![]() |
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে বৈঠকরত নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও নেপালের রাষ্ট্রদূত। ছবি: বাসস |
এনএনবি, ঢাকা
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দর ব্যবহারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে নেপাল।
বিশেষ করে মোংলা বন্দর ব্যবহারে বাংলাবান্ধা দিয়ে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে বেশি
গুরুত্ব দিয়েছে দেশটি।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪) বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের
রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী এ কথা জানান। বৈঠকটি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের ২৩ কিলোমিটার ভূমি ব্যবহার করে কিভাবে নেপাল
বাংলাদেশের সাথে যুক্ত হতে পারে আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে এ ব্যাপারে বৈঠক হবে।
এই রুটটি সরাসরি ব্যবহারে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল একসঙ্গে কাজ করবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরের সময়ে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা
করেছেন। নেপালের পক্ষ থেকে বন্দর ব্যবহার করে বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্প্রসারণে
দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে কথা হচ্ছে। এই বিষয়টিকে আমরা অনেক বেশি গুরুত্ব
দিচ্ছি। ’
প্রতিমন্ত্রী বলেন আরও বলেন, ‘নেপালের সাথে বাংলাদেশের অনেক এনগেইজমেন্ট আছে।
নেপালের সঙ্গে সবদিক থেকে সম্পর্ক ভালো। নেপালের অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী বাংলাদেশে
লেখাপড়া করে। নেপাল স্থলপথে ভারতের কিছু অংশ ব্যবহার করে বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা
ও বুড়িমারী স্থলবন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে যাতায়াত করে থাকে।’
প্রতিমন্ত্রী জানান, নেপালের রাষ্ট্রদূত বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারী স্থলবন্দর
পরিদর্শন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন দেখে খুবই খুশি। তিনি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশেরই উন্নয়নেই নয়, অধিকন্তু তিনি জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিশ্ব
ফোরামে যে নেতৃত্ব দিচ্ছেন- রাষ্ট্রদূত তারও প্রশংসা করেছেন।
এদিকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পরের দিন রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারি
প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি
রাষ্ট্রদূতের এই শ্রদ্ধা জ্ঞাপন বাংলাদেশ-নেপাল সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে
গেছে বলেও মন্তব্য করেন নৌ প্রতিমন্ত্রী।
COMMENTS