
ফেরদৌস আহমদ
এনএনবি, নেত্রকোণা
অবকাঠামোসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য সুবিধাদির অভাবে নেত্রকোণার ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকাসহ হাওরাঞ্চলের হাজার হাজার হেক্টর জমি প্রতিবছর অনাবাদি পড়ে থাকে। চলতি বছর এই শ্রেণীর ২৬৫ হেক্টর জমিতে চাল কুমড়ার আবাদ করা হয়েছে। উৎপাদন আশা করা হচ্ছে সাড়ে ৬ হাজার মেট্রিক টন। এই পরিমাণ চাল কুমড়া বিক্রি করে সাড়ে ২৬ কোটি টাকারও বেশী মুনাফা হতে পারে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগসহ সংশ্লিষ্টরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার কলমাকান্দা উপজেলার হিরাকান্দা, হাতিমঞ্জি, রহিমপুর, চান্দুয়াইল, দূর্গাপুর উপজেলার হাতিমঞ্জি, বাদামতৈল, পালপাড়া, ধোপাপাড়া, চন্ডিগড়, বেলতলি কোণাপাড়া, বারহাট্ট উপজেলার ধলপুর, সিংধাসহ জেলার ৩০ টি গ্রাম এলাকায় চালকুমড়া, টমেটো, ফুলকপি ও ডাটাসহ বিভিন্ন জাতের শাক-সবজির চাষ হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়নি কীটনাশক। অধিকাংশ জমিতে হয়েছে চাল-কুমড়ার চাষ। ফলন হয়েছে ভালো। হেক্টরে ২৫ থেকে ২৬ মেট্রিক টন চালকুমড়া পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে । এতে একরে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চাষীরা।
এনএনবি, নেত্রকোণা
অবকাঠামোসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য সুবিধাদির অভাবে নেত্রকোণার ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকাসহ হাওরাঞ্চলের হাজার হাজার হেক্টর জমি প্রতিবছর অনাবাদি পড়ে থাকে। চলতি বছর এই শ্রেণীর ২৬৫ হেক্টর জমিতে চাল কুমড়ার আবাদ করা হয়েছে। উৎপাদন আশা করা হচ্ছে সাড়ে ৬ হাজার মেট্রিক টন। এই পরিমাণ চাল কুমড়া বিক্রি করে সাড়ে ২৬ কোটি টাকারও বেশী মুনাফা হতে পারে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগসহ সংশ্লিষ্টরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার কলমাকান্দা উপজেলার হিরাকান্দা, হাতিমঞ্জি, রহিমপুর, চান্দুয়াইল, দূর্গাপুর উপজেলার হাতিমঞ্জি, বাদামতৈল, পালপাড়া, ধোপাপাড়া, চন্ডিগড়, বেলতলি কোণাপাড়া, বারহাট্ট উপজেলার ধলপুর, সিংধাসহ জেলার ৩০ টি গ্রাম এলাকায় চালকুমড়া, টমেটো, ফুলকপি ও ডাটাসহ বিভিন্ন জাতের শাক-সবজির চাষ হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়নি কীটনাশক। অধিকাংশ জমিতে হয়েছে চাল-কুমড়ার চাষ। ফলন হয়েছে ভালো। হেক্টরে ২৫ থেকে ২৬ মেট্রিক টন চালকুমড়া পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে । এতে একরে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চাষীরা।

জেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী উপজেলা কলমাকান্দার নরুল্লাপাড়া গ্রামের কৃষক শফিকুল আলম জুই। তিনি ১০ একর জমিতে চালকুমড়া, মিষ্টিকুমড়া, ফুল কপি প্রভৃতির আবাদ করেছেন। এই জমি পতিত ছিল শতবছর। গতবার দেড় একর জমিতে উৎপাদন ব্যয় বাদে আয় হয়েছিল সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা । এবার দেড় একরে চালকুমড়া, দেড় একর জমিতে টমেটো, বেগুন, বাদাম ও অন্যান্য শাক-সবজির আবাদ করেছেন। তিনি বলেন, ফলন আসতে শুরু হয়েছে। ক্ষেতে রেখেই এখন পর্যন্ত ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার কুমড়াসহ শাক সবজি বিক্রি করেছি। আশা করি মৌসুম শেষে খরচ বাদে ২০ লক্ষ টাকা মুনাফা হবে।
