
শাহীন রহমান
এনএনবি, পাবনা
হঠাৎ করেই বাজারে দেখা মিলছে রঙিন ফুলকপি। বেগুনি ও হলুদ ফুলকপি দেখে উৎসুক মানুষ এগিয়ে যাচ্ছেন। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করায় অনেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। বাজারে অন্যান্য সবজির ভিড়ে দৃষ্টি কেড়েছে এই রঙিন ফুলকপি।
বাজারে সচরাচর দেখা যায় সাদা রঙের ফুলকপি। কিন্তু কোথা থেকে হঠাৎ এই রঙিন ফুলকপি আসলো তা খোঁজ করতে গিয়ে জানা গেলো রঙিন ফুলকপি চাষ হচ্ছে পাবনায়। রঙিন ফুলকপি চাষ করে তাক লাগিয়েছেন পাবনা সদর উপজেলার বিল ভাদুরিয়া গ্রামের কৃষক আসলাম আলী।
এনএনবি, পাবনা
হঠাৎ করেই বাজারে দেখা মিলছে রঙিন ফুলকপি। বেগুনি ও হলুদ ফুলকপি দেখে উৎসুক মানুষ এগিয়ে যাচ্ছেন। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করায় অনেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। বাজারে অন্যান্য সবজির ভিড়ে দৃষ্টি কেড়েছে এই রঙিন ফুলকপি।
বাজারে সচরাচর দেখা যায় সাদা রঙের ফুলকপি। কিন্তু কোথা থেকে হঠাৎ এই রঙিন ফুলকপি আসলো তা খোঁজ করতে গিয়ে জানা গেলো রঙিন ফুলকপি চাষ হচ্ছে পাবনায়। রঙিন ফুলকপি চাষ করে তাক লাগিয়েছেন পাবনা সদর উপজেলার বিল ভাদুরিয়া গ্রামের কৃষক আসলাম আলী।

হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপিতে পাবনা শহরের এমনকি জেলার অন্যান্য হাটবাজারগুলোর সবজির দোকান ছেয়ে গেছে। বেচাকেনাতেও ধুম পড়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ফুল কপি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০টা কেজি।
আলাপকালে কৃষক আসলাম আলী বলেন, 'গত বছর আমার দুই মেয়ে ইউটিউবে রঙিন ফুলকপির ভিডিও দেখে। এরপর তারা আমার কাছে এসে এই ফুলকপি চাষ করার জন্য অনুরোধ করে। আমিও ভিডিও দেখে মুগ্ধ হই এবং চাষ করার জন্য চিন্তা-ভাবনা করি। এজন্য আমি প্রথমে পাবনা সদর উপজেলা কৃষি অফিস যাই কিন্তু তাদের কাছে এ বিষয়ে কিছু করার নেই বলে জানান। এরপর আমি প্রথমে ইউটিউবের যে ভিডিও করেছিল তাকে ফোন দিই, তারা জানায় ঢাকায় যোগাযোগ করার জন্য। এরপর আমি ঢাকায় বীজ ভান্ডারে যোগাযোগ করে বীজ নিয়ে এসে আবাদ করি।'
আলাপকালে কৃষক আসলাম আলী বলেন, 'গত বছর আমার দুই মেয়ে ইউটিউবে রঙিন ফুলকপির ভিডিও দেখে। এরপর তারা আমার কাছে এসে এই ফুলকপি চাষ করার জন্য অনুরোধ করে। আমিও ভিডিও দেখে মুগ্ধ হই এবং চাষ করার জন্য চিন্তা-ভাবনা করি। এজন্য আমি প্রথমে পাবনা সদর উপজেলা কৃষি অফিস যাই কিন্তু তাদের কাছে এ বিষয়ে কিছু করার নেই বলে জানান। এরপর আমি প্রথমে ইউটিউবের যে ভিডিও করেছিল তাকে ফোন দিই, তারা জানায় ঢাকায় যোগাযোগ করার জন্য। এরপর আমি ঢাকায় বীজ ভান্ডারে যোগাযোগ করে বীজ নিয়ে এসে আবাদ করি।'

কৃষক আলমাস আলী আরও বলেন, 'আমার দেড় বিঘা জমিতে প্রায় ৬ হাজারের বেশি ফুলকপির গাছ রোপণ করেছিলাম। সবগুলোই ভালোভাবেই বড় হয়েছে। এখন আমি প্রতিদিন জমি থেকে কেটে নিয়ে সরাসরি বাজারের নিয়ে বিভিন্ন দোকানে পাইকারি দামে বিক্রি করি। আমি পাইকারি ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। সেগুলো বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৮০-১০০ টাকা পর্যন্ত। হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপি চাষ করে ভাল সাড়া পেয়েছি।'

আসলাম আলীর বাবা ওমর আলী বলেন, 'প্রথম দিকে আমার চিন্তা হয়েছিল যে এগুলো সঠিকভাবে হবে কিনা। কিন্তু আমার ছেলের দেড় বিঘা জমিতেই সফলভাবে আবাদ হয়েছে। কপিগুলোও বেশ বড় বড় হয়েছে। আবাদের খরচ অন্যান্য কপির মতোই। আলাদা কিছুই নেই। তবে জৈব সার একটু বেশি দেওয়া লাগে। অনেকেই এক ফুলকপি দেখতে আমাদের জমিতে আসছেন। কেউ ছবি তুলছে আবার কেউ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের তো ভালোই লাগছে।'
পাবনা শহরের সবজি বিক্রেতা মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ভালোই বেচাকেনা হচ্ছে। সাদা কপি বিক্রি হচ্ছে যেখানে ৫০-৬০ টাকা কেজি সেখানে রঙিন ফুলকপি বিক্রি করছি ৮০-১০০টা কেজিতে। ক্রেতাদের বাড়তি আগ্রহ থাকায় ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে। অনেক ক্রেতা এসে বলছে- স্বাদও ভালো। আমি নিজেই প্রতিদিন ৫০-৬০ পিচ এই রঙিন ফুলকপি বিক্রি করছি।’
পাবনা শহরের সবজি বিক্রেতা মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ভালোই বেচাকেনা হচ্ছে। সাদা কপি বিক্রি হচ্ছে যেখানে ৫০-৬০ টাকা কেজি সেখানে রঙিন ফুলকপি বিক্রি করছি ৮০-১০০টা কেজিতে। ক্রেতাদের বাড়তি আগ্রহ থাকায় ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে। অনেক ক্রেতা এসে বলছে- স্বাদও ভালো। আমি নিজেই প্রতিদিন ৫০-৬০ পিচ এই রঙিন ফুলকপি বিক্রি করছি।’

এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পাবনার উপ-পরিচালক ড. জামাল উদ্দীন বলেন, ‘এগুলো জাপানি জাতের ফুল কপি। আমাদের দেশে মাত্র দুই বছর আগে আবাদ শুরু হয়। পাবনাতে সাধারণ সাদা কপিই চাষ হয়, এবারই প্রথম এই রঙিন কপি চাষ করা হয়েছে। আগামীতে কেউ যদি এমন রঙিন কপি আবাদ করতে চান তাহলে কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।’
COMMENTS