
এনএনবি, গাজীপুর
গাজীপুরের শ্রীপুরে কর্তব্যরত দুই পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় ৩ ডাকাতকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শুক্রবার (৮ মার্চ, ২০২৪) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং এর পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব-১ ও র্যাব-১০ এর যৌথ আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে।
এরা হলেন ডাকাত দলের প্রধান মো. ইসমাইল সরদার ওরফে লিটন (৩৮), সহযোগী মো.কামরুল মিয়া (২০) ও মো. হানিফ ওরফে মাস্টার (৪০)।
র্যাব কমান্ডার মঈন বলেন, এরা একটি সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা ডাকাত চক্র। তাদের দলের সদস্য সংখ্যা ৮ থেকে ১০ জন। ইসমাইল এ ডাকাত চক্রটির প্রধান এবং হানিফ তার অন্যতম সহযোগী। তারা রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাসা বাড়ি ও দোকান ডাকাতির কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো। এছাড়াও ডাকাত দলটি দীর্ঘদিন যাবত নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষা নদীতে বিভিন্ন বালুর বলগেটে ডাকাতি করতো।
এছাড়াও তারা বিভিন্ন মামলায় কারাভোগের সময় কারাগারে থাকা অন্যান্য আন্তঃজেলা ডাকাতদের সাথে তাদের পরিচয় হয় এবং সেখানে তাদের কাছ থেকে ডাকাতির বিষয়ে বিভিন্ন কৌশল শিখে নিতো। পরবর্তীতে তারা জামিনে বেরিয়ে এসে কারাগারে থাকা ডাকাতদের কাছ থেকে রপ্তকৃত কৌশল ব্যবহার করে ডাকাতি করে আসছিলো।
তিনি বলেন, ডাকাত চক্রটি গত ৩ মার্চ রাতে গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে ডাকাতির সময় গাজীপুরের শ্রীপুর থানার টহলরত পুলিশ সদস্যদের উপর দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে তাদের কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
তিনি জানান, দলের প্রধান ইসমাইল ও তার সহযোগী হানিফসহ ৬ থেকে ৭ জন ডাকাতির উদ্দেশ্যে গত ৩ মার্চ দুপুরে কেরানীগঞ্জ থেকে একটি পিকআপযোগে গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকায় যায় এবং শ্রীপুরের মাওনা এলাকায় সন্ধ্যা থেকে ডাকাতির জন্য সুবিধাজনক স্থান পরিদর্শন করতে থাকে। ওইদিন রাতেই শ্রীপুরের মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কের সিংগারদিঘীর হাসিখালী ব্রিজ এলাকায় রাস্তার উপর গাছের গুড়ি ফেলে দেশীয় অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে গণডাকাতি শুরু করে। গাজীপুরের শ্রীপুর থানা পুলিশ ডাকাতির সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছালে ডাকাতরা তাদের উপর হামলা করে। এতে কনস্টেবল রুহুল আমিন এর মাথায় এবং কনস্টেবল সেলিম মিয়ার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে ডাকাতরা পালানোর সময় রুবেল একজন চলন্ত গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগে আহত হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তাকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মঈন বলেন, আসামি ইসমাইল ১০ থেকে ১২ বছর যাবৎ একটি কেমিক্যাল কোম্পানির মালামাল রাজধানীর মিটফোর্ড মার্কেটে সরবরাহ করতো। সে ২০১৮ সালে কেরানীগঞ্জ এলাকার এক ডাকাত সদস্যের সঙ্গে পরিচয়ের মাধ্যমে সে ডাকাতিতে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সে নিজেই একটি ডাকাত চক্র গড়ে তোলার জন্যকেমিক্যাল সরবরাহের কাজ ছেড়ে দেয়। এসময় সে ডাকাতির কার্যক্রমে সুবিধার জন্য ছদ্মবেশে ইজিবাইক চালানো শুরু করে।
ডাকাত সরদার ইসমাইলের বিরুদ্ধে ঢাকার দোহার, কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ ডাকাতি সংক্রান্ত ৪টি মামলা রয়েছে এবং এসকল মামলায় সে এক বছরের অধিক কারাভোগ করেছে। ইতিপূর্বে তার নেতৃত্বে ২০২৩ সালে ফরিদপুরে বেশকয়েকটি স্বর্ণের দোকান ডাকাতির ঘটনা ঘটে এবং সে এই মামলায় সাত মাস কারাভোগ করে গত মাসে জামিনে বের হয়ে আবারও ডাকাতি কার্যক্রম করতে থাকে।
গ্রেপ্তারকৃত হানিফ ওরফে মাস্টার ও ইসমাইল একই এলাকায় বসবাস করতো। সে ২০১১ সালে ডাকাতি কার্যক্রমের সাথে জড়িত হয় বলে জানা যায়। সে গ্রেফতারকৃত ইসমাইল এর অন্যতম সহযোগী ও ডাকাতির বিভিন্ন স্থান নির্ধারণ, কৌশল ও পরিকল্পনা করত। ডাকাতির পরিকল্পনায় সে সিদ্ধহস্ত বলে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্র তাকে মাস্টার উপাধি দেয়। সে ২০১৩ সালে হত্যা মামলায় দুই বছরেরও বেশি সময় কারাভোগ করে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে এবং এসকল মামলায় কারাভোগ করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত কামরুল ডাকাত দলের একজন অন্যতম সদস্য। ৪ বছর পূর্বে রাজধানীর জিনজিরা এলাকায় ভাড়া থাকার সময় তার পরিচয় সূত্রে সে ইসমাইলের ডাকাতি চক্রে যোগ দেয়। ডাকাতি কার্যক্রমকে আড়াল করতে সে দিনে রাজমিস্ত্রির কাজ করতো।