কৃষক শফিকুল আলম জুই আরো বলেন, পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় এলাকাটিতে এক সময় জনবসতি কম ছিল। প্রায় গ্রামেই শত শত একর জমি ছিল পরা-পতিত। মানুষের জীবন-জীবিকা ছিল খুবই কঠিন। অভাব ছিল প্রতিটি পরিবারে। হতদরিদ্র মানুষেরা নিজ এলাকা ছেড়ে কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কাজ-কাম করে কোনোভাবে জীবিকা নির্বাহ করতো। আবার কাজ না পেয়ে অনেকেই সীমান্তে চোরাকারবারসহ নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়তো। এক পর্যায়ে কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতায় পতিত শত শত হেক্টর জমি চাষাবাদের আওতায় আসে। বর্তমানে এলাকার অনেক কৃষক বাড়ির আঙিনা থেকে শুরু করে আগে পতিত থাকা একরের পর একর জমিতে লাউ, শসা, বেগুন, জিঙ্গা, কফি, টমেটো, চালকুমড়াসহ ইত্যাদির চাষ করছেন। এতে বেকারত্ব লাঘবসহ অনেকেই হয়ে উঠেছেন স্বচ্ছল-স্বাবলম্বি।
কৃষক শফিকুল আলম জুই আরো বলেন, পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় এলাকাটিতে এক সময় জনবসতি কম ছিল। প্রায় গ্রামেই শত শত একর জমি ছিল পরা-পতিত। মানুষের জীবন-জীবিকা ছিল খুবই কঠিন। অভাব ছিল প্রতিটি পরিবারে। হতদরিদ্র মানুষেরা নিজ এলাকা ছেড়ে কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কাজ-কাম করে কোনোভাবে জীবিকা নির্বাহ করতো। আবার কাজ না পেয়ে অনেকেই সীমান্তে চোরাকারবারসহ নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়তো। এক পর্যায়ে কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতায় পতিত শত শত হেক্টর জমি চাষাবাদের আওতায় আসে। বর্তমানে এলাকার অনেক কৃষক বাড়ির আঙিনা থেকে শুরু করে আগে পতিত থাকা একরের পর একর জমিতে লাউ, শসা, বেগুন, জিঙ্গা, কফি, টমেটো, চালকুমড়াসহ ইত্যাদির চাষ করছেন। এতে বেকারত্ব লাঘবসহ অনেকেই হয়ে উঠেছেন স্বচ্ছল-স্বাবলম্বি।

বারহাট্টা উপজেলার ধলপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, ক্ষেতটা অনেক বছর অনাবাদি ছিল, গরু ঘাস খাইত, এখন কলের লাঙল দিয়ে চাষ করে ৩০ কাঠা ক্ষেতে কুমড়া লাগিয়েছি। ফলন ভাল হয়েছে। পাইকাররা ক্ষেতে গাড়ি নিয়ে এসে ৪০-৫০ হাজার টাকা মন দরে কিনে নিচ্ছে। বছর শেষে কাঠাপ্রতি না হলেও ষাট মন কুমড়া হবে। এতে ৩০ কাঠাপ্রতি ২০ লাখ থেকে ২৪ লাখ টাকা আয় হবে বলে আশা করছি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, নেত্রকোণার পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নূরুজ্জামান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বসতবাড়ির আশ-পাশসহ পতিত জমি বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি আবাদের আওতায় আনা হয়েছে। এ জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ হতে মাঠ পর্যায়ে প্রদর্শনী স্থাপনসহ পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এবার জেলায় ২৬৫ হেক্টর জমিতে কুমড়ার আবাদ হয়েছে। উৎপাদিত কুমড়া বিক্রি থেকে সাড়ে ২৬ কোটি টাকা মুনাফা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, নেত্রকোণার পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নূরুজ্জামান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বসতবাড়ির আশ-পাশসহ পতিত জমি বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি আবাদের আওতায় আনা হয়েছে। এ জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ হতে মাঠ পর্যায়ে প্রদর্শনী স্থাপনসহ পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এবার জেলায় ২৬৫ হেক্টর জমিতে কুমড়ার আবাদ হয়েছে। উৎপাদিত কুমড়া বিক্রি থেকে সাড়ে ২৬ কোটি টাকা মুনাফা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
COMMENTS