে গিয়ে মিথ্যা বুঝিয়ে বিভ্রান্তি করে রায় নিয়ে এসে অপচেষ্টা করতে না পারে, রাস্তায় এসে মানববন্ধন করতে না পারে। আমরা সংবেদনশীলতার জায়গায় শ্রদ্ধাশীল। আমরা আলেম-ওলামার সঙ্গেও আলোচনা করব। তাদেরও একটা অবস্থান আছে এটা নিয়ে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মের মানুষ রয়েছে। এসব মানুষের মধ্যে একধরনের মানুষ রয়েছে যারা অবিশ্বাস, সহিংসতামূলক মনোভাব এবং শ্রেষ্ঠত্বমূলক মনোভাব সৃষ্টি করে বিভিন্ন সময়ে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করতে চায়। পাঠ্যক্রম থেকে শুরু করে, পাঠ্যবইকেও অসিলা বানিয়ে তারা এসব অস্থিতিশীলতা তৈরি করে। আমরা অনেক ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি এবং ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও আলোচনা করেছি। তারা আমাদের অনেক উপদেশ দিয়েছেন, যাতে কেউ কোনো ধরনের বিতর্ক সৃষ্টির প্রয়াসই করতে না পারে। আমরা সব বিষয় আরও কেয়ারফুলি দেখব।’
মহিবুল হাসান চৌধুরী আরও বলেন, ‘সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এমন ধরনের ইঙ্গিত পেলেও সেটা নিরসন করা হবে। এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা শিক্ষাব্যবস্থাকে একধরনের গোঁড়ামির দিকে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান আছে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার। ওই সময় আরও বক্তব্য দেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমদ ও বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে প্রাথমিক বিদ্যালয় রমজানে ১০ দিন এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৫ দিন খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। বিষয়টি আদালত পর্যন্তও গড়িয়েছে।
COMMENTS