![]() |
প্রতীকী ছবি |
এনএনবি, বরিশাল
প্রেমিকার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে পরিবার ও অতিথিদের সামনে কনেকে চুমু দিয়ে
ফেলেন ‘প্রেমিক’ জিহাদ হাওলাদার। এতেই বিয়ে ভেঙে যায় প্রেমিকার।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪) রাতে এই ঘটনা ঘটে বরিশালে আগৈলঝাড়ায়। এ সময়
‘প্রেমিক’ জিহাদকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয় হলুদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকজন।
এ ঘটনায় কনের মা বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ জিহাদ
হাওলাদারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বরিশাল আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠিয়েছে। জিহাদ
উজিরপুর উপজেলার সাতলা গ্রামের বাসিন্দা।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের বাগধা গ্রামের এক
কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে জিহাদের। পরে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক
ভেঙে তিনি অন্যত্র বিয়ে করেন।
সম্প্রতি তার ‘প্রেমিকার’ বিয়ে ঠিক হয়। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে কনের বাড়িতে গায়ে
হলুদের অনুষ্ঠান চলছিল। এ সময় সেখানে আসন জিহাদ। অনুষ্ঠানের মধ্যেই তিনি কনেকে
চুমু দেন। এ ঘটনা দেখে ছেলেপক্ষ বিয়ে ভেঙে দেয়।
পরে ওই রাতেই ভুক্তভোগী কনের মা বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন
দমন আইনে মামলা করেন। পুলিশ জিহাদকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলে। পরে
বিচারক তাকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে, ছেলে পক্ষ থেকে বিয়ে ভেঙে দেওয়ায় মেয়েকে নিয়ে হতাশায় পড়ে গেছেন মা। তিনি
জানান, ‘যে ছেলের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেছিলাম তার বাবা বলেছে আমার মেয়েকে পুত্রবধূ
হিসেবে মেনে নেবে না। আমাদের জায়গা জমি নেই। আমার স্বামী দরিদ্র কৃষক ছিলেন।
স্বামীর মৃত্যুর পরে নয় বছর ধরে অন্যের সাহায্যে এক ছেলে দুই মেয়ে নিয়ে চারজনের
সংসার কষ্টের মধ্যে চালিয়ে আসছি। মেয়ের বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় বিপদে পড়ে গেছি।’
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আগৈলঝাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল
ইসলাম বলেন, ‘গায়ে হলুদের আসরে কনেকে চুমু দেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত
ছেলে জিহাদকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছি। আমরা পাত্রপক্ষের সঙ্গে কথা বলে
মেয়েটির বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
COMMENTS