গাজীপুরের শ্রীপুরে কর্তব্যরত দুই পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় ৩ ডাকাতকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শুক্রবার (৮ মার্চ, ২০২৪) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং এর পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব-১ ও র্যাব-১০ এর যৌথ আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে।
এরা হলেন ডাকাত দলের প্রধান মো. ইসমাইল সরদার ওরফে লিটন (৩৮), সহযোগী মো.কামরুল মিয়া (২০) ও মো. হানিফ ওরফে মাস্টার (৪০)।
র্যাব কমান্ডার মঈন বলেন, এরা একটি সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা ডাকাত চক্র। তাদের দলের সদস্য সংখ্যা ৮ থেকে ১০ জন। ইসমাইল এ ডাকাত চক্রটির প্রধান এবং হানিফ তার অন্যতম সহযোগী। তারা রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাসা বাড়ি ও দোকান ডাকাতির কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো। এছাড়াও ডাকাত দলটি দীর্ঘদিন যাবত নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষা নদীতে বিভিন্ন বালুর বলগেটে ডাকাতি করতো।
এছাড়াও তারা বিভিন্ন মামলায় কারাভোগের সময় কারাগারে থাকা অন্যান্য আন্তঃজেলা ডাকাতদের সাথে তাদের পরিচয় হয় এবং সেখানে তাদের কাছ থেকে ডাকাতির বিষয়ে বিভিন্ন কৌশল শিখে নিতো। পরবর্তীতে তারা জামিনে বেরিয়ে এসে কারাগারে থাকা ডাকাতদের কাছ থেকে রপ্তকৃত কৌশল ব্যবহার করে ডাকাতি করে আসছিলো।
তিনি বলেন, ডাকাত চক্রটি গত ৩ মার্চ রাতে গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে ডাকাতির সময় গাজীপুরের শ্রীপুর থানার টহলরত পুলিশ সদস্যদের উপর দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে তাদের কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
তিনি জানান, দলের প্রধান ইসমাইল ও তার সহযোগী হানিফসহ ৬ থেকে ৭ জন ডাকাতির উদ্দেশ্যে গত ৩ মার্চ দুপুরে কেরানীগঞ্জ থেকে একটি পিকআপযোগে গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকায় যায় এবং শ্রীপুরের মাওনা এলাকায় সন্ধ্যা থেকে ডাকাতির জন্য সুবিধাজনক স্থান পরিদর্শন করতে থাকে। ওইদিন রাতেই শ্রীপুরের মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কের সিংগারদিঘীর হাসিখালী ব্রিজ এলাকায় রাস্তার উপর গাছের গুড়ি ফেলে দেশীয় অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে গণডাকাতি শুরু করে। গাজীপুরের শ্রীপুর থানা পুলিশ ডাকাতির সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছালে ডাকাতরা তাদের উপর হামলা করে। এতে কনস্টেবল রুহুল আমিন এর মাথায় এবং কনস্টেবল সেলিম মিয়ার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে ডাকাতরা পালানোর সময় রুবেল একজন চলন্ত গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগে আহত হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তাকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মঈন বলেন, আসামি ইসমাইল ১০ থেকে ১২ বছর যাবৎ একটি কেমিক্যাল কোম্পানির মালামাল রাজধানীর মিটফোর্ড মার্কেটে সরবরাহ করতো। সে ২০১৮ সালে কেরানীগঞ্জ এলাকার এক ডাকাত সদস্যের সঙ্গে পরিচয়ের মাধ্যমে সে ডাকাতিতে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সে নিজেই একটি ডাকাত চক্র গড়ে তোলার জন্যকেমিক্যাল সরবরাহের কাজ ছেড়ে দেয়। এসময় সে ডাকাতির কার্যক্রমে সুবিধার জন্য ছদ্মবেশে ইজিবাইক চালানো শুরু করে।
ডাকাত সরদার ইসমাইলের বিরুদ্ধে ঢাকার দোহার, কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ ডাকাতি সংক্রান্ত ৪টি মামলা রয়েছে এবং এসকল মামলায় সে এক বছরের অধিক কারাভোগ করেছে। ইতিপূর্বে তার নেতৃত্বে ২০২৩ সালে ফরিদপুরে বেশকয়েকটি স্বর্ণের দোকান ডাকাতির ঘটনা ঘটে এবং সে এই মামলায় সাত মাস কারাভোগ করে গত মাসে জামিনে বের হয়ে আবারও ডাকাতি কার্যক্রম করতে থাকে।
গ্রেপ্তারকৃত হানিফ ওরফে মাস্টার ও ইসমাইল একই এলাকায় বসবাস করতো। সে ২০১১ সালে ডাকাতি কার্যক্রমের সাথে জড়িত হয় বলে জানা যায়। সে গ্রেফতারকৃত ইসমাইল এর অন্যতম সহযোগী ও ডাকাতির বিভিন্ন স্থান নির্ধারণ, কৌশল ও পরিকল্পনা করত। ডাকাতির পরিকল্পনায় সে সিদ্ধহস্ত বলে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্র তাকে মাস্টার উপাধি দেয়। সে ২০১৩ সালে হত্যা মামলায় দুই বছরেরও বেশি সময় কারাভোগ করে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে এবং এসকল মামলায় কারাভোগ করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত কামরুল ডাকাত দলের একজন অন্যতম সদস্য। ৪ বছর পূর্বে রাজধানীর জিনজিরা এলাকায় ভাড়া থাকার সময় তার পরিচয় সূত্রে সে ইসমাইলের ডাকাতি চক্রে যোগ দেয়। ডাকাতি কার্যক্রমকে আড়াল করতে সে দিনে রাজমিস্ত্রির কাজ করতো।
COMMENTS